ডঃ কামাল সাহেবের রাজনৈতিক হাতেখড়ি শেখ সাহেবের হাতে। রাজনীতিতে শেখ সাহেব উনাকে অনেক সুযোগ দিয়েছেন, উনি কোন সুযোগই ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারেননি। শেখ সাহেব যখন মারা যান তখন উনি বাহিরে ছিলেন। উনার মৃত্যুর খবরে উনি কোন বিবৃতি দেননি, আন্তর্জাতিকভাবে লবিং করে এই হত্যার বিচার চাননি। উনার নেতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে, উনি বিদেশে থেকেও শক্ত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারতেন। হ্যাঁ, উনি ওই দিনের পরের দিন শেখ হাসিনার কাছে গিয়েছেন, উনাকে শান্তনা দিয়েছেন, দেশে ফিরিয়ে আনবেন বলেছেন। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসার পিছনে উনার বড় কোন প্রভাব ছিলো না। আসলে মেজর জিয়া একটু নমনীয় হওয়ায় শেখ হাসিনা দেশে আসতে পেরেছে। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে উনাকে দলে নিয়েছেন, তার বাবার মত তাকে কাছে রেখেছেন, সুযোগ দিয়েছেন কিন্তু তিনি বরাবরই জাতির জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েও কাজ করেননি।
যাক শেষমেশ শেখ হাসিনার উপর রাগটাগ করে উনি বের হয়ে গিয়েছেন। বের হয়ে গিয়েও উনি একটা সুযোগ সৃষ্টি করেছেন, গণফোরাম গঠন করেছেন, দেশের সকল প্রফেশনালদের ডাক দিয়েছেন, তারাও এসেছেন। গণফোরাম সৃষ্টি করার দিনই উনি সেই সুযোগ নষ্ট করেছেন। উনি মনে হয় সে দিন কোন হোমওয়ার্ক করা ছাড়াই চলে এসেছেন। সবসময় উনি কোট টাই পরে থাকলেও সেদিন উনি হাফহাতা শার্ট পরে বক্তব্য দিতে এসেছেন। পোশাক আশাকেও যেমন উনাকে প্রফেশনাল লাগেনি তেমন কথাবার্তায় প্রফেশনাল মনে হয়নি। তাইতো পরের দিন পত্রিকায় উনার গণফোরামের কথা হেডলাইনে ছাপা না হয়ে ড: ইউনূসের "পথের বাঁধা সরিয়ে নিন" কথাটি হেডলাইনে আসে।
সেদিন সে সমাবেশে সারাদেশ থেকে হাজারের উপরে ডেলিগেট এসেছিলো, অর্থনীতিবিদ, সমাজবিদ, কৃষিবিদ, ডাক্তার সবই ছিলো। আমাদের আজকের অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেবও গিয়েছিলেন সেদিন সে সমাবেশে। ডঃ কামাল হোসেনের কাছে সেই দিনটি ছিলো জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন, অবিশ্বাস্য সুযোগ। তিনি সেই সুযোগ লুফে নিতে পারেননি, পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। আজ উনি ঐক্যফ্র্ন্ট করেছেন, ক্ষমতায় ভারসাম্য আনবেন বলেছেন, কিন্তু আমার বিশ্বাস ঐক্যফ্র্ন্ট ক্ষমতায় আসলেও উনি এসব করতে পারবেন না। রাজনীতিতে এই মানুষটি আপাদমস্তক একজন ব্যর্থ রাজনীতিবিদ তবে কর্পোরেট লয়ার হিসেবে শতভাগ সফল।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৭