যদি আপনি শুনুন আপনার বাবা মারা গিয়েছে এবং আপনার বাবা পূর্ব থেকে অসুস্থ ছিল তারপরও আপনি শোকাহত হবেন, কষ্ট পাবেন নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এরপর আপনি যদি শুনেন আপনার বাবা স্বাভাবিক ভাবে মারা যায়নি, তাকে খুন করা হয়েছে, আপনার শোক, কষ্ট দ্বিগুণ হয়ে যাবে। আপনি নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারবেন না কোনভাবেই। শোক, কষ্ট একসময় ক্রোধ জন্ম দিবে, যেকোন মূল্যে খুনিকে সেই কষ্ট, শোক ফিরিয়ে দিতে চাইবেন। আপনি শুনতে চাইবেন না আপনার বাবা কি করেছে কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে, তার অপরাধ কি ছিল!
১৫ আগষ্টের খবর যখন শেখ হাসিনার কানে পৌঁছেছিল তখন নিশ্চয়ই তার পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পাননি তিনি। সেই শোক, কষ্টের পরিমান আপনি এই ২০১৯ এ মোবাইল, ল্যাপটপের কিপ্যাড টিপেটিপে বুজতে পারবেন না। শুধু বাবাকে না মা, ভাই, ভাবি, ছোট ভাই সবাইকে হত্যা করা হয়েছে তাদের থাকার রুমে, পায়ে হাঁটার সিঁড়িতে!
এই ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করলে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, বাঙ্গালীদের ভুলে যাওয়ার কথা।
আজ শেখ হাসিনার হাতে যে পরিমান ক্ষমতা আছে তার অর্ধেক পরিমান ক্ষমতা আপনার হাতে থাকলেই আপনি শুধু আপনার বাবার খুনিকে না তার চৌদ্দগুষ্টিকে নির্মূল করতে চাইতেন!
আজ ১৫ আগষ্ট এই দিনটি তে কেমন বোধ হয় শেখ হাসিনার? বিশাল এক যৌথ পরিবারে বেড়ে উঠা এবং এক দিনেই সেই পরিবারের সবাইকে হারিয়ে ফেলার স্মৃতি তাকে কতটা তাড়িয়ে বেড়ায়?
বঙ্গবন্ধু প্রতিস্থাপনযোগ্য কোন নেতা নন, তাঁর বিকল্প কোন মেজর, জেনারেলকে দাঁড় করানো মানে এভারেস্টের পাশে উইপোকার ঢিবি বসিয়ে তুলনা করা!
শেখ হাসিনার সব হারানোর দিনে যারা বেগম জিয়াকে জন্মদিন পালনের বুদ্ধি দিয়েছিল তারা আজ বেগম জিয়াকে দেখার জন্য জেলে কেক নিয়ে যাচ্ছে নাকি?
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৪৭