নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে ভাইবার ওয়াটসঅ্যাপের পর এবার বন্ধ করে দেওয়া হলো স্কাইপি, টুইটার,এবং ইমো!
সম্প্রতি সময় ফেসবুকের 'মজা লস' নামের একটি পেজের এডমিন কে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়,তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র এবং সরকার বিরোধী প্রচারণার অভিযোগ আনা হয়!
সরকার বার বার জঙ্গি কিংবা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের কথা বলেই স্যোসাল কমিউনিকেশন মাধ্যম গুলো বন্ধ করলেও এর কোনো সুফল আধো পাচ্ছে বলে মনে হয়না,কারন যাদের লক্ষ করে স্যোসাল কমিউনিকেশন মাধ্যম গুলো বন্ধ করা হয়েছে, তারা কিন্তু বিভিন্ন ওয়েতে তা ব্যাবহার করছে,বরং স্যোসাল মাধ্যম গুলো বন্দের ফলে দূর্ভোগ পোহাতে হয় জনসাধারণকে,যার বাস্তব প্রমাণ আমরা দেখছি ফেসবুক বন্দ থাকার সময়!
মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের প্রতি আই এস নামক জঙ্গি সংগঠনের প্রকাশ্য হুমকি থাকলেও সেখানে স্যোসাল মিডিয়া বন্ধের কোনো নির্দেশনা দেইনি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কেউ,যাক তাদের থেকে হয়তো আমাদের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টগন অভিজ্ঞ বেশী!
হ্যাঁ, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও মাঝেমধ্যে স্যোসাল মাধ্যম গুলো বন্ধ রাখা হয়,তবে তা হয় সাময়িক মুহুর্তের জন্য, আমাদের মতো মাস ব্যাপি নয়!
সরকারের উচিৎ ছিলো,স্যোসাল মিডিয়া গুলো বন্ধ না করে বরং আধুনিকায়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলা করা,কিন্তু সেটা না করে সরকার যা করছে,ব্যাপার গুলো খুবই হাস্যকর!
বুঝতে পারছিনা, এখন দেখছি 'মজা লস' পেজের এডমিন কে গ্রেফতার করে এখন সরকার তার ভুমিকা পালন করে আমজনতাকে মজা দিচ্ছে!