একটা সময় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং গুলোতে ইংরেজীর জনপ্রিয় টিচার ছিলাম। কোচিং ছাড়াও নিজের পার্সোনাল ব্যাচে প্রচুর স্টুডেন্ট পড়াতাম। সাথে তৈরি করতাম স্মার্ট লেকচার প্লান, নোটস ও প্রচুর এক্সারসাইজ শীট। এখন সংগত কারনে ম্যাসিভ পড়ানো ছেড়ে দিলেও কাউকে ইংলিশ নিয়ে জ্ঞ্যান দেওয়াটা স্বভাবে পরিণত হয়েছে। তাই সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে হলেও এখন থেকে পর্ব আকারে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য নিয়মিত লিখবো। এর মধ্যে দিকনির্দেশনা, গুরুত্বপূর্ণ টপিক, সহজবোধ্যভাবে গ্রামার আলোচনা, প্রাকটিস নোট ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। কারও পরিচিত ভাইবোন ২০২১ সালের পরীক্ষার্থী থাকলে দয়া করে শেয়ার করে দিবেন। আর সবাই সাপোর্ট দিলে ইনশাল্লাহ কন্টিনিউ করবো।
Episode - ০১
প্রাথমিক কথাবার্তা : কিভাবে ইংরেজি শুরু করবেন?
১)শব্দভান্ডার বাড়ানঃ
শব্দভান্ডার বাড়ান। বেশীরভাগ সময়ে যা হয় তা হলো, ব্যাকরণ ভালো জানা সত্ত্বেও আমরা সঠিক সময়ে সঠিক শব্দের প্রয়োগ করতে পারি না। তাই, ইংরেজীর শব্দভান্ডার বাড়াতে হবে আগে। প্রয়োজনীয় শব্দগুলোর ইংরেজী প্রতিশব্দগুলো রোজ কিছু কিছু করে শিখে ফেলুন।
আপনি যদি আপনার শব্দভান্ডার বাড়াতে চান তাহলে Vocabulary English to Bengali অ্যাপসটি ডাউনলোড করে নিন।
২)মুভি দেখুনঃ
বাড়িয়ে বলছি না একটুও। মুভি দেখা আপনার ইংরেজী জ্ঞান বাড়িয়ে দেবে অনেকটাই। ব্রিটিশ ও আমেরিকান মুভিগুলো দেখার চেষ্টা করুন। প্রথম দিকে সাবটাইটেল সহ মুভি দেখুন। এতে আপনি উচ্চারন শুনে বুঝতে না পারলে তা লেখার সাথে মিলিয়ে নিতে পারবেন। এভাবে আপনার লিসনিং এর দক্ষতা বাড়বে। এর পর ধীরে ধীরে সাবটাইটেল ছাড়া মুভি দেখুন। দেখবেন আপনি সাবটাইটেল ছাড়াই অনেকটাই বুঝতে পারছেন। এভাবে ধীরে ধীরে এক সময় পুরোটাই বুঝতে সক্ষম হবেন।
৩)গান শুনুনঃ
ইংরেজী গান শুনুন। প্রথম দিকে ধীরলয়ের। লিরিকস হাতে রাখুন। ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে নিতে পারেন। মুভির মতই কিছুদিন পরে আপনার আর লিরিকসের প্রয়োজন পড়বে না। এতে শুধু আপনার শোনার দক্ষতাই বাড়বে না, বরং শব্দভাণ্ডারও বাড়বে।
৪)গ্রামার চর্চা করুনঃ
গ্রামার তো লাগবেই। তাই গ্রামারের নিয়মগুলো বই থেকে রোজ কিছু কিছু হলেও চর্চা করুন। কাজে লাগবে।
৫)পত্রিকা পড়ুনঃ
প্রতিদিন ইংরেজী দৈনিক পত্রিকা পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রথম কিছুদিন শুধু হেডলাইনগুলো পড়ুন। যে যে শব্দগুলো নতুন মনে হচ্ছে সেগুলোর অর্থ জেনে নিন। এরপর কিছু দিন ছোট ছোট আর্টিকেলগুলো পড়ুন। তারপর বড়গুলো। মনে রাখবেন, এক দিনেই পুরো পত্রিকা পড়ার দরকার নেই, এতে উৎসাহ বাড়ার বদলে হতাশ হয়ে যেতে পারেন। ধীরে ধীরে এগোন।
৬)সাথে একটি ছোট ডিকশনারি রাখুনঃ
ছোট্ট একটি পকেট বাংলা টু ইংরেজি ডিকশনারী সাথে রাখতে পারেন। ধরুন বাসে বা গাড়িতে কোথাও যাচ্ছেন, এমন সময় আপনার পাশে ফুটপাতের কাঁচাবাজার পড়লো। দেখে নিন তো, কোন কোন সবজিগুলোর ইংরেজী নাম আপনি জানেন! আর যেগুলো জানেন না, সেগুলো জেনে নেবার জন্য তো আপনার কাছে ডিকশনারী আছেই।
৭)কথোপকথন করুনঃ
বন্ধু, পরিবারের কেউ বা অফিসের কোন কলিগের সাথে দৈনিক কিছু সময়ের জন্য হলেও ইংরেজীতে কথা বলুন। ভুল ভ্রান্তি হবেই, তাই বলে হাল ছেড়ে দেবেন না। যা খুশী বলুন। যেখানে যেখানে আটকে যাবেন, একে অন্যের সহযোগিতা নিন কিংবা সহায়ক বইয়ের সাহায্য নিন। এটা আপনার বলার জড়তা কাটাতে সহায়তা করবে।
৮)ডায়েরী লিখুনঃ
আমাদের অনেকেরই ডায়েরী লেখার অভ্যাস আছে। অনেক দিন পর পর নিজের লেখা ডায়েরী পড়াটা আসলেই অন্যরকম। স্মৃতিগুলোকে অক্ষরের বুনোটে আটকে রাখার এই কাজটাই করুন এবার, কিন্তু ইংরেজীতে। প্রতি দিনের কোন না কোন ঘটনা নিয়ে রোজ ডায়েরীতে এক পৃষ্ঠা হলেও লিখুন। এভাবে লিখতে গিয়ে আপনি নানা শব্দের ইংরেজী খুঁজতে গিয়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন শব্দের সাথে পরিচিত হবেন।
৯)অনুবাদ করুনঃ
প্রতিদিন পত্রিকার কোন একটা আর্টিকেলের অনুবাদ করুন নিজে নিজেই। এতে আপনার লেখার দক্ষতা বাড়বে।সেই সাথে ভাষাজ্ঞানও।
১০)ইংরেজী কোর্স করুনঃ
কাজের ফাঁকে ফাঁকে ছোট একটা ইংরেজী শেখার কোর্সও করে ফেলতে পারেন। একা একা না করে যদি সম্ভব হয় পরিচিত কেউ বা কোন বন্ধুর সাথে একসাথে কোর্স করতে পারেন। এতে চর্চাটা ভালো হবে। এছাড়া বাজার থেকে কিনে ফেলতে পারেন ঘরে বসে ইংরেজী চর্চার সিডি ও ডিভিডি। এগুলো দেখে দেখে অবসর সময়ে ঝালিয়ে নিতে পারেন নিজেকে।
১১)নিজে নিজে চর্চা করুনঃ
নিজে নিজে বাসায় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ইংরেজী বলার অভ্যাস করুন। কিংবা বাসায় জোরে জোরে পড়তে পারেন ইংরেজী পত্রিকা বা বই। এভাবে ধীরে ধীরে আপনার ইংরেজী বলার জড়তা কেটে যাবে।
যেহেতু ইংরেজী আমাদের মাতৃভাষা নয়, তাই, শিখতে একটু সময় আর শ্রম তো লাগবেই। তাই বলে হাল ছেড়ে দেবেন না। এখনো দেরী হয়ে যায়নি। আজ আর এই মুহূর্ত থেকেই শুরু করুন না! আর তফাতটা দেখুন নিজেই বা অন্যের প্রশংসা মেশানো দৃষ্টিতেই!
ইনশাল্লাহ আগামী পর্বে সরাসরি Grammar Discussion নিয়ে কথা হবে।