খুব কমসংখ্যক ছেলে বুকে হাত রেখে বলতে পারবে, আজ তার গার্লফ্রেন্ড ধর্ষণের শিকার হলেও সে তার গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে করতে রাজি? কোন অযুহাত ছাড়াই সে তাকে পরিপূর্ণ মর্যাদা দিতে রাজি?
কয়জন মেয়ে বুকে হাত রেখে বলতে পারবে, তার বয়ফ্রেন্ড আজ সড়ক দুর্ঘটনায় একটা হাত বা একটা পা হারালেও তাকে বিয়ে করতে রাজি? বয়ফ্রেন্ডের দুঃসময়েও তার হাতে হাত ধরে চলতে রাজি?
এই দুটি প্রশ্নের উত্তর বের করতে পারলেই ভালবাসা আর রিলেশনশীপের মধ্যকার তফাৎগুলো বের হয়ে যায়। খারাপ কিছু ঘটে গেলে সেই মানুষটাকে নিয়ে যদি আপনার লড়াই করে টিকে থাকার মানসিকতা না থাকে, তবে তা আপনার ভালবাসা নয়, সেটা শুধুই রিলেশনশীপ মাত্র। দুজনের অর্ন্তনিহিত স্বার্থের লেনদেন সংক্রান্ত জাবেদামাত্র।
শুধুমাত্র রিলেশন হচ্ছে, সম্ভাব্যতার বিচারে দশজনকে দেখে আপনি একজনকে বেছে নিয়েছেন তার গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনা করে। আর যখন দুর্ভাগ্যবশত তার গ্রহণযোগ্যতা কমে গেল আপনিও হারিয়ে গেলেন। আপনান মন পবন অন্য দিকে বইতে লাগলো!
ভালবাসায় গ্রহণযোগ্যতা ও অগ্রহণযোগ্যতায় কিছু আসে যায় না।
ছেলেটি এখনো বেকার। এদিকে মেয়েটির বিয়ের সম্বন্ধ আসছেই। মেয়েটি বারবার বিয়ে ভেঙে দিচ্ছে। রাত জেগে চিন্তার চোখে কালশিটে দাগ হয়ে মেয়েটি এখন রাতজাগা ক্লাউন। এটাই ভালবাসা...
বারবার সুন্দরী মেয়েদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে ছেলেটি তার কালো বেঁটে প্রেমিকার মাঝেই সুখ খুঁজে পায়। এটাই ভালবাসা..
স্বামীর পাঁচবছর জেল হয়েছে। প্রতিদিন সাক্ষাৎ করতে দেবে না জেনেও স্ত্রী সকাল থেকে জেলখানা গেইটে বসে থাকে। এটাই ভালবাসা...
এসিড সন্ত্রাসের শিকার বউয়ের মুখটা চেনা যায় না। তারপর তার স্বামীর কাছে মেয়েটি রূপকথার রাজকন্যা। এটাই ভালবাসা...
শেষকথা, রিলেশনে জড়ানোটা অনেক সস্তা ও সহজ ব্যাপার। আজ রিলেশন, কাল রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দেওয়া, পরশু ঘুরতে যাওয়া, যুগল ছবি আপলোড দিয়ে রোমান্টিক ক্যাপশন দেওয়া, কথায় কথা লাভ য়্যু বলা, ব্লা ব্লা এগুলো সবাই পারে... এক্কেবারে সবাই। কিন্তু ভালবাসতে সবাই পারে না। যেখানে ভালবাসা আছে, সেখানে নিজের কাছে একটা অনেস্ট কমিটমেন্ট আছে। আর তা হলো...
"যা-ই হোক না কেন, মানুষটাকে নিয়ে লড়াই করে অন্তত শেষটুকু দেখা।"
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:০২