সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে ধারণ করা একটি ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়ার পর আত্মহত্যায় মানসিক যন্ত্রণার ইতি টেনেছেন বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের এক ছাত্রী।
তরুণীর পরিবার এজন্য নজরুল ইসলাম নয়ন নামে তার এক সহপাঠিকে দায়ী করছে। তাকে আটক করেছে পুলিশ। ভিডিওচিত্র ধারণের কথা নয়ন স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নগরীর লেচু শাহ সড়কের একটি বাসা থেকে সোমবার রাতে ২২ বছরের ওই কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গণিত বিভাগের øাতক তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী স্বামীর সঙ্গে ওই বাসায় থাকতেন। তার বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায়, স্বামীর বাড়িও সেখানে।
ছাত্রীর স্বামীও বিএম কলেজে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের øাতকোত্তর পর্বের ছাত্র। ২০০৪ সালে তারা বিয়ে করেন। দুজনে হিন্দু হলেও তাদের পরিবার এ বিয়ে মেনে নেয়নি।
ছাত্রীর স্বামী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সহপাঠি নজরুলের সঙ্গে তার স্ত্রীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো। এর সুযোগে নজরুল কোনো এক সময় তার স্ত্রীর নগ্ন দেহের একটি ভিডিওচিত্র ধারণ করে। কয়েকদিন আগে তা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
ছাত্রীর স্বামী বলেন, "স্ত্রীর তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা সামনে। তা শেষ হলেই এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আমরা ভেবেছিলাম। কিন্তদু গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় পাড়ার লোকজন তাকে নিয়ে নানা কথা বলে। এরপর রাতে ক্ষোভে-দুঃখে গলায় দড়ি দেয় সে।"
মঙ্গলবার পরীক্ষা দিতে কলেজে গেলে সেখান থেকে নজরুলকে আটক করা হয় বলে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন।
নজরুল বলেন, ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো এবং তার (ছাত্রী) ইচ্ছাতেই ২০০৯ সালে ওই ভিডিওচিত্র ধারণ করা হয়েছিলো।
নজরুল দাবি করেছেন, শহীদুল ইসলাম নামে তার এক বন্ধু তার অজান্তেই ভিডিওচিত্রটি কলেজে ছড়িয়ে দেয়।
রাজ্জাক বলেন, নয়নের মোবাইল নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাকে আটক করেছে। এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন তিনি।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় আত্মহননের প্ররোচনার একটি মামলা হবে। বাদি কে হবেন- তা ছাত্রীর অভিভাবক এলে চূড়ান্ত হবে বলে জানান তিনি।
পুলিশ ওই ছাত্রীর স্বামীকেও আটক করেছে। এ বিষয়ে ওসি বলেন, ছাত্রীর পরিবার স্বামীকেও আসামি করতে পারেন। তাই তাকে থানায় এনে রাখা হয়েছে।
সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে ভিডিওচিত্র ধারণ কিংবা ছবি তুলে বিভিন্ন তরুণীকে জিম্মি করার ঘটনা স¤প্রতি দেশে আরো ঘটেছে। এ সঠি ক বিচার চাই আমরা

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



