এক দেশে এক রাণী আছেন,সাথে আছে তাহার
অতি উচ্চশিক্ষিত পুত্র কন্যা,আরো আছে অকর্মন্য
বাচাল মন্ত্রীমহোদয়।
তাহাদিগকে নিয়া মহারানী রাবণ
রাজত্ব কায়েম করিয়াছেন।
উচ্চশিক্ষিত রাজপুত্র উচ্চ উচ্চ দুুর্নিতীর পারঙ্গমতায়
উচ্চ প্রশিক্ষিত হইয়া উঠিয়াছেন। রাজপুত্রের
দুর্নিতী প্রকাশ করিবার অপরাধে একটি খ্যতনামা
পত্রিকা বন্ধ হইয়া গিয়াছে, সেই কাগজের সম্পাদক
বিনা বিচারে গারদখানায় দিবানিশী যাপন করিতেছেন।
দেশে আরো একজন মহিলা আছেন, যিনিও রানী
হইতে ইচ্ছুক। তাহার অপদার্থ নেতাকর্মীরা খুন হন,
গুম হন কিন্তু প্রতিবাদের সক্ষমতা তাহাদের নাই।
সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের রাস্তা অনেক আগেই
রুদ্ধ হইয়াছে। ধর্মপ্রাণ নেতাদিগকে মনগড়া
অপরাধে ফাসিঁ দেয়া হইতেছে। প্রতিবাদ করিলে
গনহত্যা ঘটানো হয়। রানীমাতার সমালোচনা করিলে
জেল খাটিতে হয়, প্রাণ থোয়াইতে হয়। তাই সেই
দেশের ভীতু জনগন বোবা হইয়া গেল, কারণ
তাহারা বিশ্বাস করে, বোবার কোন শত্রু নাই।
এমতাবস্থায় দেশে গুপ্ত ঘাতকের দল হাজির হইল,
তাহারা বিচারের ভার নিজ কাঁধে তুলিয়া নিল।
বিদ্বেষপ্রসূত অনেককে হত্যা করিল। অবশ্য
সমালোচকদের মতে ইহারা রাণীমাতারই সাগরেদ।
এইরকমই এক সন্তানহারা পিতা মন্তব্য করিলেন ” আমি
ছেলে হত্যার বিচার চাই না” কার কাছে বিচার চাইবেন,
রাণীমাতা নিজেও হন্তারক, তাহার মন্ত্রীরা
ইন্দ্রনদাতা,সন্তানদের সমালোচনা করা মহাপাপ।
অতএব বিচার চাহিয়া তাহাদের লজ্জা দেয়া বুদ্ধিমানের
কাজ নয়।
বিঃদ্রঃ কাহারো চেতনায় আঘাত লাগিলে কর্তৃপক্ষ দাই নয়! আর চুলকানি থাকলে এখন ঢাকায় নাকি লাকি মলম পাওয়া যায়,নিজ দায়িত্ব এক খানা মলমের ব্যাবস্থা করিয়া লইবেন!