একটি মোবাইল ফোনের জন্য মো. রাহাত প্রামাণিক(৮) নামের এক শিশুকে গলা টিপে হত্যা করেছে তারই চাচা। পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসামপুর গ্রামে গতকাল রোববার এ ঘটনা ঘটে।
পরে ঘাতক চাচা জাহিদুর রহমানের (২২) স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আজ সোমবার সকালে পদ্মা নদী থেকে রাহাতের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে রাহাতের বাবা মো. হাফিজ উদ্দিন প্রামাণিক বাদী হয়ে জাহিদুরকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন।
জাহিদ পুলিশকে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন, গতকাল সকাল নয়টার দিকে রাহাতের বাবা নিজের মোবাইল ফোনটি বাড়িতে রেখে বাইরে যান। এ সময় তিনি ভাতিজা রাহাতকে দিয়ে মোবাইল ফোনটি বাড়ি থেকে চেয়ে আনান। পরে ফোনটি আত্মসাৎ করার জন্য তিনি ভাতিজা রাহাতকে বাড়ির পাশের পদ্মা নদীর পাড়ে নিয়ে যান। সেখানে তিনি ভাতিজার কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে তাকে গলা টিপে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেন।
রাহাতের বাবা মো. হাফিজ উদ্দিন প্রামাণিক জানান, সকাল থেকে রাহাতকে না পেয়ে তাঁরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে গ্রামবাসীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিতে থাকেন। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম জাহিদুল ইসলাম জানান, রাতে থানায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদ হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আজ সকাল সাতটায় রাহাতের লাশ উদ্ধার করা হয়। ১৬১ ধারায় ঘাতক জাহিদের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



