আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট লীগ নিয়ে আক্ষেপের শেষ নেই। এই ব্লগেই অনেকে এই ধরণের আক্ষেপ জানিয়ে পোষ্ট দিয়েছে। আসলে উনাদের আক্ষেপের জায়গাটা ঠিক আছে। আমরা ১৮ বছর ধরে টেষ্ট খেলছি, তারও আগ থেকে ক্রিকেট খেলছি। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রতিবছর প্রায় ৪-৫টার মত আসর হয়। কিন্তু আমাদের সকল এনালাইসিস হয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ আর বিপিএল নিয়ে। আপনি ঘরোয়া ক্রিকেটের সম্প্রচার দেখবেন তো দূরের কথা এগুলির ডাটা, প্লেয়ারের ট্যাকনিক নিয়ে এনালাইসিস করার মত ভিডিও ফুটেজও পাবেন না।
গত এপ্রিলে (সময়টা ভুল হতে পারে) দেখলাম নেপালের ঘরোয়া একটি আসরের খেলা সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে, ইংরেজীতে কমেন্টরিও দিচ্ছে, পুরো মাঠ কাভারেজ হচ্ছে, প্রচার করছে সম্ভবত তাদের জাতীয় চ্যানেলই। জানিনা তারা আগামী বছর আবার এটা করবে কিনা, তবে চেষ্টা যে করেছে সেটা অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। আমাদের বিসিবি কি এমন চেষ্টা করেছে কখনো?
যদি খেলোয়াড় বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ঘরোয়া ক্রিকেট কেই প্রাধান্য দেওয়া হয় তাহলে সেখানে কেন প্রচারের ব্যবস্থা থাকবে না, এনালাইসিস করার মত ভিডিও ফুটেজ থাকবে না? নাকি দিন শেষে খেলোয়াড়ের নামের পাশে কত রান আসলো সেটা দেখেই নির্বাচন করা হবে।
নামের পাশে রান দেখে কি আসলে সঠিক নির্বাচন হয়? হয়ত হয়, তবে নির্ভুল বিবেচনা হয় না। কারণ রানের পাশাপাশি আরো দেখতে হবে সে এই রান করতে কতটা সাবলীল ছিলো, লাইফ পেয়েছে কতবার, রানিং বিটুইন দ্যা উইকেটে কেমন ছিলো, ফিল্ডে ফিটনেস কেমন ছিলো, বড় শর্ট নেওয়ার ক্ষেত্রে তার বল সিলেকশন কেমন ছিলো, রিস্কি শর্ট বেশি খেলেছে নাকি ক্যালকুলেটিভ ছিলো এগুলো সহ আরো অনেক কিছু।
এক্ষেত্রে বাস্তবতা বলতে এ ব্যাপারে বিসিবির পদক্ষেপ নেই বললেই চলে। প্রচার তো দূরের কথা ভিডিও ফুটেজও ধারণ করে রাখা হয় না আমাদের ঘরোয়া লীগ গুলোর।
বিসিবি হয়তো প্রচারের ক্ষেত্রে স্পনসর পাওয়া যায় না বলে দায় এড়িয়ে যাবে। বিসিবি আজ কোটি ডলারের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায় আরো ভালো করতে হলে তাকে এই জায়গায় কিছুটা ইনভেস্ট করতে হবেই। নাহলে ভবিষ্যতে ব্যবসায় ধ্বস নামার আশঙ্কা থেকে যাবেই।
বিসিবির এই ব্যাপারে শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪২