তোমাকে একটা গল্প বলি;
তখন ছিল জোৎস্না রাতের; মাধুরী
আকাশের গায়ে নেশাগ্রস্ত তারকার দল
চাঁদের আলো নিয়ে নদীর ছেলেখেলা
কি অনিন্দ্য তাই-না?
তো গল্পটা হলো
সব সুন্দরের মাঝে কিছু বীভৎস ব্যাপার থাকে
যেমন ধরোঃ-
প্রেমের ভেতর শরীর প্রবেশ করলে বীভৎস
আবার শরীর ছাড়াও প্রেম পূর্ণতা পায়না।
কি ঝামেলা
অত সুন্দর রাত থেকে কই এলাম
এ আমার দোষ। কিছু মনে করোনা, বলছি দাঁড়াও-
তো ঐরকম রাতে সে থাকে দোতলার ঘরে।
নিঝুম রাতে আকাশের সাথে অভিমান চলে
জোৎন্সা স্নানে কিশোরী যুবতী হয়
চাঁদের বয়স বাড়ে না চির যৌবনা স্নিগ্ধ জোৎস্না
তার সাথে ছিল তার প্রেম—
নাম জেনে কী করবা?
বোনামী ঠিকানায় চিঠি লিখেছো কখনো?
আমি লিখেছিলাম, প্রত্যুত্তরে কিছু ফেরেনি এখনো
ধরো একটা চিঠি আসলো,
উপরে লেখা যমরাজের তরফ থেকে স্বাগত আপনাকে।
তার সাথে তার প্রেমের ভেতরে শরীর আসলো—
প্রেমলীলা ভাসল নদের জলের মত নীড়ে
চাঁদকে ফাঁকি দেয় কার সাধ্যি
ধর বেটারে হতচ্ছাড়াটাকে আমি জ্যান্ত পুতবো
বুড়োর সে কী গর্জন!
যৌবনের গল্প যা বলেছিল মনে হচ্ছে তা সত্য।
রাতের আধারে তাদের প্রেম
উষ্ণতা ছুঁয়েছিল চাঁদ কেও
মেঘের আড়ালে দিয়েছিল ডুব
আর ফেরেনি সে রাতে
আহা শরীর সে কী নধর আহ্লাদে ভরা।
আহা! আহা!! কী অনিন্দ্য দেখো!!!
যুবতীর শরীরে আটকে আছে তাগড়া যুবক।
অথচ চাঁদও জানেনা সে কথা।
রাতের প্যাঁচা গিয়ে শেষে
বলেছিল যমরাজ কে।
শরীরে শরীরের প্রেমে আগন্তুক আরেক শরীর
বুড়োর সব তেজ শেষে সইলো সে কিশোরী—
রাতের আধারে চাঁদের জোৎস্না স্নান শেষে
সে চিঠি এসেছিল তার কাছে
স্বয়ং যমরাজ নিজে এসেছিল সেই মাঠে
তিনটে প্রাণ, কি ভারী! কি বেদনা!! কি আতঙ্ক!!!
যমরাজ কাঁদে
পারবেনা তিনটে প্রাণ একহাতে নিতে
অপারগ যমরাজ যদি জানতো
ভুলেও আসত না এ পথে।
পৃথিবীর মুখ দেখবার আগে
যমরাজ দেখালো স্বর্গের পথ তারে।
হায় প্রেম! হায় শরীর!!
শরীরের ভেতরে শরীর!!!
অশ্বত্থের পাশে থাকে পড়ে নিথরে
ভালোবাসা অমর হয়
চাঁদের আয়ু বাড়ে
যৌবনবতী চাঁদ
যায় না কভু শরীর ছোঁয়াতে।
১২ই ফাল্গুন, ১৪২৯
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫