somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সামিউল ইসলাম বাবু
অপরিকল্পিতভাবে যেমন সুন্দর বাগান তৈরী সম্ভব নয়,nতেমনি অপরিকল্পিত শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে একটা সুন্দর জাতী তৈরী সম্ভব নয়।nআগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়- কর্মমুখী,নৈতিকতা সমৃদ্ধ ও যুগোপযোগী শিক্ষা চাই,nবর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতির বোঝা তৈরী হয়, সম্পদ নয়।n

মুসাফির (এক)

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জীবনে প্রথম নিজ জেলার বাহিরে বেড়াতে যায় ১৯৯৫/৯৬ সালের দিকে।তখন যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ খারাপ ছিলো।

আমার ছোট দাদুর সাথে। ছোট বেলায় বাবা মায়ের পরে সবচেয়ে বেশি যার আদর পেয়েছি সেটা আমার ছোট দাদু আর দাদীর কাছে।

দাদার সাথে ঘুরতে গেছিলাম ফুপুর বাসা কুষ্টিয়া জেলার রাধানগর (চরপাড়া) গ্রামে। গ্রামটা বেশ ব্যতিক্রম ছিলো। আসপাশের এলাকা থেকে এটা বিচ্ছিন্ন ছিল। কারণ, রাস্তা ঘাট ভালোনা।এক পাশে ছিল বাওড়, অপর পাশে মরা নদী(আঞ্চলিক ভাষায় গাং) ।

গ্রামটা ছিল ঝিনাইদহ কুষ্টিয়া জেলা সিমান্তে। পাশেই চুয়াডাঙ্গা জেলা। সেখানেও আছে এক বড় বাওড়। বাওড়ে অনেক বড় বড় মাছ পাওয়া যেতো।
আর বাওড় এলাকা গুলোতে অনেক বনজঙ্গল থাকায় বেশ ভুতুড়ে এলাকা হয়ে থাকতো।

৯০এর দশকে যেসব এলাকা সন্ত্রাস প্রবণ ছিলো তার মধ্যে রাধানগর চরপাড়া, কায়েত পাড়া, এলাকা উল্লেখযোগ্য। সিমান্ত দিয়ে সহজে অস্ত্র চোরা চালান আসতো।

তৎকালীন সময়ে জাসদ, পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি, হক বাহিনি যথেষ্ট ত্রাস সৃষ্টি করে, পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং আশপাশ জেলায়। আর এদের অখড়া ছিলো জেলা সিমান্তবর্তী এলাকা ও রিমোট এলাকা।

তবুও, রাধানগর মনে পড়ার মতো একটা গ্রাম ছিল। কারণ ভূ-প্রকৃতিগত কারণেই এলাকাটা ভালো লেগেছিল। বড় বড় বাঁশ বাগান। মাঠকে মাঠ পানের বরজ। মরানদী ও বাওড়।ডিঙ্গিনৌকা ও নৌকায় মাছ ধরা। বড় বড় মাছ খাওয়া, মাটির নিচের বিশেষ আলু(মেটে আলু- আঞ্চলিক ভাষায়) যা আমাদের এলাকায় তেমন একটা ছিলো না।

বেশ ভালোই উপভোগ করেছিলাম সফরটা।


রাধানগর গ্রামের একটা বাস্তব ঘটনা
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২৭
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×