
আমার ছোট দাদুর সাথে। ছোট বেলায় বাবা মায়ের পরে সবচেয়ে বেশি যার আদর পেয়েছি সেটা আমার ছোট দাদু আর দাদীর কাছে।
দাদার সাথে ঘুরতে গেছিলাম ফুপুর বাসা কুষ্টিয়া জেলার রাধানগর (চরপাড়া) গ্রামে। গ্রামটা বেশ ব্যতিক্রম ছিলো। আসপাশের এলাকা থেকে এটা বিচ্ছিন্ন ছিল। কারণ, রাস্তা ঘাট ভালোনা।এক পাশে ছিল বাওড়, অপর পাশে মরা নদী(আঞ্চলিক ভাষায় গাং) ।
গ্রামটা ছিল ঝিনাইদহ কুষ্টিয়া জেলা সিমান্তে। পাশেই চুয়াডাঙ্গা জেলা। সেখানেও আছে এক বড় বাওড়। বাওড়ে অনেক বড় বড় মাছ পাওয়া যেতো।
আর বাওড় এলাকা গুলোতে অনেক বনজঙ্গল থাকায় বেশ ভুতুড়ে এলাকা হয়ে থাকতো।
৯০এর দশকে যেসব এলাকা সন্ত্রাস প্রবণ ছিলো তার মধ্যে রাধানগর চরপাড়া, কায়েত পাড়া, এলাকা উল্লেখযোগ্য। সিমান্ত দিয়ে সহজে অস্ত্র চোরা চালান আসতো।
তৎকালীন সময়ে জাসদ, পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি, হক বাহিনি যথেষ্ট ত্রাস সৃষ্টি করে, পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং আশপাশ জেলায়। আর এদের অখড়া ছিলো জেলা সিমান্তবর্তী এলাকা ও রিমোট এলাকা।
তবুও, রাধানগর মনে পড়ার মতো একটা গ্রাম ছিল। কারণ ভূ-প্রকৃতিগত কারণেই এলাকাটা ভালো লেগেছিল। বড় বড় বাঁশ বাগান। মাঠকে মাঠ পানের বরজ। মরানদী ও বাওড়।ডিঙ্গিনৌকা ও নৌকায় মাছ ধরা। বড় বড় মাছ খাওয়া, মাটির নিচের বিশেষ আলু(মেটে আলু- আঞ্চলিক ভাষায়) যা আমাদের এলাকায় তেমন একটা ছিলো না।
বেশ ভালোই উপভোগ করেছিলাম সফরটা।
রাধানগর গ্রামের একটা বাস্তব ঘটনা
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


