জিলহজ্ব মাসের ৮-১০ তারিখ পর্যন্ত সময়কে হজ্বের সময় হিসাবে ধরা হয়। এছাড়া বছরের অন্যন্য সময়ের হজ্বকে বলা হয় ওমরা। ওমরা যে সকল বিধি-বিধান পালন করা হয় হজ্বেও সে সকল বিধি বিধান পালনীয়। তাহলে একই কাজে কেন দু'টি মূল্য তালিখা। সাধারণত ব্যবসায় অধিক বিক্রয় হলে বিক্রেতার মূনাফার হার কমাতে পারে। যেমন ধরি সাধারণত কোন বিক্রেতা এক টাকা লাভ করে; কিন্তু তার বিক্রয় বৃদ্ধির দরূন সে মূনাফার হার পঁচিশ পয়সা কমাইয়া দিয়া পঁচাত্তর পয়সা করিয়া লাভ করতে পারে। এই ক্ষেতে হজ্বের সময় অতিরিক্ত ব্যক্তিবর্গ হজ্বব্রত পালন করবেন বলে সত্তর হাজার টাকার ওমরা কমিয়ে পঞ্চাশ-ষাট হাজার হজ্বব্রত পালনের অর্থ নির্ধারিত হতে পারে বলে আমি মনে করি।
এত অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে আমাদের মত হত দরিদ্র মানুষের পকেট কাটা হচ্ছে কেন? তা আমার বোধদ্বয়ের সাধ্যাতীত।
কথা বলেছিলাম হজ্ব কাফেলার এক ব্যক্তির সাথে; তিনি আমাকে বললেন থাকার খরচ, খাওয়ার খরচ, বিমান ভাড়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
এইসব হিসাবগুলো আমি ব্যক্তিগত ভাবে হিসাব কষে দেখলাম কিন্তু মানতে পারলাম না। ধরলাম বিমান ভাড়া, বাসা ভাড়া খাওয়ার খরচ প্রভৃতি বৃদ্ধিপাইছে। তারপরও এইটা দুই লক্ষ টাকার অতিরিক্ত হয় না।
সরলমনা মানুষগুলো নবী করিম (সঃ) এর জিয়ারত এবং আল্লাহর পক্ষ হতে আদিষ্ট হয়ে হজ্বব্রত পালন করতে যাবে এতেও আমরা হচ্ছি এক বিশাল বাণিজ্যের শিকার।
আল্লাহ আমাদেরকে সহজ-সরল পথে চলার তওফিক দান করুন-আমিন।