গতকাল আকাশের মতো আমার মনটা যা-তা রকমের খারাপ ছিলো, বিকেলে চাকরীতে গিয়ে তা আরো খারাপ হলো, আকাশের মেঘটা যেন মনে ভর করেছে এই অবস্থা। বাইরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, মনের ভেতরে যেন অনাসৃষ্টি আর যাই কই ?এদিকে টিভি-তে দেখি কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর কে সাত নম্বর সংকেত দেখানো হয়েছে। জেলা পরিষদ থেকে মাইকে জানানো হচ্ছে যেন সবাই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যায়, এমনিতে সন্ধে থেকে আকাশের অবস্থা তেমন ভালো নয়।বাইরে তুমুল ঝড়ো বাতাস, সন্ধে থেকে কারেন্ট হাোয়া, চারিদিকে অন্ধকার। রাত ৯ টার দিকে বাতাস আরো বেড়ে গেলো। মনের মাঝে বহুদিন থেকে বড় আশা তুমুল বাতাসের সময় সাগর দেখবো। তো কাল সুযোগ টা এসে গেলো, অনেককে যেতে বললাম সাথে, রাজী হলোনা "যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আশে তবে একলা চলো"
এই নীতিতে নিজের মনকেই রাজী করালাম সভয়ে। মাথায় ছাতা
রিক্সা খুজে হয়রান। এই ঝড়ো বাতাসে আমার সাথে কে যাবে,
নিরাশ হয়ে হাঁটা শুরু করলাম, ছাতাটা ভেঙ্গে যায় যায় অবস্থা,
বোদ্ধ মন্দির এসে তা একটা রিক্সা পেলাম বটে। কিন্তু ভাড়া টা সে রকম বেশী বললো, বোদ্ধমন্দির থেকে সাগর পাড় যেখানে আশা-যাোয়া ২০টাকা সেখানে ৫০ টাকা, কি আর করবো উঠে পড়লাম। কি বাতাস রিক্সা চালকটা রিক্সা চালাতেই পারছেনা। আমার কিন্তু ভালোই লাগছিলো বটে।
তা অনেক কষ্ট করে সাগর পাড়ে আসলাম,
তুমুল বাতাসের সাথে যেন আমার যুদ্ধ এই অবস্থা, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে ভিজে একাকার, সাগরের পানিটা অনেক উপরে উঠে এসেছে, আর ঢেউ গুলো পাহাড় সম, যা দারুন লাগলো না, এ এক অন্যরকম অনুভূতি যা কাউকে বলে বুঝানো যাবেনা।
আমার অবস্থা দেখে রিক্সা চালক পাগলা উপাদীটা দিয়েই ফেললো, ভালোই লাগলো কিছুই বললাম না তাকে। বেশীক্ষন থাকতে পারলাম না ১০ মিনিটের মতো ছিলাম। ১০ মিনিটে যেন অনেক কিছু পেয়ে গেলাম। বেশ ঠান্ডা লেগেছে,এখন গায়ে একটু একটু জ্বর।
কিন্তু যা পেলাম তার ভাগ্য কয় জনের তাকে ?
প্রিয় ব্লগার ঠিক বলিনি কি, লোভ লাগছে তাই না?
আমার দরিয়া-নগরে আমন্ত্রণ, আসবেন কেমন..........

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



