মানবাধিকার সংগঠন অধিকার এই হিসেব দিয়েছে ।আপনার নজরে এসেছে? পত্রিকায় আজ ছাপা হয়েছে কিনা নিশ্চিত নই ।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত 10 দিনে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহতদের মধ্যে 20 জন বিএনপি,13 জন আওয়ামীলীগ, 9 জন জামায়াত ই ইসলামীর নেতা-কমর্ী। অন্যান্যদের মধ্যে,2 জন ইসলামী ঐক্য জোট কমর্ী 2জন ,এবং ওয়ার্কার্স পার্টির 1 জন,পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির 2 জন,অজ্ঞাতনামা 2 জন,সাধারণ নাগরিক 1 জন।
চার দলীয় জোট সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রাক্কালে ও পরে ,তত্ত্বাবধায়ক সরকারেরপ্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ,প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ,নতুন কমিশনার নিয়োগের দাবিতে গত 24 অক্টোবর থেকে5 নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় এই 50 জনের মৃত্যু হয় ।জামায়াতের রক্তাক্ত বাংলাদেশ সিডিটি 4/5 দিন আগে দলটির ডাকা প্রেস ব্রিফিংএ সাংবাদিকদের দেয়া হয়েছে।নির্বাচনকে সামনে রেখে সিডিটি ব্যাপক প্রদর্শন এবং বিতরনের ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।
ব্লগে এই বিষয়ে আগেই লেখা পড়েছি।সিডিটি দেখার বিষয়ে আগ্রহ জমেছিলো। ডকুমেন্টারিটি দেখে মোটের ওপর দর্শক হিসেবে মনে হয়েছে এটি জামায়াতের নোংড়া রাজনীতির আরো একটি প্রমান।এবং পুরো আয়োজনটি যে,আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে আবেগ উথলে দিয়ে নিজেদের দিকে ভোট টানার চেষ্টা তা স্পস্ট হয়ে উঠেছে।
যারা 28 অক্টোবর বা তার আগে -পরে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ;জামায়াত হলে কিংবা আওয়ামীলীগ হলে তাদের পরিবারের সদস্যদের দুঃখ কম বা বেশি এমন নিশ্চয়ই নয়। স্বজন হারানোর বেদনা সবার জন্যই সমান তীব্র।কিন্তু জামায়াত শুধু নিজেদের কমর্ীদের নিয়ে কথা বলে আবেদন রেখেছে যে,তাদের যেন ভোট দেয়া হয়।মানে কি এরকম যে,এধরনের ঘটনা অন্যদলের ঊপর হলে আপত্তি নেই জামায়াতের ঊপর যেন না হয়!?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



