somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রেমিকার প্রতিশোধ

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার বেশ ভাল এক বন্ধু। একসাথে থাকছি, খাইছি, ঘুরছি, কোচিং করছি। আরও কত কতকি করছি তার ইয়ত্তা নাই। ওর বাবা স্ট্রোক করার পর ও যশোর ফিরে যায়। সেখানেই এডমিশন নেয়। আমি যশোর যাইনি কোনদিন। সুযোগ পেলাম এই মাসে যাওয়ার। ভাবছি গিয়া দেকুম বেডা আনন্দে ঘুর ঘুর করব ওর স্বভাবমতন। কিন্তু দেহি মনবেজার কইরা বইয়া আছে।

‘কিরে তর গডনা কি ক দেহি?
কিছুনা দুস্ত আর কিরম যেন বিধবা বিধবা মনে হইতাছে।
কেন বেডা তুইর বউকি মরছেনি?
নারে ওর আইজ বিয়া, ওর বাপ অন্য জায়াগায় দিতাছে।
ত, তুরতো আনন্দে বগল বাজাইবার কতা, কান্দুম কান্দুম করছ ক্যা? X(
ও মাইয়া ফুন করছে। অনেক কান্নাকাটি করছে। /:)
তো তাতে তোরকি? তরতো তাতে মন খারাপ হওয়ার কথা না।
তা হয়নাই, তবে মাইয়্যা এমন কথা কইছে যে মুইর আতে লাগিছে।
কি কইছে ক না, মনডা একটু ডান্ডা করি। বাসে বহুত কষ্ট হইছে। :D
রাইতে ফুন দিছে। কয় আমি ব্যাগ গোছাইয়া রাখছি তুমি আইসা নিয়া যাও। কিন্তু আমিতো আমতাআমতা করতাছিলাম। তাইতে বুঝে গেছে যে আমি কিছু করবো না। তখনি আসল জায়গায় আঘাত করছে।
কি কইছে ক না। আরে ক বেটা। B-)
কয়কি, মুরদ নাই প্রেম করবার কইছিলো ক্যাডা বেটা নাদান।
আমি কইলাম ‘হ ঠিকইতো কইছে।
বন্ধু ক্ষেইপা গেছে। আমারে ঝাড়ি কয় ‘এই তোরে কইছে কে আর প্রেম করার মুরদ নাই। X(
না সেইটা ঠিক আছে। তরে তো কইছে বিয়া করার কতা। বেটা প্রেম কইরা যে বেডা প্রেমিকারে ঘরে আনতে পারে হেতেইতো মরদ।
তরে কইছে ওই মুটিরে বিয়া কইরা কি বাকী জীবন ফ্লোরে রাত কাটামু নাকি। কোনদিন রিস্কায় একসাতে ঘুরতো পারি নাই। অটোতে (ব্যাটারী চালিত যান) অটোতে ঘুরতে হইছে। তাও চিন্তা ছিল অটো না কাইত হইয়া যায়। /:)/:)
আমার খুব হাসি পাইল। তইলে তো ভালই ছিল দুইজনে সমান সমান।
আর কি কইছে কনা।
কইছে বিয়ার পরে নাকি প্রতিদিন একবার কইরা আমার বাসার সামনে দিয়া ওর স্বামীর কাধে মাথা রাইখা হাইটা যাইবো। আর দেখা হইলে কইবো।
কি কইবো ক?
হেইডা ফুন রাখার সময়ও বলছিল।
ক কি কইছে?
বলছে, রাখি ভাইয়া, ভাল থাকবেন।
যাক বেডা দুঃখ করিছনা, তোরতো আবার কপাল ভালা।
তর মনে হয় দুঃখ লাগতাছে? X(X(

যাই হোক দুপুরে খাওয়া দাওয়া সাইরা বাইরে বাইর হইলাম। কইলাম চল তোর ক্যাম্পাসে যাই। রাজি হইলো না। যাহোক ছিলাম চারদিন। যে দিন চলে আসবো রাতের টিকিট করছিলাম। দুপুরের পর ওর আরও বন্ধুর সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম। একজন বলল চল বোট গার্ডেন ঘুইরা আসি। দেকলাম ওর মুখ তাতে কালা হইয়া গেছে।
পৌছতে চল্লিশ মিনিট এর মত লাগছে। বেশ সুন্দর একটা যায়গা। তবে জায়গা খুব ছোট। সেটা ধর্তব্যের মধ্যে পরে না সামনের লেকটার জন্য। খুবই সুন্দর লাগছে আমার। জোরালো বাতাস বইছে বেশ। শীতকাল না হলে বাতাসটা বেশ উপভোগ্য হত। কিছু সময় পর শুনি গোলাগুলির আওয়াজ। জানলাম ফায়ারিং চলছে জলপাই পোশাকওয়ালাদের। এজন্য বোট ও ভাড়া দিচ্ছে না। আশপাশ ঘুরে দেখছি আমি। একদিকে গিয়ে দেখি কাঠের তৈরি মাচার উপর একটা ঘর। ওঠার জন্য আবার সিড়ি রয়েছে। কাছে সাইনবোর্ড এ বিশেষ বার্তা। “কেউ এই ঘরে ১০মিনিট এর বেশী অবস্থান করিবেন না।”
কারন জিগেস করলে বন্ধু হাসি দিয়া কইল, আরে পুলামাইয়ারা দেখবি সবাই এই ঘরে একবার কইরা আইসা থাইকা যাইব। তবে আমি উঠলে ৩০মিনিট এর আগে নামতাম না। :((:((
আমি কইলাম ‘চল উইটা দেখি।
তুই উঠবি কি জন্য। কাপল ছারা উঠা নিষেধ। ;)
কইলাম ‘ঐখানতোন লেকটা ভাল দেখা যাইবো।
বন্ধু আর আমি উঠলাম।
আমরা উঠা মাএই এক কাপল ধরমড় কইরা উঠা দাড়াইল। ওমা মাইয়া দেখি আমাগো দেখিয়া দন্তবিকশিত হাসি দিয়া আগাইয়া আসিতে লাগিল। তারপর যা কইল আমি এ শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না মোটেও।
বন্ধুর সামনে দাড়াইয়া বলল ‘ভাইয়া কেমন আছেন। আসেন এই আমার বর, আসেন পরিচিত হই। :-/
আমি হতভম্ব হইয়া দাড়াইয়া রইলাম। আমার দোস্ত কোনমতে একটা হাসি দিয়া নিচে নামিয়া গেল। আমাকে বলল ‘আপনি বুঝি ওর বন্ধু আগেতো কখোনো দেখিনি।
আমি বললাম ‘আই ঢাহাতোন আইছি।
ও তাই, আপনের দোস্তরে নিয়া আইসেন বাসায়।
ঠিক আছে’ কইয়া বাধ্য ছেলের মত মাথা ঝাকাইলাম। তারপর নিচের দিকে নামিয়া আসার সময় তার চোখের দিকে তাকাইলাম। হাসছিল মেয়েটা। আনন্দের হাসি দাত বের করে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:০৬
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×