নির্বাচনের আগে অনাগত সন্ত্রাসের রাজনীতির আশংকায় একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম । তত্তাবধায়ক সরকারের প্রচেষ্ঠায় একটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পর নেত্রী শেখ হাসিনার দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের বিজয় মিছিল, প্রতিশোধপরায়ন সহিংসতা না করার নির্দেশে আমার মতো আরো অনেক অরাজনৈতিক মানুষ প্রচন্ড খুশী হয়েছিলেন । আশায় বুকটা ভরে গিয়েছিল একটা নতুন ধাঁরার রাজনীতির স্বপ্নে ।
একদিন যেতে না যেতেই সংবাদপত্রের পাতায় স্থান নিতে লাগলো বিশ্ববিদ্যালয়ের হলদখল সহ ছোঁটখাট কিছু সহিংসতার খবর । তারপরেও মনকে স্বান্তনা দিলাম এই ভেবে যে গত সরকার কর্তৃক নির্বাচন পরবর্তী জ্বালাও পোঁড়াও ধর্ষনের তুলনায় এটা কিছুই না । কিন্তু গত কয়েক দিনের সহিংসতার খবর খুবই উদ্বেগজনক । এ বিষয়ে প্রথম আলো ও ইত্তফাকের সম্পাদকীয়তেও লিখা হয়েছে ।
অল্পক্ষেত্রে সরকারী দলের কিছু কর্মী হতাহত হলেও বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই বিরোধীদলীয় লোকজনই হতাহত হচ্ছে । একথা সত্য যে নির্বাচনের পর দলের কিছু অসৎ ও সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ত অনেক বেড়ে যায় । কিন্তু মূল প্রশ্নটা হলো দলীয় প্রধানের নির্দেশ পালন করা হচ্ছে না কেন ?
ফতুল্লায় বালুঘাট দখলের ঘটনায় দলীয় কর্মীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মিষ্টি মেয়ে কবরীর পদক্ষেপ অবশ্যই অনুকরনীয় দৃষ্ঠান্ত । আমরা দেশের সবগুলো সাংসদকে কবরীর মত সন্ত্রাস ও সহিংসতা রোধে কাজ করে যাবার আহবান জানাচ্ছি । জনগন অনেক আশা নিয়ে একটি সুন্দর দেশ গড়ার স্বপ্নে আপনাদের বিজয়ী করেছে ।
গত সরকারের পথ ধরে সন্ত্রাস, দলীয়করন ও দূর্নীতি করলে আপনাদেরকেও জনগন পাঁচ বছর পর আস্তাকুরে ছুড়ে ফেলতেও দ্বিধা করবে না ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





