somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রংপুরের রসনা বিলাসঃ শহরের সেরা খাবারের জায়গাগুলো

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তিস্তা ও ঘাঘট বিধৌত রংপুর বাংলা মুলুকের অন্যতম প্রাচীন জনপদ। উত্তরাঞ্চলের রাজধানী। একথা ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত রংপুরের প্রাচীন নাম হলো রঙ্গপুর তথা প্রমোদপুরী। প্রমোদ বিলাসের অন্যতম অনুষঙ্গ রসনা। রসনা বিলাসে আমরা রংপুরবাসী বিন্দুমাত্র পিছিয়ে নেই। আমার লেখাটি যাঁরা রংপুর শহরে আসবেন তাঁদের সাহায্য করবে আমাদের ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় খাবারের জায়গাগুলো চিনে নিতে।

রংপুরে খাবারের অনেক জায়গাই রয়েছে। মডার্ন মোড় থেকে সিও বাজার, মাহিগঞ্জ থেকে দর্শনা; পুরনো অনেক জায়গাই আছে যেগুলো প্রবীণদের নস্টালজিয়ায় ভোগায়। আমরা যারা তরুণ তাদের জন্যও আছে বিস্তর আয়েশ করে উদরপূর্তি করার জায়গা। রংপুর শহরের প্রসিদ্ধ রসনা সিদ্ধির জায়গাগুলোর উল্লেখ করছি নিচে।


সিঙ্গারা হাউজঃ
রংপুরের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিঙ্গারার দোকান। সিঙ্গারার পাশাপাশি এখানে চা, লাচ্ছি, রস মালাই পাওয়া যায়। এখানে সিঙ্গারা খেতে হলে বেশ খানিকক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করতে হবে। ভীড় লেগেই থাকে। এক প্লেটে তিনটে খুদে সিঙ্গারার সাথে মিলবে আনকোরা টমেটোর চাটনি। স্কুল পালিয়ে এখানে অনেক দার্শনিক চিন্তা ভাবনার জন্মদান করেছি। মান্না দের কফি হাউজ আমাদের রংপুরে এসে বিবর্তিত হয়ে সিঙ্গারা হাউজ হয়ে গেছে। যারা রংপুরে আসবেন তাদের মিস না করার জন্য অনুরোধ করছি।

অবস্থানঃ সুপার মার্কেট থেকে পায়রা চত্বরের দিকে যেতে ডান পাশের গলিতে ঢুকলেই হবে।

পুষ্টিঃ ‘পুষ্টির অনন্য সৃষ্টি/ দই ঘি মিষ্টি।’ এই হল পুষ্টির স্লোগান। রংপুরের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ মিষ্টান্নের দোকান। রসোগোল্লা, রসমালাই, দই, সন্দেশ, স্পঞ্জ মিষ্টি থেকে শুরু করে সবই পাওয়া যায়। এদের দইটাও বেশ। আমার বগুড়ার এক বন্ধুকে খাওয়ানোর পর ব্যাটা বাধ্য হয়েছিল ‘বগুড়ার চেয়েও ভালো’ বলতে!

অবস্থানঃ সিঙ্গারা হাউজ যাওয়ার গলির মুখেই।

ঘোষ ভান্ডারঃ মিষ্টির জন্য ভালো আরেকটি দোকান। নিপেন ঘোষের নামানুসারে জায়গাটার নামই হয়ে গেছে নিপেনের মোড়! ঘোষরা পারিবারিকভাবেই দোকানটা চালাচ্ছে ।এখানকার চা টাও বেশ। মিষ্টান্নপ্রেমীদের অবশ্যই ভালো লাগবে।

অবস্থানঃ পায়রা চত্বর, ‘নিপেনের মোড়’।

জলযোগঃ পুরনো আরেকটি মিষ্টির দোকান। এখানকার সন্দেশ খুবই প্রসিদ্ধ। জলযোগ নামটাই এখানে কী কী পাওয়া যায় তা বলে দেয়। মূলত সকাল-বিকেল নাস্তা করার জন্য আদর্শ জায়গা।

অবস্থানঃ বেতপট্টি।

নিরঞ্জন মিষ্টিমুখঃ মাহিগঞ্জে (পুরনো রংপুর) নিরঞ্জনের অবস্থান। মোটামুটি সব ধরণের মিষ্টিই পাওয়া যায়। রংপুরের বাইরের মানুষও নিরঞ্জন থেকে মিষ্টি কিনতে আসেন। নিরঞ্জনে মিষ্টি খেতে যাওয়ার অন্যতম মজা হচ্ছে মাহিগঞ্জ দর্শন। পুরনো ভবনে সেখানে মিলবে ইতিহাসের প্রতিচ্ছবি। মাহিগঞ্জে বেশ কিছু প্রাচীন মন্দির আছে। মাহিগঞ্জ বাজারের পাশেই আছে ১৮৩০ এর দশকে নির্মিত ‘মাহিগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরি’র পরিত্যক্ত ভবন। আর বিখ্যাত তাজহাট জমিদার বাড়িও এখান থেকে পায়ে হাঁটার পথ। উপরি হিসেবে ডিমলার জমিদার বাড়িও দেখে নিতে পারেন।

অবস্থানঃ মাহিগঞ্জ।

চটপটি হাউজঃ জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় দোকান। আপু ও আন্টিদের সবসময়ই এর সামনে গিজ গিজ করতে দেখা যায়। ছেলেরা যে এখানে আসে না তাও না। প্রতি প্লেট চটপটি ২০ টাকা। ছোটবেলা থেকে খাচ্ছি। এখনো এখানে খাওয়ার আমন্ত্রণ এড়াতে পারি না।

অবস্থানঃ জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট।

নাড়ুর হোটেলঃ নাড়ুর হোটেলের বিশেষত্ব কড়া মিষ্টি এক ধরণের চা। তরুণ সমাজে এটি ‘ডাইল চা অথবা পিনিক চা’ নামে পরিচিত। এখানে গুড়ের মিষ্টি এবং মিষ্টির সিরা দিয়ে খাওয়ার জন্য পুরি পাওয়া যায়। ছোট্ট পরিসরের এই দোকানে ভীড় লেগেই থাকে।

অবস্থানঃ স্টেশন রোড, সোনালী ব্যাংক কর্পোরেট শাখার বিপরীতে।

মৌবনঃ মৌবন নিঃসন্দেহে রংপুরের সেরা বেকারি। এর হোটেল শাখাও কম বিখ্যাত নয়। ইফতারের জন্য এখানে বৈচিত্র্যময় অনেক কিছুই পাওয়া যায়। শুধু রংপুর নয়, এর আশেপাশের অনেক জেলার মানুষের ঈদের ফর্দের অন্যতম অনুষঙ্গ মৌবনের লাচ্ছা সেমাই।

অবস্থানঃ কাচারী বাজার।

খালেক হোটেলঃ খালেক হোটেল মধ্যবিত্তের প্রিয় খাবারের জায়গা। পুর্বে নিপেনের মোড়ে অবস্থান হলেও বর্তমানে এটি জিপি সেন্টার তথা নর্থ ভিউয়ের বিপরীতে অবস্থিত। খালেক হোটেল খাসির মাংসের জন্য সুখ্যাত। বাজেটে কুলায় বলে অনেক সময়েই মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্তের প্রিয়তম উদরপূর্তির জায়গা।

অবস্থানঃ

বৈশাখীঃ বাঙালি খাবারের অন্যতম রেস্তরাঁ। এর দুটি শাখা আছে। একটি জাহাজ কোম্পানির মোড়ে আরেকটি মেডিকেল মোড়ে ক্যান্ট পাবলিক স্কুলের সামনে। এখানে মোটামুটি সকল ধরণের বাঙালি খাবারই পাওয়া যায়। পরিবেশ সুন্দর। বেশ পারিবারিক আমেজে খাওয়া যায়। বৈশাখীর চা স্পেশাল। বিরিয়ানি থেকে ভাত-মাংসের জন্য একটা সেরা পছন্দ হতে পারে বৈশাখী।

অবস্থানঃ জাহাজ কোম্পানির মোড়, মেডিকেল মোড়।

চাঁদনি, পারভেজ ও স্টার হোটেলঃ উদরপূর্তির জন্য ভালো জায়গা এই তিন রেস্টুরেন্ট। তিনটির অবস্থানই মেডিকেল মোড়ে। বাঙালি খাবারের পাশাপাশি কাবাব-নান পাওয়া যায়। পারভেজ হোটেলে আমার প্রিয় খাবার ডিম সিঙ্গারা। কলেজ পালিয়ে এখানে প্রচুর আড্ডা দিতাম। ক্যান্ট পাবলিকের ছাত্রদের অতিপ্রিয় আস্তানা।

অবস্থানঃ মেডিকেল মোড়।

সিসিলিঃ রংপুরের অন্যতম পুরনো চায়নিজ রেস্টুরেন্ট। অবস্থান রাজা রামমোহন রায় মার্কেটের দোতলায়। থাই ও চায়নিজ বেশিরভাগ আইটেমই পাওয়া যায়। দামও চলনসই। এখানকার আলো আঁধারি প্রেমিক প্রেমিকাদের বেশ প্রিয়! নতুন অনেক রেস্টুরেন্টের ভিড়ে এখনও মানুষের প্রথম পছন্দ।

অবস্থানঃ রাজা রামমোহন রায় শপিং কমপ্লেক্স।

ঢাকা ফাস্টফুডঃ মূলত তরুণ সমাজেই বেশী জনপ্রিয়। বার্গার, ফ্রাইড চিকেন, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ইত্যাদি পাওয়া যায়। দু’কাপ কফি অথবা দুটো আইসক্রিম নিয়ে মুখোমুখি বসে অনেকটা সময় কাটনো যায়! কাঁচা বয়সের ছেলে-মেয়েদের খুবই পছন্দের জায়গা।

অবস্থানঃ ধাপ, জেল রোড।

নর্থ ভিউঃ নর্থ ভিউ রংপুরের প্রথম চার তারকা হোটেল। বারতলা এ ভবনে কর্পোরেট অনেক প্রতিষ্ঠানেরই অফিস রয়েছে। নর্থ ভিউ হোটেলে সুইমিং পুল সহ আধুনিক অন্যান্য সুবিধা রয়েছে। তবে আমার সবচেয়ে ভালো লাগে এর রেস্টুরেন্ট। ন তলায় অবস্থিত এই রেস্টুরেন্টটি অবস্থানের দিক থেকে রংপুরের সেরা। বাঙালি, চায়নিজ, থাই, ফাস্টফুড সবই পাওয়া যায়। এর সবচেয়ে সুবিধা কাঁচের ঘেরাটোপ ভেদ করে বাইরের সুনিবিড় দৃশ্য। রেস্টুরেন্টের বারান্দায় দাঁড়িয়ে পাখির চোখে রংপুর শহরের উত্তরাংশ দেখে নেয়া যায়। ইট-পাথরের অভিবাসী উৎপাতের আমার শহরটাকে দেখে মনে হয় সবুজের মাঝে ডুবে থাকা বিলুপ্ত প্রাচীন জনপদ। হারিয়ে যাওয়া এল ডোরাডোর মতো।

মিড নাইট সানঃ জনপ্রিয় একটি চাইনিজ খাবারের রেস্টুরেন্ট হল মিড নাইট সান। ঢাকার নাম করা রেস্টুরেন্টটিরই একটি শাখা এটি। চায়নিজ খাবারের জন্য সুখ্যাত। বেশ সাশ্রয়ী।

অবস্থানঃ ডিসির মোড় (হালের পার্লারের মোড়!)

ক্যাস্পিয়াঃ
সুন্দর ইন্টেরিয়রের চায়নিজ রেস্টুরেন্টটির বয়স বেশী নয়।। বাইরে থেকে দেখলেই ভিতরে যেতে ইচ্ছে করে। প্রায় সব জনপ্রিয় চায়নিজ খাবার পাওয়া যায়। দাম চলনসই। রংপুরের তরুণ-যুবার কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর অবস্থানও সহজগম্য।

অবস্থানঃ রংপুর সার্কিট হাউজের সামনে।

খেয়া পার্ক রেস্টুরেন্টঃ
পার্কের মতো মুক্ত, প্রাকৃতিক পরিবেশে বসে খাওয়ার জন্য খুব সুন্দর একটা জায়গা। খেয়া পার্ক রেস্টুরেন্টে প্রবেশের জন্য এর পাশ দিয়ে বয়ে চলা শ্যামা সুন্দরী খালের ওপর দিয়ে একটা কাঠের সাঁকো পেরোতে হয়। এতে কাঠ-বাঁশের কেবিনগুলো বাংলার বিখ্যাত নদীগুলোর নাম অনুসরণে রাখা হয়েছে। ডেটিং এর জন্য স্বর্গতুল্য। আইসক্রিম থেকে শুরু করে চায়নিজ ও ফাস্টফুডের প্রায় সব আইটেমই পাওয়া যায়। নিঃসন্দেহে রংপুরের সবচেয়ে প্রাকৃতিক রেস্টুরেন্ট ‘খেয়া পার্ক’।

অবস্থানঃ পার্ক মোড়।

আমার চোখে, আমার অভিজ্ঞতায় এগুলোই রংপুরের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ খাবারের জায়গা। আপনি রংপুরবাসী হলে নিশ্চয়ই আমার সাথে একমত হবেন(কিছু মিস হলে দয়া করে উল্লেখ করুন)। অতিথি হলে আগে গিয়ে খেয়ে আসুন। তারপর আমার ব্লগে এসে জানিয়ে যান কেমন লাগলো! সবার জন্য শুভ কামনা ও রংপুরে আমন্ত্রণ।











সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:৩২
৫৩টি মন্তব্য ৫২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখনো নদীপারে ঝড় বয়ে যায় || নতুন গান

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২০

এ গানের লিরিক আমাকে অনেক যন্ত্রণা দিয়েছে। ২৪ বা ২৫ এপ্রিল ২০২৪-এ সুর ও গানের প্রথম কয়েক লাইন তৈরি হয়ে যায়। এরপর ব্যস্ত হয়ে পড়ি অন্য একটা গান নিয়ে। সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×