
খালেদা জিয়ার আসনে প্রার্থী দেবে না এনসিপি। আবার বিএনপি খুব সম্ভবত এনসিপি ও অন্যান্য জোটগত মিত্রর জন্য প্রায় ৬৩টি আসনে কাউকেই মনোনয়ন না দিয়ে ফাঁকা রেখেছে। খেয়াল করেছেন তো বিষয়টা?
অর্থাৎ কাগজে-কলমে জোটবদ্ধ না হয়েও তারা কার্যত জোটবদ্ধই, ভিতরে গভীর বোঝাপড়া আছে। এই যেমন ধরে নেয়াই যায় নাহিদ-সারজিস-হাসনাতসহ এনসিপির শীর্ষ নেতৃত্ব জিততে পারে এমন প্রার্থীই তাদের বিরুদ্ধে দিয়েছে বিএনপি, অথবা দেয়নি কাউকেই।
একই কথা প্রযোজ্য জোনায়েদ সাকী, নাগরিক ঐক্যর মান্না, বিজেপির আন্দালিব পার্থসহ বিএনপির চিহ্নিত মিত্রদের বেলায়ও। প্রাথমিক মনোনয়ন দেখে মনে হচ্ছে, দলটি ফাঁকা আসনগুলো তাঁদেরকে ছেড়ে দিতে চায়।
বিএনপির এই সিদ্ধান্তের ফলে দীর্ঘদিন পর বিএনপি যে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, তা অংশগ্রহণমূলক দেখাবে এবং গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে। তবে এরপরেও আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টির মতো বড় দলকে নির্বাচনের বাইরে রাখলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কী প্রতিক্রিয়া দেখায়, এখন তাই দেখার।
এই 'বোঝাপড়ার রাজনীতি'কে কীভাবে দেখছেন?
নির্বাচনের আগেই দলগুলোর মাঝে সমঝোতা হয়ে গেলে নির্বাচনের দরকার আছে বলে মনে করেন কি? এই সুদীর্ঘকাল আওয়ামী লীগের 'দমন-নিপীড়নের শিকার' নেতাকর্মীরা কি হতাশ হচ্ছে না এতে?
মনোনয়ন না পেয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করায় কেউ কেউ গতকাল গভীর রাতে বহিষ্কারও হয়েছেন দেখা গেলো। আপনার কি মনে হয় দলের বৃহত্তর স্বার্থে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীরা কি এটা মেনে নেবে, নাকি স্বতন্ত্র নির্বাচনে যাবে?
যা-ই হোক, এতোকাল পরে যে বিএনপি নির্বাচনে এসেছে, এটা একটা পজিটিভ অ্যাপ্রোচ। তবে সকল দলের অংশগ্রহণে একটা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করা গেলে, সেটাই দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল।
Please like দেব দুলাল গুহ'র নিপুণ কথন
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


