১৯৬৯ সালে নির্বাচন। প্রতিদ্বদ্ধিতা হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও পাকিস্তান মুসলিম লীগের মাঝে। যথা সময়ে ভোট শুরু হচ্ছে। গ্রামের মানুষ যার যার মত কাজ-কর্ম সেরে ভোট দিতে যাচ্ছেন। এক সময় ভোট দিতে আসলেন এক বয়স্ক মহিলা। তিনি মুসলিম লীগকে ভোট দিবেন। কারণ, তার স্বামী মুসলীম লীগ সমর্তক। তিনি স্বামীকে খুব সম্মান করেন।
এলাকার নূর সাহেব কলেজ পড়ুয়া। তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষ জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন। যেন কোন ভোট মুসলীম লীগের বাক্সে না যায় সে জন্য প্রাণ-পণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। হঠাৎ তিনি লক্ষ করলেন তার ভাবি ভোট দিতে আসছেন। তিনি যেহেতু তার ভাই সম্পর্কে জানেন তাই সিদ্ধান্ত নিলেন। যে কোন ভাবে এ ভোট বাতিল করাতে হবে। তাই তিনি ভাবির পেছনে পেছনে ভোট কেন্দ্রে ডুকলেন। ডুকেই দায়িত্বশীলদের কাছে চ্যালেঞ্ছ করে বসলেন এই মহিলা জাল ভোটে দিতে এসেছে তার ভাবির। ইনি তার ভাবি নন। প্রমাণ হলো ইতি যার ভোট দিতে এসেছে তার স্বামির নাম জানে না। জানলে যেন সে বলে।
মহিলারতো আক্কেল গুড়ুম। কিরে নূর আমার দেবর, ও এসব বলে কী?
নূর সাহের আবার বললেন - স্যার ওকে স্বামির নাম জিজ্ঞেস করুন।
কর্তব্যরত দায়িত্বশীল বললেন- আপনার স্বামির নাম কী?
তিনি পাশে থাকা এজেন্ড, মাওলানা আব্দুল আজীজকে লক্ষ করে বললেন- ও মলবী আব্দুল আজীজ! আমার স্বামি নামটা বলোনা।
মাওলানা আব্দুল আজীজ রসিক লোক, তিনি বললেন- আমি বলব কেন, তুমি বলো তোমার স্বামির নাম।
তিনিতো পড়ে মহা বিপদে। হায় সর্বনাশ! প্রয়োজনে ভোট বাদ দেওয়া যায় তাই বলে ভোট দেওয়ার জন্য স্বামির নাম নেওয়ার মতো দৃষ্টতা দেখানোর মত অভদ্র মহিলা তিনি নন।
শেষ পযন্ত স্বামির নাম বলতে না পারায়, বেচারি ভোট না দিয়ে বাড়িতে পেরৎ আসলেন!!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


