প্রতিটি ঈদেই রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো সাজে নবরূপে। নতুন রঙে রঞ্জিত এসব বিনোদনকেন্দ্র আরো রঙিন করে তোলে শিশুরা। এবারো তার ব হয়নি। ঈদের দিনের মতো আজ বৃহস্পতিবারও রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। সব বয়সী মানুষের ভিড় জমলেও সিংহভাগ দখল করে রাখে শিশুরা।
সারা বছরের পড়াশোনা আর অভভাবকদের কড়া শাসনের বাঁধন ছিঁড়ে ঈদের দিনগুলোতে যেন তারা খুশির আকাশে মুক্ত বিহঙ্গ হয়ে উড়তে চায়।
শাহবাগের শিশুপার্ক, মিরপুরের চিড়িয়াখানা, গুলশানের ওয়ান্ডারল্যান্ড, শ্যামলীর শিশুমেলা ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। ঈদের কারণে চিরচেনা ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা। কিন্তু সেই চিত্রের রেশ পাওয়া যায় নি বিনোদনকেন্দ্রগুলোর সামনে বা তার আশেপাশের এলাকাগুলোতে যেয়ে। বাবা-মার হাত ধরে পিপীলিকার সারির মতো লাইন ধরে শিশুরা ঢুকছে তাদের স্বপ্নের রাজ্যে।
আজ বিকেলে শিশুপার্কে গিয়ে দেখা যায় তিল ধারনের ঠাঁই নেই কোথাও। সকাল দশটায় শিশুপার্কের গেট খুলে দেয়ার পর থেকেই শিশুপার্কের ১১টি রাইডেই চড়তে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শিশুরা। কিন্তু কারো চোখে নেই কোন বিরক্তি। আছে রূপকথার রাজ্যে হারিয়ে যাওয়ার প্রতীক্ষা।
মিরপুর থেকে আগত ৮ বছর বয়সী আতিক জানালো সে ট্রেনে উঠার জন্য আধাঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। কষ্ট লাগছে কি না জানতে চাইলে ফোকলা দাঁতের হাসি দিয়ে বলে, একটু তো লাগছেই। সমস্যা নেই, সবাই তো দাঁড়িয়ে আছে।
তুমি কোন কোন রাইডে উঠেছো জানতে চাইলে দয়াগঞ্জ থেকে আসা মারিয়া জানায়, সে রোমাঞ্চ চক্র, উড়ন্ত বিমান, উড়ন্ত নভোযান, ঝুলন্ত চেয়ার আর লম্ফঝম্ফ রাইডে উঠেছে। সে বলে, এখনো ব্যাটারি কার আর ট্রেন তো বাকিই পড়ে আছে।
শিশুদের সাথে আসা অভিভাবকরা শিশুদের সাথে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে গেলেও সন্তানদের হাসি মুখ দেখে যেন একেবারেই ভুলে যান কষ্টের কথা। তাদেরই একজন সামিনা আহমেদ। তিনি বলেন, সকাল থেকে শিশুপার্ক যাবো বলে বাড়ি মাথায় তুলেছে। শেষ পর্যন্ত ১২টার সময় নিয়ে এসেছি। প্রায় ৫ ঘণ্টা হয়ে গেছে এখনো তার উঠার নাম নেই। আসলে পড়াশোনার ফাঁক গলে তো বের হতে পারেনা। খোলা জায়গা পেয়ে কোন বাঁধা আর মানছে না।
শুধু শিশুপার্কই নয় মিরপুর চিড়িয়াখানা, শ্যামলীর শিশুমেলা, গুলশানের ওয়ান্ডাল্যান্ড, স্বামীবাগ ওয়ান্ডারল্যান্ড, চন্দ্রিমা উদ্যান, রমনা উদ্যান, ধানমণ্ডি লেক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, গুলশান পার্কসহ পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন মেলায় ছিল শিশুদের সরব উপস্থিতি।
ঈদে শিশুদের আনন্দ থাকে সবচেয়ে বেশি। কিন্তু বড়রাও তাদের চেয়ে কোন অংশে কম ছিলো না। কেউ এক ঝাঁক বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আবার কেউ প্রিয়জনের হাত ধরে ঘুরে বেড়াছে ফাঁকা ঢাকার এপার ওপার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, ধানমণ্ডি লেক, বিভিন্ন পার্ক উদ্যানে ছিলো বড়দের সরব উপস্থিতি।
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। সারা বছরের ব্যস্ততা আর যান্ত্রিকতার মাঝে দম ফেলানোর সময় পায় না কেউ। তাই ছুটি পেয়ে শিশুদের সাথে অভিভাবকরাও যেন ফিরে যান তাদের ফেলে আসা সোনালি স্মৃতিতে। যেখানে তারা ঘুরতেন তাদের বাবা-মার হাত ধরে আর বায়না ধরতেন এটা দাও, ওটা দাও না হলে বাড়ি যাবো না!প্রতিটি ঈদেই রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো সাজে নবরূপে। নতুন রঙে রঞ্জিত এসব বিনোদনকেন্দ্র আরো রঙিন করে তোলে শিশুরা। এবারো তার ব হয়নি। ঈদের দিনের মতো আজ বৃহস্পতিবারও রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। সব বয়সী মানুষের ভিড় জমলেও সিংহভাগ দখল করে রাখে শিশুরা।
সারা বছরের পড়াশোনা আর অভভাবকদের কড়া শাসনের বাঁধন ছিঁড়ে ঈদের দিনগুলোতে যেন তারা খুশির আকাশে মুক্ত বিহঙ্গ হয়ে উড়তে চায়।
শাহবাগের শিশুপার্ক, মিরপুরের চিড়িয়াখানা, গুলশানের ওয়ান্ডারল্যান্ড, শ্যামলীর শিশুমেলা ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। ঈদের কারণে চিরচেনা ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা। কিন্তু সেই চিত্রের রেশ পাওয়া যায় নি বিনোদনকেন্দ্রগুলোর সামনে বা তার আশেপাশের এলাকাগুলোতে যেয়ে। বাবা-মার হাত ধরে পিপীলিকার সারির মতো লাইন ধরে শিশুরা ঢুকছে তাদের স্বপ্নের রাজ্যে।
আজ বিকেলে শিশুপার্কে গিয়ে দেখা যায় তিল ধারনের ঠাঁই নেই কোথাও। সকাল দশটায় শিশুপার্কের গেট খুলে দেয়ার পর থেকেই শিশুপার্কের ১১টি রাইডেই চড়তে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শিশুরা। কিন্তু কারো চোখে নেই কোন বিরক্তি। আছে রূপকথার রাজ্যে হারিয়ে যাওয়ার প্রতীক্ষা।
মিরপুর থেকে আগত ৮ বছর বয়সী আতিক জানালো সে ট্রেনে উঠার জন্য আধাঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। কষ্ট লাগছে কি না জানতে চাইলে ফোকলা দাঁতের হাসি দিয়ে বলে, একটু তো লাগছেই। সমস্যা নেই, সবাই তো দাঁড়িয়ে আছে।
তুমি কোন কোন রাইডে উঠেছো জানতে চাইলে দয়াগঞ্জ থেকে আসা মারিয়া জানায়, সে রোমাঞ্চ চক্র, উড়ন্ত বিমান, উড়ন্ত নভোযান, ঝুলন্ত চেয়ার আর লম্ফঝম্ফ রাইডে উঠেছে। সে বলে, এখনো ব্যাটারি কার আর ট্রেন তো বাকিই পড়ে আছে।
শিশুদের সাথে আসা অভিভাবকরা শিশুদের সাথে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে গেলেও সন্তানদের হাসি মুখ দেখে যেন একেবারেই ভুলে যান কষ্টের কথা। তাদেরই একজন সামিনা আহমেদ। তিনি বলেন, সকাল থেকে শিশুপার্ক যাবো বলে বাড়ি মাথায় তুলেছে। শেষ পর্যন্ত ১২টার সময় নিয়ে এসেছি। প্রায় ৫ ঘণ্টা হয়ে গেছে এখনো তার উঠার নাম নেই। আসলে পড়াশোনার ফাঁক গলে তো বের হতে পারেনা। খোলা জায়গা পেয়ে কোন বাঁধা আর মানছে না।
শুধু শিশুপার্কই নয় মিরপুর চিড়িয়াখানা, শ্যামলীর শিশুমেলা, গুলশানের ওয়ান্ডাল্যান্ড, স্বামীবাগ ওয়ান্ডারল্যান্ড, চন্দ্রিমা উদ্যান, রমনা উদ্যান, ধানমণ্ডি লেক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, গুলশান পার্কসহ পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন মেলায় ছিল শিশুদের সরব উপস্থিতি।
ঈদে শিশুদের আনন্দ থাকে সবচেয়ে বেশি। কিন্তু বড়রাও তাদের চেয়ে কোন অংশে কম ছিলো না। কেউ এক ঝাঁক বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আবার কেউ প্রিয়জনের হাত ধরে ঘুরে বেড়াছে ফাঁকা ঢাকার এপার ওপার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, ধানমণ্ডি লেক, বিভিন্ন পার্ক উদ্যানে ছিলো বড়দের সরব উপস্থিতি।
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। সারা বছরের ব্যস্ততা আর যান্ত্রিকতার মাঝে দম ফেলানোর সময় পায় না কেউ। তাই ছুটি পেয়ে শিশুদের সাথে অভিভাবকরাও যেন ফিরে যান তাদের ফেলে আসা সোনালি স্মৃতিতে। যেখানে তারা ঘুরতেন তাদের বাবা-মার হাত ধরে আর বায়না ধরতেন এটা দাও, ওটা দাও না হলে বাড়ি যাবো না!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



