ঢাকা শহরের অলিতে গলিতে নাক বোচা চীনারা মোবাইল, ল্যাপটপ, মেশিনারি টুলস কম দামে ফেরি করে বিক্রি করছে! ক্রেতাও আছে। যারা সাম্রাজ্যবাদ বা পুঁজিবাদ ব্যাপারটিকে ভালভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেননা তাদের জন্য এটি একটি জলজ্যান্ত উদাহরণ।
কোনো দেশ সাম্রাজ্যবাদ নীতি তখনই অনুসরণ করে যখন তার দেশের চাহিদা মিটানোর পরেও উৎপাদিত পণ্যের মজুদ থেকে যায়। মজুদকৃত পণ্যের বাজার খোঁজার জন্য সেই দেশ অন্য আরেকটি দেশের বাজারে প্রবেশ করে এবং আস্তে আস্তে সেই দেশের বাজার দখল করতে থাকে। সকাল বেলা উঠে চায়না টুথব্রাশ এবং রাতে ঘুমাতে গিয়ে চায়না মশারি টাঙ্গিয়ে ঘুমান, সাম্রাজ্যবাদের উদাহরণ এর চেয়ে ভাল আর কি হতে পারে!
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সৃষ্টি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থা। এখন বিশ্বশক্তির ভরকেন্দ্র ঘনীভূত হচ্ছে চীনাদের ঘিরে। চাইনিজ গার্ভেজে ভরে যাচ্ছে সারা বিশ্ব। নতুন নতুন বাজার পেতে মরিয়া হয়ে যাচ্ছে চীনারা। তাদের এই লাগামহীন বাজার খোঁজা বিশ্বকে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের দিকে ধাবিত করছে।
চাইনিজদের থেকে পণ্য কিনে টেকসই উন্নয়ন করা সম্ভব না। এরা ব্যবসা ছাড়া আর কিছুই বুঝতে চাইবে না। যেকোন মূল্য তারা মুনাফা লাভের পন্থা বের করে নিবে।
চীনারা তাদের ভৌগলিক সম্প্রসারণের জন্য কখনো সামরিক আগ্রাসন নীতি অনুসরণ করেনি, এটা তাদের একটা ভালো দিক। এই নীতি তাদের সব সম্রাট, প্রেসিডেন্ট মানার চেষ্টা করে যাকে “ডক্ট্রিন অব মিইন” বলে। চীনারা তাদের উৎপাদিত পণ্য দিয়ে অন্য দেশের বাজার দখল করে নেয়। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল আর শ্রীলঙ্কার বাজারের বিরাট অংশ চাইনিজদের দখলে।
চীনাদের আরেকটি নতুন কৌশল হচ্ছে ঋণ দিয়ে আটকে ফেলা। কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা এই জালে প্রায় আটকে পড়েছে!
আগামী তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চীনাদের এই বাজার দখলের কারনে সংগঠিত হবে। এরা এদের গার্ভেজ বিক্রির জন্য যেকোন নীতি অনুসরণ করবে যার জন্য আমেরিকা এদের ঠেকাতে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিবে!
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮