somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

২৮ শে অক্টোবর;ইতিহাস ঘৃণ্য এক দল হিংস্র পশুর লগি বৈঠার তান্ডব!!! =============================

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



২৮শে অক্টোবর ২০০৬। রাজধানী ঢাকার জাতীয়
মসজিদ বায়তুল মোকাররম এবং তৎসংলগ্ন পল্টন এলাকা।
মানবতার দুশমন ইবলিশের অনুসারী রাম-বাম ১৪ দল
নামের লগি-বৈঠাধারী সশস্ত্র হায়েনারা ঝাঁপিয়ে
পড়েছে ইসলাম প্রিয় জনতার উপর। সে এক ভয়াল
নৃশংসতম দৃশ্য ভেসে উঠছে টিভি পর্দায়।

পেত্নীর(নেত্রীর) নির্দেশ পালনার্থে ঝাঁপিয়ে পড়েছেলগি-বৈঠা দিয়ে, আঘাতের পর আঘাত হানছে, বন্দুক
দিয়ে পাখির মত গুলি করছে, বোমা নিক্ষেপ
করছে সন্ত্রাসীরা, আহত হয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে আমার ভাইদের, নিহতদের খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে
দেহ তেতলে দেয়া হচ্ছে, লাশের উপর
নৃত্যোল্লাস করা হচ্ছে। প্রভু এরা কি মনুষ্যপদবাচ্য হতে পারে! মিডিয়ার বদৌলতে বিশ্ব দেখছে আর
ধিক্কার দিচ্ছে। মানবতা বিরুদ্ধে এমন পৈশাচিক ঘটনা ঘটেছিল আজ থেকে নয় বছর আগে।


পরপারে প্রভুর দরবারে হাজির হয়েছিলেন
আমাদের প্রিয় ভাইয়েরা : শহীদ হোসাইন
মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম (স্টামফোর্ড
ইউনিভার্সিটি), শহীদ হাফেজ গোলাম কিবরিয়া (ঢাকা
কলেজ) শহীদ সাইফুল্লাহ মোহাম্মদ মাসুম
(সরকারী তিতুমীর কলেজ) শহীদ জসিম উদ্দিন,
শহীদ মো.হাবিবুর রহমান, শহীদ আবদুল্লাহ আল্
ফয়সল (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) এবং আহত-পঙ্গু
হয়েছিল হাজারো ইসলাম প্রিয় জনতা। কি অপরাধ ছিল
তাদের? তারা তো কোন দখলদার ছিল না, চাঁদাবাজ ছিল
না, সন্ত্রাসী ছিল না। তারা গিয়েছিল জোট সরকারের
৫ বছরের ফুর্তি উপলক্ষে জামায়েতে ইসলামীর
আয়োজিত সমাবেশে। তারা চায় এ দেশে একটি
ইসলামী সমাজ কায়েম করতে। মানুষকে ভালবাসা
দিয়ে আল্লাহর পথে নিয়ে আসতে। তারা সুস্থ
দেহে আর ফিরে নি স্নেহময়ী মায়ের কাছে,
ফিরেছে লাশ হয়ে, শহীদ হয়ে।

“ভয় নেই, ভয় নেই শহীদ তোমরা হওনি
অন্তর্ধান,
দ্বীনের জন্য বিলিয়ে দিয়েছো তাজা রক্ত
প্রাণ...

শহীদ হয়ে সাক্ষ্য দিলে দ্বীন কায়েমের পথে,
মরে গিয়ে বেঁচে আছো লক্ষ্য তরুণদের বুকে।”

“আল্লাহর পথে যারা নিহত হয়
তাদেরকে তোমরা মৃত বলো না, তারা জীবিত;
কিন্তু তোমরা তা উপলব্ধি করতে পার না।”(সুরা
বাকারা-১৫৪)

তাঁরা তাদের রবের পক্ষ থেকে রিজিক পেয়ে
থাকেন। (সুরা আলে ইমরান-১৬৯)

ওদের চলে যাওয়ার এই পথ নতুন নয়, এই পথে
চলে গেছে, হামিদ, শাব্বির, আইয়ুব, জাফর
জাহাঙ্গীর, বাকীউল্লাহ। ওদের পূর্বসুরী হযরত
হামজা (রা), হযরত ইমাম হোসাইন (রা)সহ লক্ষ লক্ষ
শহীদ। ওদের প্রেরণার উৎস বদর, উহুদ, কারবালা,
বালাকোট। আর নবতরে যুক্ত হল পিচঢালা রাজপথ
ঢাকার পল্টন। অবিনাশী সত্যের এই শহীদি
কাফেলার মিছিল কখনো থামবে না, চলতেই থাকবে।

বছর ঘুরে সেই কলংকিত দিন আজ আমাদের সামনে।
শহীদেরা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে, এখন
তাদের লালিত স্বপ্নের সোনালী সমাজ
কায়েমের দায়িত্ব আমাদের কাছে। শাহাদাত মুমিন
জীবনের কাম্য। কন্ঠকাকীর্ণ সেই রাজপথ
অনেক দীর্ঘ। তবুও আমাদের এগিয়ে যেতে
হবে দৃপ্ত পায়ে। বাধা পাহাড় মাড়িয়ে পথ যতই বন্ধুর
হোক। স্বপ্নের সেই সমুদ্র পাড়ি জমাতে হবে
সমুদ্র যতই তরঙ্গ-বিক্ষুব্ধ হোক। মুলতঃ শাহাদাতের
মিশন ছাড়া তার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

পৃথিবীর কোন শক্তি শহীদি কাফেলা ইসলামী
আন্দোলনের জানবাজ লড়াকু সেনানীদের
পথযাত্রা রুখতে পারবে না। পারেনি নমরূদ, পারে নি
ফেরাউন। পারে নি ইয়াজিদ, পারবে না দেশে
দেশে তৈরী নব্য ফেরাউন-নমরূদের
প্রেতাত্মরা। শয়তানের দোসর বুশ-ব্লেয়ার-
শ্যারনরাও পারছে না। পারবেনা কোন
পাশ্চাত্যবাদীরা, সাম্রাজ্যবাদীরা, ব্রাক্ষèণ্যবাদীরা,
ধর্মনিরপেক্ষতার ধ্বজাধারীরা। কারণ তারা মহান
আল্লাহর দরবারে যাওয়ার জন্য শহীদের পেয়ালায় চুমো দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন,
“সত্য-মুক্ত স্বাধীন জীবন লক্ষ্য ছিল যাদের,
খোদার রাহে প্রণ দিতে আজ ডাক পড়েছে
তাদের।”
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট



পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×