somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বর্ষপূর্তি পোস্ট : | | ফেরা | |

০৩ রা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাথার উপরে মধ্যদুপুরের গনগনে সূর্য আর নিচে উত্তপ্ত পিচ ঢালা পথ। যদিও শীতের আমেজ এখনো পুরোপুরি কাটেনি তবুও দিনের এই একটা সময়ে গরমটা কেন জানি খুব অসহ্য লাগে। হয়তো এতোদিন ধরে থাকতে থাকতে শরীরটাও পশ্চিমা আবহাওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে গেছে। তাই এই সামান্য গরমটুকুও এখন অসহ্য মনে হচ্ছে। অথচ জীবনের তেইশটা বছর তো এই দেশেরই আলো-ছায়ায় বেড়ে উঠেছি আমি। কই তখন তো এই সময়টা এমন লাগতো না। আসলেই মানুষ অভ্যাসের দাস। নইলে গত সাতটি বছরে কেমন করে এতো বদলে গেলাম আমি।

রাস্তায় বিশাল লম্বা জ্যাম। অনেক কিছু বদলে গেলেও গত সাত বছরে মৌচাকের জ্যামখানার কোন চেঞ্জ হয়নি। আগে যেমন ছিল, এখনো ঠিক তেমনি বহাল তবিয়তে আছে। ক্যাবের এসিটা ঠিকমতো কাজ করছে না। অরূপ বলেছিল গাড়িটা নিয়ে বেরোতে। তখন কি মনে করে যেন নিষেধ করে দিয়েছিলাম। এখন মনে হচ্ছে গাড়িটা নিয়ে বেড়োলেই হয়তো ভালো হতো। ক্যাবের জানালাটা খুলে দিলাম। জ্যাম ছেড়ে দিয়েছে। কোথা থেকে এক পশলা উত্তরীয় বাতাস যেন বয়ে গেল। ভালোই লাগছে এখন। রমনা পার্কের এক নম্বর গেটের কাছে এসে ক্যাবটা থামলো। ভাড়াটা মিটিয়ে দিয়ে ক্যাব থেকে নামলাম।

গেটের ভেতরে বাইরে হরেক রকমের হকারেরা ভিড় করে আছে। সেই ভিড় ঠেলে আস্তে আস্তে এগিয়ে যাই আমি। চারিদিকে সবুজের সমারোহ। ঢাকা শহরের এই জায়গাটাতেই মোটামুটি গাছের চিহ্ন দেখা যায়। আর কোথাও সবুজের নাম-গন্ধও পাওয়া যায় না। গাছের সারিতে ঢাকা পথ ধরে হাঁটতে থাকি আমি। জীবনের পাঁচ-পাঁচটা বছর এই পার্কের সামনে দিয়ে ঘুরে-ফিরে বেড়িয়েছি, অন্যান্য সময়ও ঘোরা হয়েছে কিন্তু কখনোই এই পার্কের ভেতরে আসা হয়নি। কেন যে আসা হয়নি জানি না। এখন মনে হচ্ছে আসা উচিত ছিল। এতো অব্যবস্থাপনার পরও এখনো এতো সুন্দর যখন, তখন না জানি কেমন ছিল।

“আপা, ফুল নিবেন?” কথাটা শুনেই বাস্তবে ফিরে আসি আমি। একটা সাত-আট বছরের মেয়ে লাল বালতিতে করে কিছু গোলাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। “ফুল নিবেন আপা?” বলতেই আমি মাথা নাড়াই। মেয়েটা হতাশ হয়ে মাথা নিচু করে চলে যেতে থাকে। ডাক দেই মেয়েটাকে। মেয়েটা এগিয়ে আসে। “এখানের ছাতিম তলাটা কোথায় জানো?” জিজ্ঞেস করতেই হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়ে মেয়েটি। “আমাকে একটু নিয়ে যাবে?” আমার কথা শুনে একটু অবাক হয় যেন মেয়েটা। তারপর বলে, “চলেন“। আমি হাঁটতে থাকি মেয়েটার পেছন পেছন। খুব বিশাল না হলেও মোটামুটি বিশাল সাইজের একটা গাছের নিচে আমাকে নিয়ে আসে মেয়েটি। “এই গাছের তলারেই এখানে ছাতিম তলা কয়“ বলে মেয়েটা হাসিহাসি মুখ নিয়ে তাকায় আমার দিকে। খেয়াল করে দেখি মেয়েটার চেহারাটা খুব মিষ্টি আর হাসিটা তার চেয়েও অনেক মিষ্টি। ব্যাগ থেকে একশো টাকার একটা নোট বের করে মেয়েটার হাতে দেই। খুশি মনে চলে যায় সে।

এতোক্ষণে জায়গাটা দেখার সুযোগ হয়। গাছটা অনেক বুড়িয়ে গেছে। গাছের চারিধারে শুকনো মর্মর পাতা ছড়িয়ে আছে। আশেপাশে মানুষ-জন তেমন নেই বললেই চলে। জায়গাটা পার্কের অনেক ভেতরের দিকে তাই গাড়ি-ঘোড়ার আওয়াজও তেমন পৌঁছায় না। কিছুক্ষণ পরপর চড়ুই-শালিকের কিচিরমিচির ডাক ছাড়া আর কোন শব্দ পাওয়া যায় না। সামনে তাকাতেই দেখি কেউ একজন এগিয়ে আসছে। তামাটে গায়ের রঙ, উসকো-খুসকো-রুক্ষ চুল। আয়রন ছাড়া একটা ব্লু টি-শার্ট পড়ে আছে অথচ এই ছেলে আয়রন করে না দিলে গো ধরে বসে থাকতো স্কুলে যাবে না বলে। ডান চোখের পাশে যে ক্ষতটা ছিল তা আরো গভীর হয়েছে। আমি নির্বাক তাকিয়ে দেখি তার সেই আসা। ঝাপসা হয়ে ওঠে চশমার কাঁচজোড়া। তবুও চিনতে ভুল হয় না। কি করে হবে ভুল! এ যে অনেকদিনের পরিচিত আমার, অনেক প্রিয় একটা মুখ। শতচেষ্টা করলেও যে এ মুখ ভুলবার নয়। এগিয়ে আসে সে। চোখের সামনে এসে দাঁড়ায়।

কত কথা জমিয়ে এসেছিলাম আমি। কিন্তু মুহুর্তেই সব কথা এলোমেলো হয়ে গেলো। “কেমন আছিস?” বলেই ঝাপসা চোখে আদিবের ঘোলা ঘোলা চোখজোড়ার দিকে তাকাই আমি। “ভালো। তুই?” বলে সেই প্রানভোলানো হাসিটা দেয় ও। “কি মনে হয় তোর? কেমন আছি আমি?” “উমম...দেখে তো মনে হয় ভালোই আছিস। আগের চেয়ে একটু মোটা হয়েছিস যদিও তবে দেখতে সুন্দর হয়েছিস।“ বলে হাহা করে হেসে উঠে ও। আমি কিচ্ছু বলি না। শুধু চুপ করে চেয়ে থাকি ওর দিকে।

আমাকে পার্কের বেঞ্চে বসিয়ে ও পাশে এসে বসে। “কত্তোদিন পরে দেখলাম তোকে। খুব ভালো লাগছেরে।“ বলেই অন্যদিকে মুখ ফেরায় ও। “তারপর হঠাৎ? এতো বছর পর দেশে এলি কেন?” আদিব তাকায় আমার দিকে। ওর চোখের দিকে তাকিয়েই বুঝতে পারি সে চোখে হাজারো প্রশ্ন লুকিয়ে আছে।

“তোর জন্য।“

“আমার জন্য!” বলেই হেসে ওঠে ও। “যখন দরকার ছিল তখন তো আসিস নি।“

“সব দোষ আমার! তুই জানিয়েছিস একবারও আমাকে! জানাসনি...জানানোর প্রয়োজনই বোধ করিস নি। বড় হয়ে গেছিস তো...খুব বড় হয়ে গেছিস।“ রাগে-দুঃখে-ক্ষোভে ওর চোখের দিকে আর তাকাতে ইচ্ছে হয় না। মুখ ফিরিয়ে নেই আমি।

“আমি খুব অসহায় পড়েছিলাম রে। তুই জানিস না রে আপু। প্রীতির সাথে ব্রেক আপ হয়ে যাবার পর নিজেকে ভীষন অসহায় মনে হতো। কি করবো বল? বয়সটাই তো ছিল অমন। কিছু বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে তাই ধরে বসলাম ড্রাগস। তোকে বলে বুঝাতে পারবোনা ঐসময় এর চেয়ে ভালো বন্ধু আর কাউকে মনে হয় নি। অবশ্য তুই পাশে থাকলে অন্য কথা ছিল। প্রথম প্রথম বাবা যে হাত খরচ দিতো তা দিয়েই চালিয়ে নিতাম। কিন্তু আস্তে আস্তে যখন এডিকশানটা বেড়ে যেতে লাগলো ঐ কটা টাকাকে কিচ্ছু মনে হতনা। তাই একদিন সুযোগ বুঝে বাবার আলমারিতে হাত দিলাম। বাবা সন্দেহ করেছিলো ঠিকই কিন্তু মুখে কিচ্ছু বলেনি। কিন্তু পেছন পেছন ঠিকই খোঁজ লাগালো আমি কই যাই, কি করি, কাদের সাথে মিশি সব। সবকিছু জেনে কন্ট্রোল করতে পারেনি নিজেকে। রাগের মাথায় বলেছিল বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাতে আর আমি...”, বলে মাথার চুলগুলো দুহাতে টেনে ধরে আদিব।

“বাবাকে চিনিস না তুই? রাগের মাথায় না হয় একটা কথা বলেই ফেলেছিল তাছাড়া তুইও তো দোষ করেছিলি, নাকি?”

“হুমম...সেটা এখন বুঝি, তখন বুঝিনিরে। তখন কেন জানি ভীষন রাগ উঠেছিল। মনে হয়েছিল কেউ আমার ভালো চায় না। কেউ বোঝেনা। যাইনিরে আপু। যাইনি...আমার মিথ্যে জেদটাই যে কাল হয়ে দাঁড়াবে বুঝতে পারিনি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাবার মাস ছয়েক পরে একদিন পেপারে দেখলাম বাবার চল্লিশা। বুঝতে আর বাকি থাকেনি যে পুরো ঘটনার জন্য আমিই দায়ী। এরপরে কোন মুখে গিয়ে মায়ের সামনে দাঁড়াবো বলতে পারিস? প্রথম প্রথম তোর সাথেও কনটাক্ট করার চেষ্টা করেছিলাম, পাইনি তোকে। তোরা নাকি নতুন বাসায় উঠেছিস। ঐ বাসার ফোন নাম্বার কেউ দিতে পারেনি আমায়।“

“আর আমি রোজ বসে থাকতাম তোর ফোনের আশায়। মা’র সাথে প্রায়ই কথা হতো। কিন্তু মা কিচ্ছু বলেনি আমাকে। বাবার মৃত্যুর সময়ও আসতে পারিনি তখন প্রেগন্যান্সির লাস্ট মোমেন্ট ছিল। অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না বলে ডক্টর ছাড়তে চায়নি। সবকিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি যে এতো খারাপ হয়ে গিয়েছিল বিশ্বাস কর আমি কল্পনাও করতে পারিনি। দেশে আসার পর মা’র কাছ থেকে সবকিছু শুনলাম।“ আদিবের চোখ ছলছল করে ওঠে। ওর সেই চোখের জল এবার আর আমার চোখ এড়ায় না। হয়তো ও নিজেই লুকানোর বৃথা চেষ্টা করেনা। নির্বাক সময় কেটে যায় নিরন্তর। কারো মুখেই যেন কোন কথা সরেনা। তবুও শুরুটা আমিই করি, “আদিব”। ফিরে তাকায় ও। “যা হবার তাতো হয়েই গেছে। একটা ভুল না হয় করেই ফেলেছিস। এখন যখন ভুলটা বুঝতেই পেরেছিস। তাহলে আর কেন নিজেকে কষ্ট দিচ্ছিস।“

আদিব যেন বোঝার চেষ্টা করে আমার কথা। আমিই বুঝিয়ে বলি তাই, ”ছেড়ে দে না সব। আবার সব কিছু নতুন করে শুরু কর। এখন তো আমি আছি পাশে। আর যাবোনা তোকে ছেড়ে। কথা দিচ্ছি।“

“আপু!” বলে আমাকে জড়িয়ে ধরে ভেউভেউ করে ওঠে পাগলটা। “যাবোরে। নিশ্চয়ই যাবো। তুই নিতে এসেছিস, আর আমি যাবোনা তাও হয়!“
“তাহলে চল। এক্ষুনি চল।“

“এখন? আমার যে কিছু জিনিস নিতে হবে।“ বলে কাচুমাচু মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকে ও।

“কি এমন জিনিস যে না নিলেই নয়?”

“তেমন কিছু না। তুই যা আমি কাল সকালে ঘুম থেকে উঠেই চলে আসবো।“ বলে আমাকে মানানোর চেষ্টা করে। আমিও কম যাইনা। একসাথে সকালের নাস্তা করবো এই প্রমিজ করিয়ে ছাড়ি।



***

অরূপ আর আলিফকে টেবিলে নাস্তা দিয়ে আমি রান্নাঘরে চলে আসি। “তুমি খাবে না?” পেছন থেকে অরূপ এসে জিজ্ঞেস করে।
“না, আদিব আসলে একসাথে খাবো। তুমি খেয়ে নাও।“
“ওর তো আসতে দেরিও হতে পারে।“
“হবেনা দেরি। ও বলেছে ঘুম থেকে উঠেই চলে আসবো।“
“ওক্কে। তাহলে ও আসুক, একসাথেই নাস্তা করবো।“ বলে অরূপ পেপারটা হাতে নিয়ে চলে যায়।

আলিফকে নাস্তা খাইয়ে দিয়ে আমি আর অরূপ আদিবের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। কিছুক্ষণ পর অরূপের ফোন আসে। পেপারটা টেবিলে রেখে অরূপ উঠে যায়। কি করবো খুঁজে না পেয়ে পেপারটা হাতে উল্টাতে থাকি।


“গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে রাজধানীর রমনা পার্কের বিপরীতে বাইশ-তেইশ বছরের যুবক বাস দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। ছেলেটার পরনে ছিল ব্লু টি-শার্ট, সাথে তেমন কোন টাকা-পয়সা পাওয়া যায়নি। তবে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট থেকে জানা যায় ছেলেটি মাদকাসক্ত ছিল।“

.
.
.
.
.
.
.
.
.
মাথার মধ্যে কেমন যেন ঝিমঝিম করছে। বুকের মধ্যে অসহ্য একটা যন্ত্রনা। ঝাপসা দৃষ্টিতে অনেক কষ্ট করে চোখ মেলে তাকাই। উঠে বসি ধীরে ধীরে। পারিনা আর নিজেকে ধরে রাখতে। বুকের ভেতর জমে থাকা কষ্টগুলো দলাপাকানো কান্নার মতো বেরিয়ে জ্বলোচ্ছ্বাসের বেগে। আশ্রয় খুঁজে পাই আমার ছোট্ট ভাইটার বুকে। যে ভাইটাকে সবসময় সব বিপদ থেকে আগলে রাখার চেষ্টা করেছি, সেই ভাই-ই আজ আমাকে আগলে রাখার প্রাণপন চেষ্টা করে যাচ্ছে।


***


মাসতিনেক পরঃ

এয়ারপোর্টের ওয়েটিং রুমে মা বসে আছে। আমি প্রায় ছুটতে ছুটতে মা’র কাছে যাই। “মা, আলিফকে দেখেছো?”

“ও তো আদিবের সাথে।“

“ও।“ বলেই পাশের ফাঁকা চেয়ারটায় বসে পড়ি আমি। কিছুক্ষন পর দেখি আদিব হাসতে হাসতে এগিয়ে আসছে। “আপু, তোর ছেলেকে দেখছিস। এই বয়সেই গার্লফ্রেন্ড জুটায় ফেলছে।“ বলেই হো হো করে হাসতে থাকে আদিব।

আমি বলি, “মানে?”

সামনের দিকে হাত বাড়িয়ে আলিফকে দেখায় ও। তাকিয়ে দেখি ওর চেয়ে পিচ্চি এক মেয়ের হাত ধরে হাঁটছে আলিফ আর দুজনে আইসক্রিম খাচ্ছে। কিছুটা অবাক হই ঠিকই কিন্তু দেখে মজাই লাগে। “কে রে মেয়েটা?” আদিবকে জিজ্ঞেস করি আমি।

“আমি কি জানি? বলেছিল আইসক্রিম খাবে। আইসক্রিম কিনতে গেলাম। পেছন থেকে এসে বলে টু আইসক্রিমস। আমি বলি দুইটা কেন, মামা? তখন পাশের পিচ্চিটাকে দেখিয়ে বলে, ওয়ান ফর হার।“ আদিবের অভিনয় দেখে আমি আর মা আর না হেসে পারিনা। পারেও ছেলেটা...কে বলবে, এই ছেলে সপ্তাহখানেক আগে ক্লিনিক থেকে ফিরেছে। ওর সেই মনভোলানো অমলিন হাসি দিয়ে মাতিয়ে রেখেছে সবাইকে।

আর আমি ভাবছি, এবার বুঝি সময় হয়েই এলো নীড়ে ফেরার.........



------------------------------




সেই কবে থেকে দেখছি আমার ব্লগিং টাইম ১১ মাস ৩ সপ্তাহ লেখা। কিন্তু মরার এই তিনসপ্তাহ শেষই হয় না। /:) যাক অবশেষে শেষ হল.....এখন আমি হ্যাপি। :D

দেখতে দেখতে একটা বছর চলে গেছে। ভাবতেই অবাক লাগে যে এই একটা বছর ধরে কত হাবিজাবি জিনিস লিখে নিজের সাথে সাথে অন্য মানুষেরও মাথা আউলেছি। অথচ কেউ কিচ্ছু বলেনি। কি মজার ব্যাপার না!!! :P

অতঃপর সবার মতো আমারও বর্ষপূর্তিতে একটা হ্যাপি হ্যাপি গল্প দেয়ার ইচ্ছা জাগলো। এতো হাবিজাবি গেলালাম এতোদিন ধরে, আরেকটু না গেলালে কি হয়!!! ;) কিন্তু দুই-দুইটা গল্প লিখে ফেলার পরও দেখি স্যাড স্যাড ভাব কাটাতে পারছিনা। মনটাই খারাপ হয়ে গেলো। তাই দুঃখ করেছিলাম এক ফ্রেন্ডের কাছে। সে বললো আমাকে নাকি হ্যাপি হ্যাপি গল্পই দিতে হবে। কিন্তু কি আর করা। কিছু না পেয়ে, স্যাড স্যাড ভাব নিয়ে এই গল্পটা লিখতে বসে গেলাম। কিন্তু লিখতে লিখতে মনে হল, শেষটা ইচ্ছে করলে হ্যাপি হ্যাপি রাখা যায়। তাই রেখে দিলাম। :) গল্পে মন্তব্য আশাপ্রার্থী। অভিনন্দন দিতে গিয়ে গল্পের কথা ভুলে যাবেন না প্লিজ। :#>


সবশেষে, সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ যাদের কাছ থেকে গত একটা বছর ধরে অনেক অনেক ভালো লাগা আর উৎসাহ পেয়েছি। (একটু বেশিই ফরমালিটিজ হয়ে গেলো মনে হয় :!> :#> )
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১২ রাত ৮:০৪
২০টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো

চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪২



চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×