somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বের ইতিহাসে ৩য় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা সাভারের রানা প্লাজা ভবন ধসের ৭ম বর্ষে নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৮:৪৫ এ সাভারে একটি বহুতল ভবন ধসে পড়ে। ভবনটিতে পোশাক কারখানা, একটি ব্যাংক এবং একাধিক অন্যান্য দোকান ছিল, সকালে ব্যস্ত সময়ে এই ধসের ঘটনাটি ঘটে। ভবনটিতে ফাটল থাকার কারণে ভবন না ব্যবহারের সতর্কবার্তা থাকলেও তা উপেক্ষা করা হয়েছিল। সাভার বাসস্ট্যান্ডের কাছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশেই নয়তলা এই ভবনটি রানা প্লাজা হিসেবে পরিচিত এবং এর মালিক সোহেল রানা সাভার পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। ২০০৭ সালে রানা প্লাজা নির্মাণ করার আগে জায়গাটি ছিল পরিত্যক্ত ডোবা। ভবন নির্মাণ করার আগে বালু ফেলে এটি ভরাট করা হয়। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর তথ্যমতে ভবনের উপরের চার তলা অনুমতি ছাড়াই নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে ভূগর্ভস্থ তলায় গাড়ি রাখার জায়গা এবং দ্বিতীয় তলার বিপণিকেন্দ্রে বহু দোকান ছিল। তৃতীয় থেকে সপ্তম তলা পর্যন্ত পোশাক কারখানা ছাড়াও এর ওপরের দুটি তলা খালি ছিল। ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ছিল প্রথম তলায়। গার্মেন্টস কারখানায় প্রায় ৫০০০ এর মত কর্মী কাজ করত। নয়তলা রানা প্লাজা ধসে মারা যান ভবনটিতে অবস্থিত পাঁচ পোশাক কারখানার এক হাজার ১৩৫ জন শ্রমিক। আহত হন এক হাজার ১৬৭ জন শ্রমিক, যাদের মধ্যে গুরুতর আহত ছিলেন ৮১ জন। এখনো ৭৪টি লাশের পরিচয় জানা যায়নি। বিশ্বের ইতিহাসে রানা প্লাজা ধস ৩য় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সাভারের রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৬ জনের মৃত্যুর ঘটনার ৭ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ শুক্রবার। বাংলাদেশের ইতিহাসের এই নৃশংস মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলার বিচার মোটেও এগোয়নি। মামলার দুজন অভিযোগপত্রভুক্ত আসামির পক্ষে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় বর্তমানে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। রানা প্লাজা ধসের জন্য ছয়জন সরকারি কর্মকর্তাকে অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি করার অনুমতি না পাওয়ার কারণে তিন বছর ঝুলে ছিল এই মামলা। কবে নাগাদ মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম শুরু হবে, এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানাতে পারেননি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রধান আইন কর্মকর্তা সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খোন্দকার আবদুল মান্নান। মর্মান্তিক রানা প্লাজা দূর্ঘটনায় নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং আহতদের এবং তাদের পরিবারের সকলের প্রতি সমবেদনা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।


২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল ভবনটির ফাটল নিশ্চিত হওয়ার পর ভবন ছেড়ে চলে যেতে বলা সত্ত্বেও, অনেক গার্মেন্টস সুপারভাইজাররা ভবনটিকে নিরাপদ ঘোষণা করে শ্রমিকদের পরের দিন কাজে ফিরতে বলা হয়। নির্দেশ মত শ্রমিকরা যথা সময়ে কাজে যোগ দিলে সকাল ৯:০০ টার দিকে ৯তলা ভবনটির প্রথম তলা বাদে বাকি সবগুলি তলা ধসে পড়ে। কিছু অংশ পাশের একটি ভবনের ওপর পড়ে। ধসে পড়ার সময় ভবনটিকে প্রায় ৩০০০ কর্মী ছিল। কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল নারী যাদের সাথে তাদের শিশু সন্তানও সেখানে নার্সারী সুবিধায় ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা মতে সকাল নয়টার দিকে হঠাৎ করে বিকট শব্দ এবং কাঁপনে তারা ভূমিকম্পের আশঙ্কা করেন। পরে বেরিয়ে দেখেন বিরাট এলাকা ধুলা বলিতে ধোঁয়াটে হয়ে পড়েছে।" দূর্ঘটনার পর সাধারণ জনগণ, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজ চালায়। এই ঘটনার ১৭ দিন পর ১০ মে ধ্বংসস্তূপ থেকে রেশমা নামের এক মেয়েকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। হতাহতদের পরিবারের আর্তনাদ আর আহাজারিতে আজও আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ২৫ এপ্রিল একদিনের জাতীয় শোক পালন করা হয়। এঘটনার পর উত্তেজিত পোশাক শ্রমিকরা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবীতে ঢাকা, গাজীপুর ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যপক আন্দোলন গাড়ি ও বিভিন্ন ভবনে ভাংচুর চালায়। ২৫ শে এপ্রিল ঢাকা উন্নয়ন কতৃপক্ষ ভবন ও ঐ ভবনের গার্মেন্টস মালিকদেরকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করতে সরকারীভাবে আলাদা কয়েকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এদের সাত দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবার আহ্বান করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনায় দায়ীদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। ২৭শে এপ্রিল এই ভবনের দুটি গার্মেন্টসের মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া সাভার পৌরসভার দুজন প্রকৌশলীকেও গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেয়া হয়। ২৮শে এপ্রিল এই ঘটনায় দায়ী ভবন মালিক সোহেল রানাকে বেনাপোল সীমান্ত থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় র‌্যাব গ্রেপ্তার করে। রানা প্লাজা ধসে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ১৩৬ জন শ্রমিক। রানা প্লাজার ৯টি তলায় অবস্থিত পাঁচটি পোশাক কারখানায় এসব শ্রমিক কাজ করতেন। জীবিত উদ্ধার করা হয় ২ হাজার ৪৩৮ জনকে। ক্লেইমস কমিটির মাধ্যমে এবং বেসরকারিভাবে এসব শ্রমিক পরিবার এক লাখ ২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থ অনুদান পেয়েছেন। রানা প্লাজা ধসের পর একটি সহায়তা তহবিল গঠন করে বিজিএমইএ। প্রতিটি সদস্যকে ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা করে তহবিলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাঁচ হাজার ৪০০ সদস্যের মধ্যে বিজিএমইএর তহবিলে মাত্র এক হাজার ৮৪২ সদস্য সাড়ে ১৪ কোটি টাকা টাকা জমা দেয়। এর মধ্যে বিকেএমইএ দেয় এক কোটি টাকা। বিজিএমইএর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই তহবিল থেকে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় তিন কোটি ৯০ লাখ, বেতন-ভাতা সাত কোটি ৬০ লাখ, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দুই কোটি, প্রসূতি শ্রমিকদের সহায়তায় চার লাখ ২০ হাজার এবং উদ্ধার ও পুনর্বাসনকাজে ৯৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়। এছাড়াও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গঠিত রানা প্লাজা অ্যারেঞ্জমেন্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটির তথ্য অনুযায়ী, রানা প্লাজার পাঁচ কারখানায় ২৯ পোশাক তৈরী করানো ২৯ ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে ক্ষতিপূরণের জন্য গঠিত চার কোটি ডলারের ‘রানা প্লাজা ডোনারস ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন করা হলেও এর মধ্যে ১৬ প্রতিষ্ঠান তহবিলে অর্থও দেয়নি, কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। ২৮ জানুয়ারি এই তহবিল গঠিত হলেও আজ পর্যন্ত এই ফান্ডে জমা পড়েছে মাত্র এক কোটি ৫০ লাখ ডলার যা প্রতিশ্রুত অর্থের এক-তৃতীয়াংশ। সাভারের রানা প্লাজা ধসের ছয় বছর পার হলেও এখনো এ ঘটনায় হতাহত শ্রমিকদের পরিবার ন্যায্য ক্ষতিপূরণ বুঝে পায়নি। এমনকি কে কত ক্ষতিপূরণ পাবেন, তা-ও চূড়ান্ত হয়নি।


রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তর বিষয়ে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সোহেল রানার ব্যক্তিগত সব সম্পদসহ ধসে পড়া রানা প্লাজার চার পোশাক কারখানার মালামাল জব্দের বিষয়ে একটি রিট করেছিলো। এ রিটের আদেশে বলা হয়েছে রানা প্লাজার সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হোক। হাইকোর্টের ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি বিবিধ মামলা করা হয়। ওই মামলার আলোকেই সোহেল রানার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা সোহেল রানার ব্যক্তিগত সকল সম্পত্তি যথা সাভার বাসস্ট্যান্ডের রানা প্লাজার ১৮ শতক, বাজার রোডের বহুতল ভবন রানা টাওয়ারের ১০ শতক এবং ধামরাইয়ে সোহেল রানার মালিকানাধীন ১ একর ৪৬ শতাংশের ওপর নির্মাণ করা রানা ব্রিকসসহ যে স্থাবর সম্পদের খোঁজ পেয়েছে তা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৪১ জনের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিট আদালত আমলে নিয়েছেন। এ মামলায় ২৪ জন পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে ৪টি মামলা হলেও তার মাত্র একটিতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। হত্যা মামলায় সরকারি চার কর্মকর্তাসহ যে ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি সেই চার কর্মকর্তা হলেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন দফতরের পরিদর্শক (প্রকৌশল) ইউসুফ আলী, উপ-প্রধান পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম ঢাকা বিভাগীয় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান দফতরের যুগ্ম শ্রম পরিচালক জামসেদুর রহমান এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক)ইমারত পরিদর্শক আওলাদ হোসেন। এর মধ্যে ইউসুফ আলী ও শহিদুল ইসলাম নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। মামলার প্রধান আসামি সোহেল রানার বাবা আবদুল খালেক, মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার তৎকালীন মেয়র রেফাত উল্লাহ, কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী খানসহ মোট ২৩ জন জামিনে আছেন। আর সোহেল রানা, সরকারি কর্মকর্তা আওলাদ হোসেন ও জামসেদুর রহমানসহ ছয়জন কারাগারে আটক আছেন। রানাকেও জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে তার জামিন আদেশ স্থগিত করা হয়। মামলায় রানা ছাড়া সবাই জামিনে আছেন। মামলায় কোন সাক্ষী হচ্ছে না আর আসামি রানাকে জামিনও দিচ্ছে না আদালত।


আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের মামলা দীর্ঘদিনেও নিষ্পত্তি না হওয়ার জন্য সরকারের আন্তরিকতার অভাব ও শ্রমিকদের প্রতি দায়িত্বশীলতার অভাবকে দায়ী করেছেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন। তিনি বলেন, এটা শ্রমিক না হয়ে অন্য কেউ হলে ভিন্ন কিছু হতো। তিনি বলেন, শ্রমিক মারা গেলে কিছু টাকা অনুদান দিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা চলে, সেখানে বিচারটা প্রাধান্য পায় না। অভিযুক্তরা জামিন পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আকতার। তিনি বলেন, এতোবড় হত্যাকাণ্ডের পর কেন অপরাধীরা জামিন পায় তাতো জানা কথা। তিন বছরেও শাস্তির সম্মুখীন না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা হয়তো ভাবছে, যতো সময় যাবে ততো মানুষের মন থেকে ক্ষত মুছে যাবে এবং বিচারপ্রার্থীরা সরে যাবেন। বিচারের এধ রনের দীর্ঘসূত্রিতা আমরা আগেও দেখেছি। এর সুরাহা হওয়া জরুরি। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভা প্রধান তাসলিমা আখতার বলেন, রানা প্নাজার শ্রমিক হত্যার বিচার দ্রুত হবে এটা আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু এর দীর্ঘসূত্রিতা এ ধরনের রানা প্লাজা ও তাজরীনের ঘটনার পুনরাবৃত্তির পথকেই আরও প্রশস্ত করে। কারখানার মালিক, সরকারি কর্মকর্তাসহ দোষীরা শাস্তি পেলে অন্য কারখানার মালিক এবং কারখানা পরিদর্শকসহ সরকারি কর্মকর্তারা সতর্ক হতেন এবং শ্রমিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতন। কিন্তু শাস্তি না হওয়ার ফলে শ্রমিকদের বিষয়ে মালিকদের অমনোযোগিতা, অবহেলা কমার জায়গা তৈরি হলো না। দোষীদের শাস্তির বিষয় বিচার প্রক্রিয়ার ঝুলন্ত অবস্থা এবং দীর্ঘসূত্রিতা এটাই প্রমাণ করে যে, আমাদের দেশের সরকার এবং মালিকের কাছে এই শ্রমিকদের জীবন এবং স্বপ্নের কোনও মূল্য নেই। রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ প্রদান, খুনিদের বিচার, আহতদের পুনর্বাসন ও গার্মেন্টস শিল্পে ২৪ এপ্রিল শোক দিবস পালনের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন। রানা প্লাজা ভবন ধসের জন্য দায়ীদের শাস্তি, আহত ও পঙ্গুদের চিকিৎসা পুনর্বাসন এবং করোনা দুর্যোগে শ্রমিক ছাঁটাই ও লে অফ না করার আহবান জানিয়েছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ- স্কপ। রানা প্লাজা ভবন ধসে ১১৩৬ জন শ্রমিকের মৃত্যু এবং ৩০০০ শ্রমিক আহত ও পঙ্গু হওয়ার শোকাবহ ঘটনার ৭ বর্ষে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ স্কপ এক বিবৃতিতে ঘটনার জন্য দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং আহত ও পঙ্গু শ্রমিকদের চিকিৎসা পুনর্বাসনের দাবী করেছে। তবে বিশ্বজুড়ে মাহামারি করোনার প্রভাবে দেশ, জাতি ও শ্রমিকদের কল্যানে রানা প্লাজার সকল কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। যাতে করে সামাজিক দূরুত্ব বজায় থাকে। রানা প্লাজার বর্ষপূর্তি সকল কর্মসূচি স্থগিত ও নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা ঘরে বসে জানানোর আহবান করছে সাভার-আশুলিয়া ২৫টি শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।পাশাপাশি রানা প্লাজার বর্ষপূর্তির সব ধরনের কর্মসূচি বাতিল করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের আহবানের পাশাপাশি নিজেদের নৈতিক অবস্থান থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।মর্মান্তিক রানা প্লাজা দূর্ঘটনার ৭মবর্ষ পূর্তিতে নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং আহতদের এবং তাদের পরিবারের সকলের প্রতি সমবেদনা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক লিংক
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:২৩
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×