somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রুনাপু

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


রুনাপুর সাথে আমার পরিচয়, যখন আমি ক্লাস থ্রিতে পড়ি। রুনাপু তখন ক্লাস টেন, আমার ঘর থেকে রুনাপুদের বাসাটা দেখা যেতো, আমি রুনাপুকে দেখতাম বাসায় হাঁটাহাঁটি করতে। দেখতে অনেক সুন্দরী না হলেও অসুন্দর বলা যাবেনা । এখনও অনেক ছেলেরা অবিবাহিত ভেবে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
পাশাপাশি থাকার সুবাদে রুনাপুদের বাসায় আমাদের আসাযাওয়া করতে করতে ই রুনাপুর সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়ে যায় ।
বন্ধুত্বটা এমন পর্যায়ে চলে গেল যে, রুনাপু আমাকে তার সব কথা , আর আমিও তাকে আমার সব কথা শেয়ার করা শুরু করলাম।

রুনাপুর খুব ভাল কোন বন্ধুও ছিলনা, কারন তার মা খুবই বদমেজাজি মহিলা, বাসায় ছেলে বন্ধুত দুরের কথা মেয়ে বন্ধুদের আসাও উনি পছন্দ করতেন না, বন্ধুদের বাসায় যাওয়াও তিনি পছন্দ করতেন না। তাই রুনাপু সবসময় বন্ধুত্তের মধ্যে লিমিট বজায় রাখতে বাধ্য হতেন। আমার কোন বোন নেই তাই রুনাপুই ছিল আমার বোন , বন্ধু সব।
তার কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি, অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।

রুনাপুর ছোটবেলাটা খুব ভাল কাটেনি।
রুনাপুর বাবা খুব ছোট একটা চাকুরী করতেন, ভদ্রলোক খুব ভাল আর বিনয়ী ছিলেন কিন্তু সে অসম্ভব রকমের ধর্মভীরু ছিলেন।

তাই রুনাপু ছোটবেলা থেকে স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি,তার পৃথিবী ছিল শুধু , স্কুল, কলেজ, আর বাসা,তার বাবার ধারনা টেলিভিশন দেখলেও গুনাহ হয়, সুতরাং রুনাপুর বাইরে যাওয়া, টেলিভিশন দেখা , এমনকি ক্লাস এর বাইরের কোন বই পড়াও বারন ছিল।

তবু রনাপু চুরি করে প্রচুর ক্লাসের বাইরের বই পড়তেন।
গল্প , উপন্যাস, আত্মজীবনী , আনুবাদ এইসব বই পড়া তার নেশা হয়ে গিয়েছিলো।
এত বই পড়ার জন্যই হয়তো রুনাপুর বুদ্ধিমত্তা ভাল ছিল।

রুনাপুর হাঁসিটা খুব সুন্দর ছিল কিন্তু সহজে আমি তাকে হাঁসতে দেখতাম না। হয়তো তার পারিবারিক সমস্যার কারনেই সে সবসময় বিষণ্ণ থাকতো। তার বাবা আর মায়ের মধ্যে কোন ভালবাসা ছিলনা,তারা সারাক্ষণ ঝগড়া করতো , আর রুনাপুর মা রুনাপুর উপর তার সব রাগ ঝারত।

এভাবেই প্রচণ্ড মানসিক কষ্টে রুনাপুর দিন কেটে যাচ্ছিল, হঠাৎ আমি রুনাপুর মধ্যে একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম।

রুনাপু তখন অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
রুনাপুর মুখের সেই বিষণ্ণতা নেই, খুব হাসি খুশি,উচ্ছল থাকে সবসময়। চোখ দুটো স্বপ্নে ভরা, আমি অবাক হয়ে গেলাম কি এমন হতে পারে ।

রুনাপু আমাকে বলবে বলবে ভাব কিন্তু লজ্জা পাচ্ছিল আমি ব্যাপারটা কি ভাবে নেবো তাই ভেবে।

একদিন বলেই ফেললো রুনাপু ।
আমি একটা ছেলেকে ভালবাসি।

আমি আকাশ থেকে পড়লাম, রুনাপুকে আমি পুরুষ বিদ্বেষী ভাবতাম, সেই স্কুল জীবন থেকে এই পর্যন্ত অনেক ছেলে রুনাপুকে অফার করেছে, কারো দিকে রুনাপু ফিরেও তাকায়নি কখনো ।

একটা ছেলে রুনাপুর জন্য একগাদা ঘুমের ওষুধ খেয়ে , হাত কেটে ফেলেছিল রুনাপুর সামনে , রুনাপু তার দিকে একবার কঠিন দৃষ্টিতে তাকিয়ে হন হন করে চলে এসেছিলো, তার চোখে ওই ছেলের জন্য ভালবাসাতো দূরের কথা একটু করুনাও ছিলনা।

রুনাপু আমাকে বলতো বিয়ে , সংসার , ভালবাসা এগুলো মানুষ কেন করে আমি বুঝিনা, এইসব হচ্ছে ইচ্ছে করে কষ্টকে ডেকে আনা,শোন তুই কিন্তু এসবের মধ্যে যাসনে , ছেলেরা খুব খারাপ তোকে ভালবাসি ভালবাসি করবে দুদিন তারপর হুট করে একদিন তোকে ফেলে অন্য মেয়ের কাছে চলে যাবে।

আমি আরও অবাক হলাম রুনাপু আমাকে বলছে ,
শোন ও না আমাকে বলছে,
রুনা বিয়ের পর তোমাকে কিন্তু চাকুরী করতে হবে নইলে আমাদের সংসার চালাতে কষ্ট হবে ।
আমি ওকে বলে দিয়েছি আমি চাকরী করলে আমার সংসার কে দেখবে? প্লিজ আমি চাকরী করবনা।
তুই বল আমি যদি চাকুরী করি আমার শশুরশাশুরিকে দেখবে কে? সংসার গোছাবে কে?

জানিস আমার বিয়ের পর ও যখন সন্ধ্যায় ক্লান্ত হয়ে অফিস থেকে ফিরবে তার আগেই আমি বাল্কনিতে ওর জন্য অপেক্ষা করতে থাকবো, ওকে আসতে দেখলেই আমি দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে ওর হাত থেকে ব্যাগটা নেব,তারপর ও হাতমুখ ধুবে আর আমি তোয়ালে নিয়ে দাড়িয়ে থাকবো, তারপর ওকে ওর পছন্দের খাবার বানিয়ে খাওয়াব ।
ও খাবে আর আমি ওকে দেখবো।
এই ছিল আমার রুনাপুর সংসারের স্বপ্ন।

এর ১বছর পর সব কিছু বদলে গেল। রুনাপুর ভালবাসার মানুষটা তাকে কোন কারন না জানিয়ে বিয়ে করেছে একটা অনেক বেতনপাওয়া চাকুরীজীবী মেয়েকে।

রুনাপু অনেক কষ্টে তাকে খুজে বের করে শুধু একটা প্রশ্ন জানতে চেয়েছে। আমি কি অপরাধ করেছি কেন তুমি আমাকে এত বড় শাস্তি দিলে ?

উত্তরে ছেলেটি বলেছে রুনাপুর বাবা খুব ছোট চাকুরী করে এটা তার ফ্যামিলি মেনে নেয়নি আর তাছারা রুনাপুতো বলেছে, সে চাকুরী করবেনা তাই সে বাধ্য হয়েছে অন্য মেয়ে বিয়ে করতে।

স্তম্ভিত রুনাপু।
রুনাপুর সংসারের স্বপ্ন এখানেই শেষ হয়ে গেল, এর পর আর কোনদিন ই সে সংসারের স্বপ্ন দেখতে পারেনি ।
রুনাপু আমাকে সবসময় বলতো আমরা গরীব তাতে আমার কোন দুঃখ নেই, আমার দুঃখ আমার বাবা মা আমাকে বোঝেন না।

সেই আপু গরীব হয়ে কেন জন্মালাম বলে কাঁদে।

কেমন যেন হয়ে গেল রুনাপু ।
সবাইকে সব মিথ্যে কথা বলা শুরু করল ।
সবাইকে বলে তারা অনেক ধনী, তার বাবার অনেক টাকা, এমন কি তার নিজের নামটাও সে সবার কাছে মিথ্যে বলে ।
আমি জিজ্ঞেশ করি কেন তুমি মিথ্যে কথা বল?

রুনাপু বলে শোন , আমাদের সমাজে সত্য কথার ভাত নেই। জার কাছে নিজেকে যতো উপরে উঠাতে পারবি ততোই এই সমাজ তোকে সম্মান করবে।
রুনাপুর গানের গলা খুব ভাল ছিল, সাঁরাদিন গুন গুন করে গান গাইত, এখন গান গায় না, বই পড়েনা, অনেক পরিচিত মানুষ চিনতে পারেনা, নিজের জীবনের অনেক সৃতি ও সে মনে করতে পারেনা।

এর ১ বসরের মধ্যে তার বিয়ে ঠিক হয় , রুনাপুর তখন কোন ছেলেকেই ভাল লাগতো না, কিন্তু তার পরিবারের অবস্থা চিন্তা করে সে বিয়েতে রাজি হয়, কারন ওই মুহুরতে তার বাবা রিটায়ার্ড, তাদের পরিবারের অবস্থা খারাপ সংসার অচল।
আমার মনে আছে রুনাপু কে যখন জিজ্ঞেশ করা হল তুমি কি এই বিয়েতে রাজি আছ?
রুনাপু কোন কথা বলেনি , তার দুচোখ দিয়ে জল গরিয়ে পড়ছিল অনবরত।
তার পরিবারের কেউ তার এই অশ্রুর মূল্য বঝেনি বা বুঝতে চায়নি।
বাধ্য হয়ে বিয়ে করল রুনাপু, রুনাপুর সব অতীত জেনেই লোকটা রুনাপুকে বিয়ে করেছে।
ভেবেছিল সিনেমার মত ভালবেসে তার স্বামী তার সব কষ্ট দূর করবে।
কিন্তু আর দশটা স্বামীর মতই রুনাপুর স্বামী। মানুষ হিশেবে অনেক সৎ। নীতিবান , দায়িত্তবান।
কিন্তু রুনাপুর মানসিকতা আর তার মানসিকতা একেবারে আলাদা। রুনাপু কখন মন খারাপ করে কথা না বললে ওনার স্বামী ধরে ই নিতেন রুনাপুর এক্স বয় ফ্রেইনড এর জন্য মন খারাপ তাই তার স্বামী তাকে জিজ্ঞেসও করতনা তোমার কি হয়েছে? সেও রুনাপুর শাথে কথা বলত না।

বিয়ের প্রথম দুএকদিন রুনাপুর স্বামীর শাথে শারিরিক সম্পর্ক হয়েছিল ,তারপর আর হয়নি, রুনাপুর মনে হত সে এই বাড়িটায় বন্দি কোন পাখি, চার দেয়ালের এই ঘরটাই তার পৃথিবী, একা , নিঃসঙ্গ ।

বিয়ের ৫ বসর পর রুনাপুর স্বামী দেশের বাইরে চলে যায়।
যেদিন তার স্বামী চলে যায়, সেদিন নাকি রুনাপুর মনে হয়েছে সে আজ মুক্ত হল কারাগার থেকে ।
কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে রুনাপু তার মায়ের বাড়ী থাকে ।
তার মাএর অত্যাচার আগের চেয়েও বেশি বারে, তবু রুনাপুর মনে হয় ভাল আছি,তার বর তাকে ফোন করে মাঝে মাঝে । শুধু কে কেমন আছে এইটুকুই যেনে ফোন রেখে দিতো ।
এরপর রুনাপু একদিন আমাকে বলল একটা মানুষের জন্য আমার পুরো জীবনটা নষ্ট হয়ে গেল,আমিও এখন থেকে নষ্ট করব অন্য মানুষের জীবন।

রুনাপু মোবাইলে অনেক ছেলেদের সাথে কথা বলা শুরু করল, কাউকে ই সে বলত না সে বিবাহিত , অনেক ছেলে তাকে অফার করত প্রেমের জন্য সে সবাইকে হ্যাঁ আমি রাজি বলা শুরু করল ।
ভালবাসি বোলে সবার সাথে সে খারাপ ব্যবহার করত , সে পরীক্ষা করে দেখত, কতোটা খারাপ ব্যবহার সহ্য করে একটা ছেলে ভালবাসার জন্য।
দেখল কেউ থাকেনা,তাই সে বুঝল ভালবাসা বোলে পৃথিবীতে কিছুনেই।
আমাকে বলল দেখলাম কার ভালবাসা কতদিন টেকে।
তার স্বামী বিয়ের আগে একটা মেয়েকে ভালবাসত,তাকে হারিয়ে সে আত্মহত্যা করতে চেষ্টা করেছিল সেখান থেকে সে বেঁচে এসেছে। রুনাপু তার মতো দুঃখী একটা মেয়ে তাই সে রুনাপুকে বিয়ে করেছে ভালবেসে না।
এভাবেই ভালবাসা হীন সংসার রুনাপু ১২ বছরধরে করছে ।
এখন রুনাপুর বয়স ৩৩ বছর।

কিন্তু রুনাপু এখনও সেই ১৯ বছর বয়সি ই আছে, সে তার বয়সি কারো সাথে মিশতে পারেনা , তার সম বয়সিদের নাকি তার মুরুব্বি মনে হয়।

রুনাপু প্রেম করেছিল ১৯ বছরে, সে এখনও শেখানেই আছে।
২২ থেকে ২৫ বছরের ছেলেদের চেয়ে বেশি বয়সি ছেলেদের তার ভাল লাগেনা।
ভালবাসাঁ বলে পৃথিবীতে কিছু আছে , এটা সে বিশ্বাস করতে পারেনা, কিন্তু সে ভালবাসা চায়।
এইধরনের অনেক মানসিক সমস্যা হয়েছে এখন রুনাপুর ।
নিয়মিত মানসিক ডাক্তার দেখান । কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছেনা।
রুনাপুর বিষণ্ণতা এখন ভয়ঙ্কর রুপ ধারন করেছে ।
বিষণ্ণতা সহ্য করতে না পারায় রুনাপু একদিন একগাদা ঘুমের ঔষধ খেয়ে ফেলে। এর ১০ মিনিট পর আমি আর আমার মা রুনাপুর বা্সায় যাই।

রুনাপুর মুখ দেখে আমার কেমন যেন লাগলো। আমি জিজ্ঞেশ করলাম কি হয়েছে?
রুনাপু বলল কিছুনা।
একটু পর আমি খেয়াল করলাম রুনাপুর মুখ, চোখ গাল কান সব লাল হয়ে গেছে, রুনাপু একটু একটু কাপছে ।
আমি ভয় পেয়ে গেলাম আমি আবার জিজ্ঞেশ করলাম রুনাপু কি হয়েছে তোমার প্লিজ বল?
সে খুব সাভাবিক গলায় বলল আমি কয়েকটা ঘুমের ওষুধ খেয়েছি, একটু ঘুমানর জন্য মরার জন্য না , মরব না তুই ভয় পাচ্ছিস কেন?

রুনাপুকে হসপিটালে নিয়ে সুস্থ করে বাসায় নিয়ে আসা হল।
এই ভাবে কেটে গেল তার জীবন এর আরও ৫ টি বছর।

দু বছর হল রুনাপু কে তার বর জার্মানি নিয়ে গেছে,
আবার সেই দুঃসহ বন্দি জীবন, দেশে তবু ইচ্ছে হলে কার সাথে কথা বলতে পারত এখানে কেউ নেই কথা বলার । কারন সে জার্মান জানেনা।

তার বর সারাদিন বাইরে থাকে , বাসায় আসলেও প্রয়োজন ছাড়া রুনাপুর সাথে কথা হয়না, সবাই শুধু বাচ্চা নিতে বলে।
রুনাপু কাউকে বলতেও পারেনা কেন তারা বাচ্চা নিতে পারছে না, যেহেতু রুনাপুও তার স্বামীকে ভালবাসেনা তাই স্বামীর সাথে শারিরিক সম্পর্কের ব্যাপারে সেও উদাসীন।
সবাই বাচ্চা নেয়ার কথা বলায় রুনাপু তার স্বামীকে জিজ্ঞেস করেছিল, তুমি কখনও আমার সাথে ফিজিক্যাল রিলেশন করতে আসনা কেন ?

তখন তার স্বামী তাকে বলেছে রুনাপুর প্রতি সে নাকি কোন শারিরিক আকর্ষণ ফিল করেনা ।
তাহলে এই ১২ বছর কেন আমাকে নিয়ে আছ?
মায়া হয়ে গেছে তাই।

ভালবাস না?
মায়াওত একধরনের ভালোবাসা।
সবাই যখন আমাকে বাচ্চা কেন নিচ্ছিনা , প্রশ্ন করবে আমি কি বলব?
তোমার যা ইচ্ছে বলে দিও।

এম্নিতে রুনাপুকে সে কখন বকাঝকা করেনা। রুনাপু একটু অসাভাবিক এটা মেনে নিয়েছে সে , রান্না বান্না ঘরের কোন কাজ রুনাপু না করলে সে নিজেই করে নেয়। অন্য কোন মেয়ের সাথেও তার কোন রিলেশন নেই বলেই রুনাপুর বিশ্বাস ।
রুনাপুকে আমি মাঝে মাঝে বলি তুমি ডিভোর্স দিয়ে দাও , সে বলে মানুষটা ভাল। আমি ছেরে দিলে ও এই বয়সে অসহায় হয়ে যাবে, তাছারা আমিই বা কোথায় যাব ? আমারতো কোন জায়গা নেই, মা আমকে আশ্রয় দেবেনা , আর আমার তো বয়শ ৩৩ কিন্তু আমার ভাল লাগে ২৫ বছরের নিচে যাদের বয়শ তাদের, এই বয়সি কে বিয়ে করবে আমাকে?
এসব বলেই কেমন পাগলের মতো হা হা হা হা করে হাঁসতে থাকে। আমার খুব ভয় হয় রুনাপু কি পাগল হয়ে যাচ্ছে?

কি করবে রুনাপু এখন???????????????
রুনাপু এখন সবাইকে বলে আমাদের বাচ্চা হয় না, বাচ্চা হয়না বললেই আমাদের সমাজের সবাই ধরে ই নেই মেয়েটারই প্রব্লেম । সবাই বোলে ডাক্তার দেখাও।
দেখিয়েছি আমাদের দুজনার কারো কোন প্রব্লেম নেই।
সবাইকে রুনাপু একথাই বলে এখন।
প্রিয় পাঠক কেউ কি পারবেন রুনাপুর জীবনের এই সমস্যার সমাধান এর কোন পরামর্শ দিতে???????



সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৬
৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না পারার কষ্টটা সমালোচনার কোন বিষয়বস্তু নয়

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

গতকালের একটি ভাইরাল খবর হচ্ছে কয়েক মিনিটের জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেয়া হলো না ২০ প্রার্থীর !! অনেক প্রার্থীর কান্নাকাটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান এর নিয়ামানুবর্তিতার জ্ঞান বিতরনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×