তুইতো আমার কাছে
সাগরও চাইতে পারতি?
পারতি না?
সেই মুগ্ধ বিশাল ঢেউ,
অসাধারন গাঙ্গচিলেরা,
সব কিছু একসাথেই তো
চাইতে পারতি, তাইনা?
কিন্তু তুই কেন বললি,
তোর জন্যে অনেক অনেক
কবিতা লিখতে?
আমার কবিতা তো দিগ্বীজয়ীর
গান গাইতে পারে না,
কালবৈশাখীর ঝড় তোলে না,
গোলাপ ফোটায় না,
কারো কান্না থামায় না,
হাসি ফোটায় না,
শুধু কিছু ব্যার্থতাকে
অক্ষরে রুপ দেয়।
তুইতো পাহাড় চাইতে পারতি,
সূর্য ওঠা পাহাড়, মেঘে ভাসা পাহাড়,
প্রজাপতি বাগানও তো ছিলো,
কাশফুলের বন ছিলো,
মৌমাছি ওড়া হলুদ সর্ষের ক্ষেত ছিলো,
তুইতো সেসব চাইতে পারতি,
অন্যরা যেমন চায়।
কিন্তু কেন কবিতা চাইলি?
জানিস না তুই কবিতারা নিরুপায়,
কবিতারা পরাধীন,
কবিতারা যন্ত্রনা বাড়ায়,
বুকের পাঁজরে, হৃদপিন্ডে আর মগজে।
কবিতার ভেতরে ভালোবাসা নির্জীব,
দেখিস না কবিতারা
তোর কষ্টগুলো কমায় না,
আমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখতে
সাহস যোগায় না,
এমনকি আমার হাত ধরারও
সুযোগ দেয় না।
সোনামনি, এটা তোর চাওয়া
অনেক অনেক কবিতার একটা।
আমার দেয়া তোর জন্যে
আরও একটা ব্যার্থতা,
আরও একটা হতাশা,
আরও কিছু চোখের জল,
আরও একটা স্বপ্নহীন রজনী।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


