এক,
পিতাঅথবা স্বামী মৃত্যুর দুয়ারে।
ঠিক সে সময়ে
তাদের লড়াই করতে হচ্ছে অবিশ্বাস্য এক রাষ্ট্রীয় মিথ্যাচারের
বিরুদ্ধে। রাষ্ট্র বনাম পরিবারের এক অসম লড়াই। কিছুক্ষন পরেই হয়তো পিতার মৃত্যুর সংবাদ সুনতে হবে। কি
দুঃসহ! লাশের কফিন নেওয়ার চিন্তার পরিবর্তে তাকে
সম্মানিত রাখার পেরেশানি। কান্নাও যেন অপরাধ।
বুঝতে পারছি কি এক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে
যাচ্ছে মুজাহিদ পরিবার! হে আলোকিত পরিবার-চিন্তিত
হবেন না, মিডিয়ার বাকশালী আচরনের পাহাড় ভেদ
করে আমরা আপনাদের পাশেই আছি।
অবিশ্বাস্য এক রাষ্ট্রীয় মিথ্যাচারের কবলে গোটা
জাতি। কল্পনাতীত মিথ্যাচারের কবলে
শোকসন্তপ্ত দুটি পরিবার।
কি তাদের শান্তনা!! অথচ তার পূর্বেই তাদের
মোকাবেলা করতে হচ্ছে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে
পরিবারের সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিটির চরিত্রহননের
জঘন্য উন্মত্ততা!!
রাষ্ট্রকে প্রতিনিয়ত সেচ্ছায় অনিচ্ছায় দেশের
প্রায় সকল মিডিয়া। কোন কোন মিডিয়া হয়তো
বিবেকের তাড়নায় কৌসলে পরিবারের অবস্থান
পরিস্কার করে নিজেদের দায় সারছে।
খুব চিন্তা হচ্ছে দেশের এই চরম অবনতির জন্য।
হাই! এই রাষ্ট্র কি কোন দিনই আওয়ামী অপশক্তি
মুক্ত হবেনা?
দুই,
কনডেম সেলে বীর মুজাহিদ বসে আছেন
এখন। হয়তো কুরআনুল কারীমের কোন আয়াত
তেলাওয়াত করছেন। নিশ্চিন্তে। জানেন ই না
ফটকের বাহিরে কি পাশবিক মিথ্যাচারের উৎসব
চলছে। মিথ্যা অভিযোগের বাস্তবায়নে মিথ্যার
হোলিখেলা! এ যেন এক মিথ্যাপুরী! এই মিথ্যাচারে
বীর মুজাহিদের কি আসে যায়? মহান প্রভূর ডাকে
সাড়া দিতে তিনি এখন প্রস্তুত।
তিন,
ব্যক্তি হিসেবে আমরা আমাদের সীমাবদ্ধ
যোগ্যতা দিয়ে এই মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করেছি।
আমাদের নেতা বীর মুজাহিদের নির্দেশনা
মেনেই সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারন করেছি। শাহাদাত কবুল
করে যিনি চরম ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছেন-তাকে আমরা
এই ঠুনকো অপপ্রচারে ভুল বুঝবো ? প্রশ্নই
ওঠে না। আমরা বীর মুজাহিদের জন্য গর্বিত!
আমাদের ক্ষমা করে দিবেন হে প্রিয় রাহবার। আমরা
রাষ্ট্রী মিথ্যাচারের কাছে হেরে গেছি।
চার,
তার মানে কি আপনার আদর্শ হেরে গেছে? সে
প্রশ্নের উত্তর বেঁচে থাকলে নিজ চোখে
দেখবেন। আর শাহাদাত বরণ করলে আপনার
উত্তরপূরুষ দেখবে ইনশাআল্লাহ।