বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে অনেক স্বেচ্ছাসেবক ভাই এগিয়ে আসছেন এবং নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা করছেন কিন্তু আপনার সহযোগিতা টি কারো বাণিজ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে না তো? বর্তমান পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে যারা দান করছেন কেউ প্রবাসী কেউ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, মেম্বার, চেয়ারম্যান, ব্যবসায়িক, এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মীরা দান করছেন। দান নিঃসন্দেহে কল্যাণকর। কিন্তু আপনার নৈতিক মূল্যবোধ নির্দিষ্ট সূচক এর ভেতরে থাকতে হবে। আমি মনে করছি দানের জন্য কিছু বিষয়ের পরিবর্তন আনা দরকার হতে পারে, ধরুন আপনি একজন প্রবাসী আপনি 200 মানুষের জন্য একটা তহবিল গঠন করছেন, 200 মানুষকে 10 কেজি চাল 2 কেজি ডাল করে প্রত্যেককে দিলেন। আরেকজন প্রবাসী একই স্থানের কল্যাণের জন্য দান করলেন এবং 200 মানুষকে দান করলেন 10 কেজি চাল 2 কেজি ডাল। এখন একটু ভেবে দেখলে বোঝা যায়, দানগ্রহীতা ব্যক্তি নিশ্চয়ই তার দ্বিগুণ সুবিধা পাচ্ছেন। যে বিষয়টি এই মুহূর্তে পরিবর্তনশীল সেটি হলো, প্রত্যেক সময় যদি দানগ্রহীতা ব্যক্তি সুবিধা পায় তাহলে আমি বলব আপনার নৈতিক মূল্যবোধ নির্দিষ্ট সূচকের বাহিরে। আপনি দান করে শুধুই দায় মুক্তি নিচ্ছেন কিন্তু সমাজ সংস্কার বা মেরামত হচ্ছে না। এভাবে প্রত্যেক গ্রহীতা ব্যক্তি তার ঘড়ে যদি দশ দিনের খাবার থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ দান করে, সে আশায় নিশ্চয়ই বসে থাকতে পারে, এবং থাকবে। দানগ্রহীতা ব্যক্তি আড়ালে বাণিজ্যিক সুবিধা নেওয়ার সংখ্যাও ঝুঁকির বাহিরে নয়।
সমাজ সংস্কার: এ মুহূর্তে আমাদের যা করা দরকার তা হলো। প্রত্যেক সুবিধা বঞ্চিত মানুষ নিজ নিজ এলাকা পাড়া-মহল্লা, কার পরিবারে কতজন মেম্বার আছে তার তদারকি করে সবার নাম এন্ট্রি করা যেতে পারে, এন্ট্রি করে একটি কার্ড করে দেওয়া এবং কার্ডে প্রত্যেকের পরিবারের কতজন মেম্বার আছে বিবরণ থাকা। নিজ নিজ এলাকা,থানা,জেলা,শহর,উপ শহর ইত্যাদি ভিত্তিক সবার দানের তহবিল এক জায়গায় রাখতে পারা। এলাকা বিত্তিক এই তহবিল সংগঠনের তদারকি করবে সমাজের পাঁচজন জন বিশিষ্ট ভালো মানুষের মাঝে একজন অথবা সেনাবাহিনী ও হতে পারে ( যদিও আমার তাদেরকে দিয়ে আস্তা নেই)। এবং প্রত্যেক সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিকে পাঁচ বা দশ দিনের খাবার দেওয়া, এবং সুবিধা বঞ্চিত ব্যক্তি পাঁচ দিন বা দশ দিন পর খাবার শেষ হলে একই তহবিল থেকে খাবার সংগ্রহ করতে পারা। সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তি যদি পাঁচ দিন বা দশ দিন খাবার না খেয়ে যদি সে বিক্রি করে দেয় এটা তার ব্যক্তিগত বিষয় হতে পারে। তাহলে আমি মনে করছি দান এক হাত দিয়ে যেতে পারবে। সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো সুবিধার বাইরে থাকবে না। দান আত্মার খোরাক, দান নিরবেই করতে হয়, সেলফি দান নয়।
সবার মতামত প্রয়োজন এবং মতামত দিয়ে সহযোগিতা করবেন
লেখার সোর্স: অপ্রত্যাশিত হিমু