বাবার উপস্থিতি অনেক বেশি প্রয়োজন
বিশ্ব বাবা দিবস আসলে মনটা আরও একবার খারাপ হয়ে যায়। যাদের বাবা আছে তারা হয়তো কত মজা করবে-কিন্তু আমি? আমি কার সাথে মজা করব? নানা ব্যস্ততার মধ্যে হয়তোবা মসজিদে গিয়ে তার জন্য আল্লাহর কাছে অনেক দোয়া চাইবো। আমি অনেকটা কম বয়সেই বাবাকে হারিয়েছি। তখন সবে মাত্র ইউনিভার্সিটি প্রথম বর্ষে পড়ি। মধ্যবিত্তের সংসারে বেড়ে ওঠা এই আমি জানি বাবার কতটা প্রয়োজন। তবে বাবা দিবসে আমার কষ্ট নেই। আমার কাছে বাবা মৃত নন, সব সময় তিনি আছেন আমার মনের গহীনে, থাকবেন যতদিন আমি বেচে থাকবো। তবে এটা জানি বাবার উপস্থিতি একটি সংসারে অনেক বেশি প্রয়োজন।
সংসারে আমরা ছিলাম ৩ভাই, ৩বোন। আছেন মা। বড় ২ বোনের পড়াশোনা-বিয়ে দেওয়ার চিন্তা যেমন তার ছিল, একই চিন্তা ছিল সবাইকে নিয়েই। কির্মজীবনে একজন ম্যারেজ রেজিস্ট্রার ছিলেন তিনি। আমি বিশ্ববিদ্যালয় পড়া শেষ করে ভালো কিছু করবো হয়তো সে আশাও পোষণ করতেন তিনি।
আজ আমরা ৫ভাই-বোনই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নেওয়া। সরকারি-বেসরকারি চাকরি নিয়ে আছি ভালোই। ছোট ভাইটাও সিভিলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করছে। হয়তো আগের সেই টানাটানিও নেই। মা হয়তো সবকিছু মিলে টেনশনমুক্ত। কিন্তু দু:খ একটাই, বাবা তো এ ভালোটা দেখে যেতে পারলেন না।
২০০৩ সালের ৮ ই মে। বাবা ওইদিন সকালে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন। নেওয়া হলো সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে। ডাক্তার পরামর্শ দিলেন ঢাকায় নিতে। খুব কম সময়ের মধ্যেই বাবাকে নিয়ে ঢাকার জাতীয় হ্রদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে রওয়ানা হলাম। মা, বড় ভগ্নিপতি আর আমি সাথে। মাঝে মাঝে বাবাকে নির্জীব হওয়া দেখছি কাছ থেকে। মনে হচ্ছে আর বুঝি বাঁচাতে পারলাম না। তার ওপর সাভারের পরবর্তী যানজটে আমরা আশা অনেকটা ছেড়েই দিচ্ছিলাম। বার বার মনে হচ্ছিল অ্যাম্বুলেন্সকে মনে হয় যেকোন সময় ঘুরে আবার বাড়ির দিকেই নিতে হবে। মা অঘোরে কাদছিলেন আর শেষ সহায় আল্লাহকে ডাকছিলেন।
৩টা নাগাদ পৌঁছলাম হ্রদরোগ গেটে। দ্রুত চিকিৎসা দিতে সবাই সহযোগিতা করলেন। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তাররা চেষ্টা করছেন। মা বাইরে। ভেতরে কম্পিউটার স্ক্রিনে বাবার হ্রদযন্ত্রের ক্রিয়া আমি দেখছিলাম। ডাক্তার যে ওষুধ আনতে বলছিল দ্রুত তা এনে দিচ্ছিলাম। সকলের প্রাণান্তকর চেষ্টার পরেও চোখের সামনে বাবাকে হারালাম। একই অ্যাম্বুলেন্সেই বাবাকে বাড়িতে নেওয়া হলো। পরদিন সকালে নামাজে জানাজা শেষে দাফন। সেই সব স্মৃতি আমাকে এখনও পিছু টানে। তবে নশ্বর পৃথিবী ছেড়ে যাওয়া বাবার আদর্শকে লালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি অবিরত।
* নূরনবী সিদ্দিক সুইন, সাংবাদিক,
ই-মেল: [email protected]
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।