আমি বৃষ্টি চাই। ঝুম ঝুম বৃষ্টি। বৃষ্টির কাছে আমি কাঁদতে চাই। প্রকৃতির ঐ অনন্য রূপ দেখতে চাই অনন্তকাল ধরে। এই মরচে ধরা শহরের জঞ্জালের মাঝে পড়ে থেকে থেকে আমার শরীরেও আজ আস্তরনের স্তর। আমি এভাবে থাকতে চাই না। আমি মুক্তি চাই।
আমারও তো মন আছে.। এই কথাটাই তোমরা শহরবাসী মানতে চাও না। আমি ক্ষুদ্র হতে পারি, তাই বলে তো তুচ্ছ নই। তোমাদের প্রয়োজনে আমাকে তোমরা কত কাছে টেনে নাও। যদি আমি হারি্য়ে যাই, এই ভয়ে কতই না চোখে চোখে রাখ আমায়।
আর আজ যখন আমার প্রয়োজন ফুঁরিয়েছে, তখন আমাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছো এই জঞ্জালের ভিতর!
বড়ই অদ্ভুত মানবজাতি! কত অদ্ভুত তোমাদের চিন্তাধারা!
কত সহজে তোমরা কাউকে কাছে টেনে নাও। রাতারাতি তাঁকে মহামানব বানিয়ে ফেলো। ফুলে, ফলে, সাজ-পোশাকে পরিপূর্ণ করে দাও তাঁর চারিদিক। তাঁকে পৌছে দাও সম্মানের পাহাড় চুঁড়ায়।
আবার যখন ইচ্ছা হল, টেনে নিচে নামিয়ে আনো তাকে। কত অপমান, লাঞ্ছনা করে ছুঁড়ে ফেলে দাও জঞ্জালে!
কী অদ্ভুত মানবজাতি!
গুণে তোমরা গুণেশ্বর, আবার দোষে দোষাসুর!
না এভাবে আর বাঁচতে চাই না আমি। আমি মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাই। আমারওতো অধিকার আছে, সম্মানের সাথে বাঁচার। আমি আমার প্রাপ্য সম্মান চাই।
আমি এখনো ফুঁরিয়ে যাইনি। এই মরচে ধরা শহরটার জন্য আমারো যে অনেক কিছু করার আছে।
আমাকে তোমরা যতটা তুচ্ছ ভাবছো, আমি তা নই।
হে প্রকৃতি, এক মুঁঠো আলো দাও না আমায়। মুঁঠো মুঁঠো সাদা সাদা আলো। আমি বৃষ্টিস্নাত হয়ে আলোর বন্যায় গা ভাসিয়ে আবার ফিরে আসতে চাই এই শহরের বুকে। এই মরচে ধরা, জঞ্জালে ভরা শহরটাকে আবার ফিরিয়ে দিতে চাই তার সৌন্দর্য, সুষমা।
তখন এই অনিন্দ সুন্দর শহর দেখে ঐ মানবজাতিও যেনো নিজেদের কুটিলতাকে, তাদের স্বার্থপরতাকে ঘৃণা করে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



