somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঈদের রঙে রঙিন রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রগুলো

১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রতিটি ঈদেই রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো সাজে নবরূপে। নতুন রঙে রঞ্জিত এসব বিনোদনকেন্দ্র আরো রঙিন করে তোলে শিশুরা। এবারো তার ব হয়নি। ঈদের দিনের মতো আজ বৃহস্পতিবারও রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। সব বয়সী মানুষের ভিড় জমলেও সিংহভাগ দখল করে রাখে শিশুরা।
সারা বছরের পড়াশোনা আর অভভাবকদের কড়া শাসনের বাঁধন ছিঁড়ে ঈদের দিনগুলোতে যেন তারা খুশির আকাশে মুক্ত বিহঙ্গ হয়ে উড়তে চায়।
শাহবাগের শিশুপার্ক, মিরপুরের চিড়িয়াখানা, গুলশানের ওয়ান্ডারল্যান্ড, শ্যামলীর শিশুমেলা ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। ঈদের কারণে চিরচেনা ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা। কিন্তু সেই চিত্রের রেশ পাওয়া যায় নি বিনোদনকেন্দ্রগুলোর সামনে বা তার আশেপাশের এলাকাগুলোতে যেয়ে। বাবা-মার হাত ধরে পিপীলিকার সারির মতো লাইন ধরে শিশুরা ঢুকছে তাদের স্বপ্নের রাজ্যে।
আজ বিকেলে শিশুপার্কে গিয়ে দেখা যায় তিল ধারনের ঠাঁই নেই কোথাও। সকাল দশটায় শিশুপার্কের গেট খুলে দেয়ার পর থেকেই শিশুপার্কের ১১টি রাইডেই চড়তে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শিশুরা। কিন্তু কারো চোখে নেই কোন বিরক্তি। আছে রূপকথার রাজ্যে হারিয়ে যাওয়ার প্রতীক্ষা।
মিরপুর থেকে আগত ৮ বছর বয়সী আতিক জানালো সে ট্রেনে উঠার জন্য আধাঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। কষ্ট লাগছে কি না জানতে চাইলে ফোকলা দাঁতের হাসি দিয়ে বলে, একটু তো লাগছেই। সমস্যা নেই, সবাই তো দাঁড়িয়ে আছে।
তুমি কোন কোন রাইডে উঠেছো জানতে চাইলে দয়াগঞ্জ থেকে আসা মারিয়া জানায়, সে রোমাঞ্চ চক্র, উড়ন্ত বিমান, উড়ন্ত নভোযান, ঝুলন্ত চেয়ার আর লম্ফঝম্ফ রাইডে উঠেছে। সে বলে, এখনো ব্যাটারি কার আর ট্রেন তো বাকিই পড়ে আছে।
শিশুদের সাথে আসা অভিভাবকরা শিশুদের সাথে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে গেলেও সন্তানদের হাসি মুখ দেখে যেন একেবারেই ভুলে যান কষ্টের কথা। তাদেরই একজন সামিনা আহমেদ। তিনি বলেন, সকাল থেকে শিশুপার্ক যাবো বলে বাড়ি মাথায় তুলেছে। শেষ পর্যন্ত ১২টার সময় নিয়ে এসেছি। প্রায় ৫ ঘণ্টা হয়ে গেছে এখনো তার উঠার নাম নেই। আসলে পড়াশোনার ফাঁক গলে তো বের হতে পারেনা। খোলা জায়গা পেয়ে কোন বাঁধা আর মানছে না।
শুধু শিশুপার্কই নয় মিরপুর চিড়িয়াখানা, শ্যামলীর শিশুমেলা, গুলশানের ওয়ান্ডাল্যান্ড, স্বামীবাগ ওয়ান্ডারল্যান্ড, চন্দ্রিমা উদ্যান, রমনা উদ্যান, ধানমণ্ডি লেক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, গুলশান পার্কসহ পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন মেলায় ছিল শিশুদের সরব উপস্থিতি।
ঈদে শিশুদের আনন্দ থাকে সবচেয়ে বেশি। কিন্তু বড়রাও তাদের চেয়ে কোন অংশে কম ছিলো না। কেউ এক ঝাঁক বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আবার কেউ প্রিয়জনের হাত ধরে ঘুরে বেড়াছে ফাঁকা ঢাকার এপার ওপার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, ধানমণ্ডি লেক, বিভিন্ন পার্ক উদ্যানে ছিলো বড়দের সরব উপস্থিতি।
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। সারা বছরের ব্যস্ততা আর যান্ত্রিকতার মাঝে দম ফেলানোর সময় পায় না কেউ। তাই ছুটি পেয়ে শিশুদের সাথে অভিভাবকরাও যেন ফিরে যান তাদের ফেলে আসা সোনালি স্মৃতিতে। যেখানে তারা ঘুরতেন তাদের বাবা-মার হাত ধরে আর বায়না ধরতেন এটা দাও, ওটা দাও না হলে বাড়ি যাবো না!প্রতিটি ঈদেই রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো সাজে নবরূপে। নতুন রঙে রঞ্জিত এসব বিনোদনকেন্দ্র আরো রঙিন করে তোলে শিশুরা। এবারো তার ব হয়নি। ঈদের দিনের মতো আজ বৃহস্পতিবারও রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। সব বয়সী মানুষের ভিড় জমলেও সিংহভাগ দখল করে রাখে শিশুরা।
সারা বছরের পড়াশোনা আর অভভাবকদের কড়া শাসনের বাঁধন ছিঁড়ে ঈদের দিনগুলোতে যেন তারা খুশির আকাশে মুক্ত বিহঙ্গ হয়ে উড়তে চায়।
শাহবাগের শিশুপার্ক, মিরপুরের চিড়িয়াখানা, গুলশানের ওয়ান্ডারল্যান্ড, শ্যামলীর শিশুমেলা ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। ঈদের কারণে চিরচেনা ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা। কিন্তু সেই চিত্রের রেশ পাওয়া যায় নি বিনোদনকেন্দ্রগুলোর সামনে বা তার আশেপাশের এলাকাগুলোতে যেয়ে। বাবা-মার হাত ধরে পিপীলিকার সারির মতো লাইন ধরে শিশুরা ঢুকছে তাদের স্বপ্নের রাজ্যে।
আজ বিকেলে শিশুপার্কে গিয়ে দেখা যায় তিল ধারনের ঠাঁই নেই কোথাও। সকাল দশটায় শিশুপার্কের গেট খুলে দেয়ার পর থেকেই শিশুপার্কের ১১টি রাইডেই চড়তে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শিশুরা। কিন্তু কারো চোখে নেই কোন বিরক্তি। আছে রূপকথার রাজ্যে হারিয়ে যাওয়ার প্রতীক্ষা।
মিরপুর থেকে আগত ৮ বছর বয়সী আতিক জানালো সে ট্রেনে উঠার জন্য আধাঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। কষ্ট লাগছে কি না জানতে চাইলে ফোকলা দাঁতের হাসি দিয়ে বলে, একটু তো লাগছেই। সমস্যা নেই, সবাই তো দাঁড়িয়ে আছে।
তুমি কোন কোন রাইডে উঠেছো জানতে চাইলে দয়াগঞ্জ থেকে আসা মারিয়া জানায়, সে রোমাঞ্চ চক্র, উড়ন্ত বিমান, উড়ন্ত নভোযান, ঝুলন্ত চেয়ার আর লম্ফঝম্ফ রাইডে উঠেছে। সে বলে, এখনো ব্যাটারি কার আর ট্রেন তো বাকিই পড়ে আছে।
শিশুদের সাথে আসা অভিভাবকরা শিশুদের সাথে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে গেলেও সন্তানদের হাসি মুখ দেখে যেন একেবারেই ভুলে যান কষ্টের কথা। তাদেরই একজন সামিনা আহমেদ। তিনি বলেন, সকাল থেকে শিশুপার্ক যাবো বলে বাড়ি মাথায় তুলেছে। শেষ পর্যন্ত ১২টার সময় নিয়ে এসেছি। প্রায় ৫ ঘণ্টা হয়ে গেছে এখনো তার উঠার নাম নেই। আসলে পড়াশোনার ফাঁক গলে তো বের হতে পারেনা। খোলা জায়গা পেয়ে কোন বাঁধা আর মানছে না।
শুধু শিশুপার্কই নয় মিরপুর চিড়িয়াখানা, শ্যামলীর শিশুমেলা, গুলশানের ওয়ান্ডাল্যান্ড, স্বামীবাগ ওয়ান্ডারল্যান্ড, চন্দ্রিমা উদ্যান, রমনা উদ্যান, ধানমণ্ডি লেক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, গুলশান পার্কসহ পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন মেলায় ছিল শিশুদের সরব উপস্থিতি।
ঈদে শিশুদের আনন্দ থাকে সবচেয়ে বেশি। কিন্তু বড়রাও তাদের চেয়ে কোন অংশে কম ছিলো না। কেউ এক ঝাঁক বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আবার কেউ প্রিয়জনের হাত ধরে ঘুরে বেড়াছে ফাঁকা ঢাকার এপার ওপার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, ধানমণ্ডি লেক, বিভিন্ন পার্ক উদ্যানে ছিলো বড়দের সরব উপস্থিতি।
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। সারা বছরের ব্যস্ততা আর যান্ত্রিকতার মাঝে দম ফেলানোর সময় পায় না কেউ। তাই ছুটি পেয়ে শিশুদের সাথে অভিভাবকরাও যেন ফিরে যান তাদের ফেলে আসা সোনালি স্মৃতিতে। যেখানে তারা ঘুরতেন তাদের বাবা-মার হাত ধরে আর বায়না ধরতেন এটা দাও, ওটা দাও না হলে বাড়ি যাবো না!
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×