বইটার নাম কী?’
‘কইলাম না বস, ছালকা-বালকা নাই, কী নাম হেডাও লেহা নাই।’
‘আচ্ছা ঠিক আছে তুমি বইটা তুলে রাখো। আমি বিকালের দিকে আসছি। আর সাথে আরো কিছু বই যোগাড় করে রেখো।’
‘আচ্ছা বস ঠিক আছে। ‘খোদা হাফেজ, স্লামালেকুম।’
‘ওয়ালাইকুম।’
২.
বইটার মলাট নেই। প্রিন্টার্স লাইনের পাতাটাও নেই। প্রথম দিকের কয়েকটা পাতাও নেই। তবে ভেতরের দু’এক পাতা পড়ে বোঝা গেল এটা সম্ভবত একটা হরর বই। বইয়ের নাম বা লেখকের নাম জানার কোন উপায় নেই। তবে ভেতরের পাতাগুলোর বর্তমান অবস্থা দেখে বোঝা যায়, বইটা বহু পুরনো। পুরনো হলেও হরর বইয়ের প্রতি আমার তেমন কোন আকর্ষণ নেই। তাই কতণ বইটা নেড়েচেড়ে দেখে আমি রেখে দিলাম। তা দেখে খুব আশাভঙ্গ হয়ে যাওয়া মানুষের মত হতাশ সুরে শাহজাহান জিজ্ঞেস করলো, ‘বস পছন্দ হইলো না বইটা? জিনিসটা কিন্তু ভালো আছিলো। বহুত পুরানা মাল। এর’ম জিনিস সব সময় পাইবেন না।’
আমি কী কারণে যেন শাহজাহানের কথা শেষ হতেই বইটা আবার হাতে তুলে নিলাম। কয়েক পাতা উল্টাতেই একটা ব্যাপারে আমার নজর পড়লো। আর সাথে সাথেই বইটা কেনার প্রতি আমার বিশেষ আগ্রহ জন্মে উঠল। আমি শাহজাহানকে বললাম, ‘বইটা আমি নেব।’

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



