পঁচা কাঁঠালে মাছির পাল !!
© নূর মোহাম্মদ নূরু
ফলের রাজা কাঁঠাল জানি বই পুস্তকে লেখা,
পুষ্টি গুণে ভরপুর কোয়া স্বাদে মধু মাখা।
কম দামেতে এত্ত বড় ফল পাওয়া যে ভার,
তার পরেও কাঠাঁল রাজের মেলেনা কদর।
কেউবা আবার পরের মাথায় কাঠাঁল ভেংগে খায়,
ডাইনের কপাল যদি কারো বামে চলে যায়।
পরের মাথায় ভাংগে কাঠাঁল সাথীদের ডাকে,
কাঠাঁলের রস কষ নিজেদের গায়ে মাখে।
রস চলে যায় ধোয়ার পরে কষ যে লেগে রয়,
কাঠাঁল কষে নাস্তানাবুদ তাদের হতে হয়।
পরের মাথায় কাঠাঁল ভাংগো বোঝ কেমন লাগে,
ভাংগা কাঠাঁল ফেলে দিয়ে ফুলতে থাকে রাগে।
ফেলে দেয়া কাঠাঁল পঁচে রোদ বৃষ্টি জলে,
পঁচা গন্ধে মাছির দল আসে দলে দলে।
নীল মাছি, ডাসা মাছি যদু, মধু, শ্যাম,
পঁচা গন্ধে মাতাল হয়ে ভোলে নিজের নাম।
ভালো কাঠাঁল জোটানা তাই পাকাতে চায় কিলে,
ভ্যান ভ্যেনিয়ে পঁচা কাঠাল খায় যে সবাই মিলে।
কিলাইলে কি কাঠাঁল পাকে বোকা মাছির দল,
পঁচা কাঠাঁল খেতে যে তাই নামে মাছির ঢল।
হরেক রঙের মাছি আবার বাড়ছে দিনে দিনে,
বেশ কিছু দিন দমন ছিলো খাঁটি ফরমালিনে।
পঁচা খেয়ে শান্ত থাকো তাল কানা সব মাছি,
ভ্যানভ্যান আর প্যানপ্যানানি না করিলে বাঁচি।
প্রকাশকালঃ ২১ মে, ২০২২ ইং
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৪৬