
নিজ সম্প্রদায়ের হিন্দু ঢাকীরা হিন্দুয়ানী বাঙালিয়ানা সংস্কৃতি ধরে রেখেও না খেয়ে মরে আর অন্যধর্মের ডিজে বাহালুলরা ডিজের অত্যাচারে শব্দদূষণ করে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান তথা পূজাকে মদ-গাঁজার আসর ও ডিজে পার্টি বানিয়ে ঢাকীর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি টাকা নিয়ে চলে যায়।
.
আগে ঢাক আনা হতো কমপক্ষে দুইটা, সাথে কাসর, বাঁশিসহ আরও অনেক বাদ্য থাকতো। এখন শুধু একটা ঢাক এনে কোনোমতে দায় সাড়া হয়। পূজার জন্য দরকারি এ কথা ধর্মগ্রন্থে লেখা না থাকলে তাও আনা হতো না, রেকর্ড করা ঢাকের শব্দই সাউন্ডবক্সে বাজিয়ে দিতো।
.
একটা গোটা শিল্পকে ধ্বংস করে বিজাতীয় সংস্কৃতিকে পূজার মধ্যে ঢুকিয়ে আইন ভঙ্গ করে, মানুষকে অসুস্থ বানিয়ে ও অন্যদের চোখে পূজাকে পার্টি হিসেবে উপস্থাপন করে এ কেমন ধর্মপালন? এটা রুখে দাঁড়ানো উচিত।
.
ডিজের তালে মদ-গাঁজার গন্ধে নয়, পূজা হোক ঢাকের তালে ধূপের গন্ধে ধূপতি হাতে আরতির মাধ্যমে। সেরা আরতিশিল্পীদের ও এলাকার সেরা মেধাবিদের পুরস্কৃত করুন, শুদ্ধ সংস্কৃতিচর্চায় অর্থায়ন করুন, যে প্রথা আমার বাবা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কমল কৃষ্ণ গুহ ওরফে কবি বাবু ফরিদী শুরু করেছিলেন।
.
আপনার ধর্মকে আপনি বিতর্কিত করলে অন্যরা তো তামাশা হিসেবে নিয়ে হাসাহাসি করবেই! আপনি কি চান আপনার মাকে নিয়ে কেউ বাজেকথা বলুক? তাহলে মা মানেন যাকে, সেই মা দুর্গার সামনে এসব করে মায়ের অসম্মান করেন কেন? অন্যদের কেন বলার সুযোগ দেন "ওদের মাও এমন, তাই সন্তানদের এসব কাজে প্রশ্রয় দেন"?
.
ডিজে পার্টি করতে হলে ঘরে বা ফাঁকা মাঠে গিয়ে করুন, মায়ের সামনে ছেলে কি মদ খেয়ে উশৃংখল নাচ নাচতে পারে? পারে না। যারা এসব করে, তারা আসলে দেবী দুর্গার নয়, অসুরের পূজা করে।
দেব দুলাল গুহ -- দেবু ফরিদী
কথাগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


