
মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার সিসি ফুটেজ যদি এটা হয়ে থাকে, তবে হয়তো আমার আশংকাই সত্যি হলো-- এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যা।
দেখে মনে হচ্ছে বিমানটি ইচ্ছা করেই ছুটির সময় স্কুলের মাঠে ও ভবনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর ফেলা হয়েছে। পাইলট আগেই প্যারাসুট নিয়ে নেমে গেছিলেন বলে তার গায়ে কোনো পোঁড়া গন্ধ নাই।
ইচ্ছাকৃত নাহলে বিমানটি আশপাশের আরও ফাঁকা জায়গায় পড়তে পারতো বা আস্তে আস্তে মাটির সমান্তরালে উড়ে গিয়ে কোনো দেয়াল বা গাছের গায়ে বিধ্বস্ত হতে পারতো, ভারতের গুজরাটের ঐ বিমানটির মতো। যেভাবে বিমানটি মাটিতে পড়েছে, তা ইচ্ছা করে নিরিখ করে ঢিল মারার মতো বলে মনে হচ্ছে!
আশপাশে খালবিলের অভাব নাই। কাছেই তুরাগ নদীও আছে। সেসব জায়গায় না ফেলে বিমান কেন স্কুলে এনে ফেললো? অথচ পাইলট নিজে প্যারসুট থেকে নেমে ছিলো শারীরিক শিক্ষা শিক্ষকের রুমে জীবিত ও অক্ষত (লিংক কমেন্টে)!
এমনটা করার কারণ হতে পারে:
১. সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলা
২. দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলা
৩. গোপালগঞ্জের ৫টি লাশের কথা, গোলাগুলির স্মৃতি ভুলিয়ে দেয়া
৪. একটা গোষ্ঠী হয়তো সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের একটা অংশের পরিবর্তন চাইছে
৫. চীনের বিমান বিধ্বস্তর ঘটনা দেখিয়ে কেনার প্রক্রিয়ায় থাকা চীনের J10C মডেলের বিমানগুলো না কিনে পশ্চিমা কোনো দেশ থেকে যুদ্ধবিমান কিনতে ইচ্ছুক হয়তো কেউ। তাতে হয়তো ৩৫% ট্যারিফও কমানো সম্ভব!
এই মডেলের কমপক্ষে ৩টি বিমান এ বছরই বিধ্বস্ত হয়েছে:
৬ ফেব্রুয়ারি,২০২৫: J7 ট্রেইনার বিধ্বস্ত হয় জিম্বাবুয়েতে,
১০ জুন, ২০২৫ F7M বিধ্বস্ত হয় মিয়ানমারে,
তারপর ২১ জুলাই বাংলাদেশে।
সবগুলোই চীনের চেংডু কোম্পানির একই মডেলের বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের বিমান, যা ১৯৬০-৭০ সালের, ২০১৩ সালের পর আর এগুলো উৎপাদিত হচ্ছে না। আধুনিক বিশ্বে এসব চলে না। অথচ আমাদের বিমানবাহিনীর অর্ধেকের বেশিই এই মডেলের বিমান!
৬. কেউ হয়তো বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যে জনগণকে ডিফেন্সের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে আরেকটা আন্দোলন বেগবান করতে চাইছে।
৭. কেউ হয়তো নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চাইছে
৮. মিডিয়ার প্রচার দেখে মনে হচ্ছে কারো উদ্দেশ্য থাকতে পারে গোপালগঞ্জে সেনার গুলির বিষয়টি ভুলিয়ে দিয়ে আর্মি/ফোর্সকে হিরো হিসেবে দেখানো (অনেকটা ভারতের বিমান দুর্ঘটনার আদলে)
৯. দেশে হয়তো কেউ গৃহযুদ্ধ বাঁধাতে চাইছে
১০. কেউ কি আর্মির ভেতরে ক্যু ঘটাতে চাইছে?
এনসিপির বিব্রতকর জুলাইযাত্রা এই ম্যাসাকারের কারণে আগেভাগেই থামিয়ে দেয়া গেলো, যাতে জুলাইযোদ্ধাদের দলটির ভোট বাড়ানোর বদলে আরও কমছিলো এবং তাদের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে সেনাবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনী প্রশ্নের মুখে পড়ছিলো।
কিন্তু, এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আসলেই কি এই পাইলট হিরো? তিনি মৃত কিনা তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। টিভিগুলো যখন পাইলটের জানাজা দেখাচ্ছিলো লাইভ, তারও প্রায় ঘন্টাখানেক পর জুলাইযোদ্ধা সাইয়েদ আবদুল্লাহর বরাতে দি ডেইলি ক্যাম্পাস নিউজ করেছে, পাইলট নাকি আব্দুল্লাহর বন্ধু আর তাঁর নাকি তখনও মৃত্যু হয় নাই! কেউ বলে বিমানে পাইলট একজন ছিলো, কেউ বলছে দুজন! এমন জনবহুল এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান এভাবে সরাসরি তাক করে মাটিতে আছড়ে পড়বে কেন? এই এলাকায় তার বিমান ওড়ানোর অনুমতি ছিলো কি? পাশে অনেক খালবিল, এমনকি তুরাগ নদী থাকতে একদম ছুটির সময় স্কুলের বাচ্চাদের উপর কেন বিমান আছড়ে পড়বে? এটা কিছুতেই স্বাভাবিক না।
সিসি ফুটেজ ও ভিডিওগুলো যাচাইয়ের অনুরোধ করছি, যা ফেসবুকে প্রাপ্ত।
রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পাওয়া উচিত ঐ শিক্ষিকাদের, যারা জীবন দিয়ে তাঁদের শিক্ষার্থীদের জীবন বাঁচিয়েছেন। অথচ দেওয়া হলো কাকে? যিনি এত জায়গা থাকতে ছুটির সময় এত বড় একটা নামকরা স্কুলের মেধাবি খুদে শিক্ষার্থীদের উপর বিমান ফেলে লাশের মিছিল দাঁড় করিয়ে দিলো!
আরও জানা যাচ্ছে, এই বিমান বিধ্বস্তর সময় বিমান বাহিনীর প্রধান তুরস্কে ছিলেন। অনেকে বলেন জুলাই বিপ্লবে দেশটির বিপুল সমর্থন ছিলো। তুরস্ক থেকে সরাসরি দেশে ফিরে হাসপাতালে গেছেন বিমানবাহিনীর প্রধান। কিন্তু সে কথা ফেসবুকে দেওয়ায় বিমান বাহিনীর পেইজে এত হাহা কেন? তুরস্ক কি এখনও অফিসিয়ালি শোক জানিয়েছে এ ঘটনায়? কোনো প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন না হওয়ায় তারা কি ক্ষুব্ধ?
বিশ্ব আমাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও বিমানবাহিনীর ফাইটার জেট নিয়ে হাসাহাসি করছে, কারণ এটা আমাদের দুর্বলতা প্রকাশ করে দিয়েছে। এটা দেশের জন্য মোটেও মঙ্গলের নয়। যেকোনো সময় শত্রুদেশ হামলা চালিয়ে বসতে পারে।
সিসি ফুটেজসহ মূল পোস্ট এই লিংকে দেখুন : https://www.facebook.com/share/v/19BofBf9ma/
দেব দুলাল গুহ (দেবু ফরিদী)








সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




