somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ ঢাকায় জম্বীস Vs. প্রোফেসর আশরাফি !!

২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাইরে প্রচন্ড গরম । একটু যে বের হব তার উপায় নাই । এতো গরমের ভিতর মানুষ টিকে কিভাবে ? আমি গরমে অতিষ্ট তখন ফারহানের ফোন পেলাম । এই সাতদিন ধরে বেটার কোন খোজ খবর নাই । এখন কি চায় ?
-শান্ত একখুনি রেডি হ । তোকে নিতে আসতেছি ।
আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ফারহান ফোনটা কেটে দিল । বাধ্য হয়েই তৈরি হয়ে নিচে নেমে এলাম । ফারহান এসে পড়লো পাঁচ মিনিটের ভিতরেই ফারহান এসে হাজির ওর এফ জেড ফাইভ নিয়ে ।
-কি কোথায় ছিল এই কয়দিন ? কয় বার ফোন দিছি ?
সব বলতেছি আগে বাইকে ওঠ ।
-কোথায় যাবি ?
-স্পেশ গার্ডেন ।
আমি জানতাম ফারহান এই কথাই বলবে । নিশ্চই প্রোফেসর আশরাফির জরুরী তলব । ফারহানের গায়েব থাকার পেছনেও নিশ্চই প্রোফেসর আশরাফির কোন হাত আছে । প্রায়ই প্রোফেসর আমাদের কে এমন কাজ দেন ।
আমি ঠিক বুঝি না দুজনকে একসাথে দিলে কি সমস্যা ?
গতমাসের ঘটনা । প্রোফেসর আমাকে একাই ডেকে পাঠালো । আমি স্পেশ গার্ডেনে পৌছে দেখি বল সাইজের পাতলা একটা ধুসর রংয়ের বাক্স নিয়ে বসে আছে । আমি ঘরে ঢুকতেই আমাকে বলল
-এই নাও । এই টা এক জায়গায় দিয়ে আসতে হবে ।
-কোন জায়গায় প্রোফেসর ?
আমার এই কথা শুনে প্রোফেসর অদ্ভুদ ভঙ্গিতে হাসল । বলল
-এটা হাতে নাও তাহলেই বুঝবে । যন্ত্রটা হাতে নিতে তেমন কিছু হল না প্রথমে । কিন্তু একটু পরেই অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম আমার মনের ভিতর একটা পরিবর্তন চলে এসেছে । আমি স্পষ্টই বুঝতে পারছি আমাকে কোথায় যেতে হবে । আর কেবল অবাক হয়ে প্রোফেসরের দিকে তাকালাম । তিনি তখনও মুচকি হেসে চলেছেন । আমার দিকে তাকিয়ে বললেন
-কই যাও । জলদি যাও ।
আমি রওনা হয়ে গেল । পরে জেনেছি ধুসর যন্ত্রতার ভিতর একটা মাইন্ড সেন্সর লাগানো ছিল । ঐ মাইন্ড সেন্সরের কন্ট্রল প্যানেলে নাকি ঠিকানা লেখা ছিল । আমি যেই না সেন্সরের স্পর্শ করেছি সেন্সরটা আমার মনকে এফেক্ট করেছে ।
প্রোফেসর যন্ত্রটার আরো উন্নতি সাধন করার চেষ্টা করছেন । প্রোফেসর বললেন যে পুরোপুরি কাজ শেষ হলে তখন আর নাকি কষ্ট করে কোন কিছু মুখস্ত করতে হবে না । কেবল ইবুক আকারে সেন্সরে প্রবেশ করিয়ে সরাসরি মনের ভিতর ডাউনলোড করানো হবে । আরো কিছু টেকনিক্যাল কথা অবশ্য প্রোফেসর বলেছিল আমি ঠিক মত বুঝতে পারি নি ।
যাইহোক আজকে আবার কি দরকার পড়লো যে প্রোফেসর আমাদের দুজন কে একসাথে ডাক দিল ।

ফারহান বেশ জোরেই বাইক চালাচ্ছে । একটু যেন তাড়াহুড়ার ভিতর আছে । আমি ফারহানের পিছনে বসে আছি । ওর কানের মুখ নিয়ে চিৎকার করে বললাম
-আমাদের পেছনে কি পুলিশ লেগেছে ?
ফারহান বলল
-কেন ?
-এতো তাড়াহুড়া কেন করছিস ?
-আরে এমন একটা খবর আছে ! প্রোফেসরকে বলতে হবে ।
-তুই কোথায় ছিলি এই কয় দিন ?
-আরে সব বলবো । আগে প্রোফেসরের বাসায় চল ।ওখানে গেলেই সব জানতে পারবি !
আমি আর কিছু জানতে চাইলাম না । বাইকের পেছনটা একটু শক্ত করে ধরে বসলাম ।
যখন স্পেশ গার্ডেনে পৌছালাম গরমে ঘেমে নেয়ে একেবারে একাকায় । চারিদিকে এতো গরম পরেছে ! কিন্তু প্রফেসরের ঘরে ঢুকতেই একেবারে গরমটা উবে গেল । প্রথমে মনে হল যেন তাপমাত্রা যেন একেবারে কমে গেছে ।
এসির ভিতর ঢুকে পড়লাম নাকি ? এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখি সব দরজা জানালা খোলা । প্রোফেসর এমনিতেই এসি খুব একটা পছন্দ করেন না । বিশেষ করে তিনি ঘরের বদ্ধ পরিবেশ একদম পছন্দ করেন না ।
তাহলে ?
ড্রয়িং রুমের তাপমাত্রা একেবারে স্বাভাবিক । মনে হচ্ছে একটু আগে বৃষ্টি হয়েছে । বৃষ্টি হওয়ার পরে চারিপাশে যেমন একটা ফ্রেস আর ঠান্ডা ভাব থাকে ঠিক সেই রকম আবাহাওয়া ।
আশ্চার্য হলাম । অবশ্য প্রোফেসরের সাথে থাকলে অবাক হতে নাই । একটু পরেই নাসিরউল্লাহ এসে হাজির ।
-শান্ত ভাই অনেকদিন পরে আইলেন ।
আমি একটু হেসে বললাম
-এই একটু ব্যস্ত আর কি ! পরীক্ষা ছিল ।
আমি আরো কিছু বলতে যাবো তার আগে ফারহান বলল
-প্রোফেসর কোথায় ?
-স্যার তো ছাদে ।
আমি আটকে উঠে বললাম
-এই রোদের ভিতর ছাদে কি করে ?
-যান । গেলেই দেখবেন ।
-আয় !
ফারহান আমাকে ডাক দিয়ে ছাদের দিকে হাটা দিল । আমার যদিও এই শান্তির আবাহাওয়া ছেড়ে ছাদের গরমের ভিতর যাওয়ার কোন ইচ্ছা ছিল না তবুও ফারহানের পিছন পিছন হাটা দিলাম ।
কিন্তু ছাদেও সেই একই অবস্থা । মনেই হচ্ছে না যে এটা গরম কাল । বাইরে চল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা । কিন্তু এখানে দেখি প্রোফেসর আপন মনে বসে চা খাচ্ছে । তানিয়া তাবাসসুমও দেখি আছে । আমাদের দেখে প্রোফেসর বলে হৈ হৈ করে উঠল ।
-আরে এসো এসো ।
আমরা দুজনেই গিয়ে সোফার উপর গিয়ে বসলাম । আমি বললাম
-প্রোফেসর ! তাপ …….
আমাকে শেষ করতে না দিয়ে প্রোফেসর ফারহানের দিকে তাকাল ।
-কি খবর ফারহান ?
-খবর খুব ভয়ংকর !
-মানে কি ?
-আপনার ধারনা ঠিক । কিছু একটা হচ্ছে এম্বাসিতে ।
-কি হচ্ছে কিছু বুঝতে পেরেছো ?
- সবটা বুঝতে পারি নাই তবে আপনি যা বলেছেন একদম সেরকম ই । প্রতিদিন রাত দুইটার দিকে আমেরিক্যান এম্বাসির পেছনের গেট থেকে কয়েকজন উদভ্রান্ত লোক বের হয় । আসে পাশে যাকে পায় তাকেই আক্রমন করে ।
-তারপর ?
-তারপর ...
ফারহান একটু ইতস্তত করতে লাগলো । বলবে কি বলবে না এটা ভাবছে ।
-কি হল ?
-প্রোফেসর আপনি জম্বিক দেখেছেন ?
তানিয়া তাবাসসুম এতোক্ষন চুপ করে ছিল । জম্বির কথা শুনে বলল
-জম্বিক ? মানে ঐ রেসিডেন্সিয়াল মুভির মত ? মৃত মানুষ গুলো কেমন করে চলাচল ঘার কাত করে হাটে !
-হুম ।
প্রোফেসর বলল
-তুমি কি বলতে চাও ? তুমি জম্বিক দেখেছো ?
ফারহান বলল
-এম্বাসি থেকে যে উদভ্রান্ত লোক গুলো বের হয় সেগুলো আর কিছু না ।
-জম্বীস ?
-জম্বীস ?
আমি আর তানিয়া তাবাসসুম একসাথে চিৎকার করে উঠলাম ।
-হুম ।
হঠাৎ আমার সকাল বেলার পেপারের কথা মনে পড়লো । ঢাকায় কদিন থেকেই কত গুলো খুন হচ্ছে । আর লাশ গুলো বেশ বিকৃত অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে এখানে সেখানে । দেখলে মনে হয় কেউ যেন খুবলে খুবলে খেয়েছে ।
মুভিতে যেভাবে দেখা যায় ! আমার কেন জানি মনে হল ঐ সব খুনের সাথে এর একটা সম্পর্ক আছে ! আমি বললাম
-তার মানে পত্রিকা গুলো যা ছাপছে তা ঠিক ?
প্রোফেসর বলল
-তাই তো মনে হচ্ছে । কিন্তু এটা বলে ঠিক হবে না যে ওগুলো জম্বীসের হাতেই মারা পরেছে !
তাতা খানিকটা সংকিত গলায় বলল
-হায় আল্লাহ । এতোদিন তো ভুত পেত্নী ছিল । এখন জম্বীস ! এখন কি হবে ! এখন কি হবে ?
প্রোফেসর বলল
-আহ তানিয়া । এতো অস্থির কেন হচ্ছ ? এখনও অবস্থা অতটা খারাপ হয় নি ।
ফারহান বলল
-ঠিক বলেছেন এখনও অবস্থার অতোটা খারাপ হয় নি । প্রতিদিন হাতে গোনা দশ থেকে বারো জন বের হয় । আর এরা আশে পাশের যাকে পায় তাকেই আক্রমন করে । তবে !
-তবে ।
আমিও বললাম
-তবে !
আমার দেখাদেখি তাতাও বলল
-তবে ?
ফারহান বলল
-আমরা মুভিতে দেখি না জম্বীসরা যাদের মারে বা কামড় দেয় তারাও কিছুক্ষন পরে জম্বীস হয়ে যায় ?
-হুম ।
-এখানে ঐ রকম কিছু হয় না । যারা মারা গেছে তাদের কেউই জম্বীস হয়ে উঠে নাই । আমি ঢাকা মেডিক্যালে খোজ নিয়েছি । আজ সকাল পর্যন্ত সাত জন মারা গেছে জম্বীসদের হাতে । সাত জনই ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে আছে । কেউ এখনও পর্যন্ত বেঁচে উঠে নাই ।
-ভাল । এটা একটা ভাল কথা । পুলিশ কিছু করছে না ।
ফারহান বলল
-এটা একটা অবাক হওয়ার মত বিষয় ! পুলিশ একেবারে নিশ্চুপ !
প্রোফেসর বলল
-যদিও জম্বীসের ব্যাপারে সাইন্টিফিক্যালী কোন প্রুফ নাই । কেবল গল্প কিংবা মুভিতেই দেখা যায় । বাস্তবে এর কোন অস্তিত্ব নাই ।
-প্রোফেসর । আর একটা মজার খবর আছে ?
-কি ?
-যে জম্বীস গুলোর কথা বলছি সেগুলো কিন্তু আসলে জম্বীস না । কেবল রাতের একটা নির্দিষ্ট সময়ে তারা বের হয় । এবং সকাল বেলা আবার মানুষে পরিনত হয়ে যায় ।
-তুমি এটা কিভাবে বলছো ?
-কাল রাতের ঘটনা । ঐ জাম্বীস গুলোর ভিতর একটা জম্বীস একটু বেশি দুরে চলে যায় । ফিরে আসতে আসতে তখন সকালের আলো ফুটে যায় । আমি ঐটার পিছনেই ছিলাম ।
-কি দেখলে ?
-দেখলাম ভোরের আলো গায়ে লাগতেই জম্বীটা উল্টে পড়ে গেল । পরেই রইল বেশ কিছুক্ষন । অনেক্ষন যখন দেখলাম উঠছে না আমি বাইক নিয়ে এগিয়ে গেলাম । গিয়ে দেখি একদম স্বাভাবিক মানুষ । আশ্চার্য হয়ে গেলাম । কিন্তু লোকটার বেশ কয়েক জায়গায় কাটা ছেড়ার দাগ ছিল ।
প্রোফেসর বলল
-তারমানে তুমি বলতে চাচ্ছ মানুষ গুলো কেবল কিছু সময়ের জন্য জম্বীস হচ্ছে । পুরোপুরি না ?
-না ।
-কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন ?
আমি বললাম
-রাস্তার মানুষ গুলো মারার জন্য ওরা কেন বের হবে ?
প্রোফেসর আশরাফী মাথা নাড়ল । তানিয়া বলল
-মনে হচ্ছে এর পিছনে কেউ আছে । কোন প্রজেক্ট আছে । কেউ একজন এটা নিয়ন্ত্রন করবে ।
প্রোফেসর আশরাফী মাথা নাড়ল ।
-ঠিক তাই । কেবল মাত্র রাস্তার মানুষ গুলোকে মারার জন্য নিশ্চই এই জম্বীসদের মাঠে নামানো হয় নাই ?
এই প্রশ্নের জবাব আমাদের কারো কাছেই নেই আমরা কেবল প্রোফেসরে দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলাম । ফারহান এই সময় নিজের পকেট থেকে একটা কাচের সিসি বের করে প্রোফেসরের দিকে এগিয়ে দিল । আমি কাচের ভিতরে দেখার চেষ্টা করলাম । ভিতর কালচে জাতীয় কিছু রয়েছে । প্রোফেসর বলল
-কি এটা ?
-ঐ লোকটার রক্তের স্যাম্পল ।
প্রোফেসর এবার খুশি হয়ে উঠল ।
-ব্রেভো । কিভাবে জোগার করলে ?
-ঐ যে সকাল বেলা লোকটা যখন বেহুশ হয়ে ছিল ঐ লোকটা শরীরের কাটা ছেড়ার ছিল । বেশ কয়েক জায়গা থেকে রক্তও পড়ছিল । সেখান থেকেই নিয়েছি ।
-খুব ভাল কাজ করেছ ।
প্রোফেসরের ভিতর কেমন একটা তাড়াহুড়া দেখা গেল ।
-শোন তাহলে আজকের মত এখানেই সভা শেষ । আমি দেখি এই রক্তটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে । তোমরা এখন আসো ।
প্রোফেসর আর দাড়ালো না । কাচের সিসিটা নি চলে গেল নিচে ।
প্রোফেসর চলে গেলেই আমার কথাটা মনে পড়ল । আরে এই আবাহাওয়া এতো মনোরম কেমন করে হলে জানা হল না তো !

আমরা বাইরে বের হয়ে এলাম । প্রোফেসর ল্যাবে ঢুকে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন আর আমাদেরও খুব একটা কাজ ছিল না এখানে । বসে থাকার কোন মানে নাই । আমরা তিনজনই স্পেশ গার্ডেনের নিচের লবিতে একটু দাড়ালাম ! বের হওয়ার আগে নাসির উল্লাহর হাতের লেবুর শরবত খেতে ভুল হল না ।
-আজ রাতে কি করবি ?
আমি ফারহানের দিকে তাকিয়ে বললাম
-কেন ? কি করার প্লান ?
-জম্বীক দেখতে যাবি ?
-জাম্বীক ? আমি দেখবো ! আমি দেখবো !
তানিয়া তাবাসসুম এমন ভাবে চিৎকার করতে লাগলো যেন জম্বীক না চিড়িয়াখানায় বানর কিংবা হরিন দেখতে যাবে । অবশ্য আমার নিজের মনেও এমন একটা ইচ্ছা ছিল । সারা জীবন তো টিভিতেই জম্বীক দেখে গেলাম । এবার না হয় সরাসরিই দেখি ।
তাতা বলল
-প্রোফেসরকে জানানো দরকার ।
আমি বললাম
-আমার মনে হয় না উনি অনুমুতি দিবেন ।
তানিয়া বলল
-কেন ফারহানকে তো ঠিকই বলেছেন । আমাদের কে কেন দিবেন না ?
-ফারহানকে বলেছেন প্রয়োজনে । আর আমরা তো যাচ্ছি আনন্দ ভ্রমনে । বলা যায় যেচে পড়ে বিপদের ভিতর পা দিতে যাচ্ছি । যদি কোন ভাবে জাম্বীসদের হাতে পড়ে যাই তাহলে আর রক্ষা নাই ।
ফারহান বলল
-ঠিক তাই । যথেষ্ট বিপদের সম্ভাবনা ছিল বিধায় প্রোফেসর শান্তকেও বলে নাই ।
আমি বললাম
-আর আমি যতদুর জানি জম্বীসদের শ্রবণ ক্ষমতা অত্যাধিক হয় । পিপড়া যেমন তিন কিলোমিটার দুর থেকে কোন কিছুর আওয়াজ শুনতে পারে জাম্বীসরাও তেমন । এজন্য বিপদের সম্ভাবনা বেশি !
-আচ্ছা তার মানে আমাকে তোমরা নিতে চাও না ।
ফারহান বলল
-আরে এই কথা আমি কখন বললাম ?
তানিয়া তাবাসসুম বলল
-দেখ ফারহান আমি ঘাস খাই না । আমি একটু বেশি কথা বলি বলে তো এমন না যে আমি চুপ করে থাকতে পারবো না ? আর তোমরা যদি আমাকে না নিতে চাও । ওকে ফাইন । আমি একাই যাবো । আজ রাতেই যাবো ।
তানিয়া তাবাসসুম রাগ করে চলে যাচ্ছিল । আমরা দুজন অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে ওনার রাজি করালাম । তানিয়া যে রকম মেয়ে ঠিকই একা একা হাজির হয়ে যেত জাম্বীসদের সামনে ।
ঠিক হল আমরা রাতে তানিয়া তাবাসসুমের বাসায় হাজির হব । তাতার বাসা থেকেই অমেরিকান এম্বাসিটা কাছে হবে । সেখান থেকেই আমার জম্বীক দেখার যাত্রা শুরু হবে !

রাত এগারোটার ভিতরই আমরা দুজনেই তানিয়ার বাসায় পৌছেগেলাম । আজ অনেকদিন পরে বাইক নিয়ে বের হয়েছি । মা তো আমাকে বাইক নিয়ে বেরই হতে দিতে চান না । কোথাও গেলে ফারহানের সাথেই যাওয়া হয় । আজকে রাতের বেলা বের হওয়া দেখে মা কিছু জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছিলেন । প্রোফেসরের নাম বলতেই আর কিছু বললেন না ।
প্রোফেসর আশরাফি এখন দুনিয়া শুদ্ধ লোকে চেনে । তার সাথে সাথে আমার আর ফারহানের নামটাও টুকটাক চেনে । এই জন্য বাসা থেকে এই ব্যাপারে যথেষ্ট ছাড় পাওয়া যায় ।
রাতে হাসের মাংশ আর খিচুরী দিয়ে ডিনার সেরে নিলাম তাতার বাসায় । হাসের একটা রান খেতে ফারহান বলল
-এখন আমি এই হাসের রান খাচ্ছি । কি জানি একটু পরে বোধহয় কোন জম্বীক আমার রান খাবে ।
আমরা তিনজনেই হেসে উঠলাম ।

এম্বাসির উত্তর গেট প্রায় ৫০০ গজ দুরে আমরা একটা বেঞ্চের আড়ালে বসে আসি । বেঞ্চ দিয়েই মোটামুটি আমাদের সবার শরীর কাভার হয়ে গেছে ! আমাদের এখন কেবল অপেক্ষা করার পালা ! ঘড়িতে পকেটার কিছু বেশি বাজে ! আরো ঘন্টা খানের অপেক্ষা করতে হবে !
আমরা কেউ খুব বেশি কথা বলছি না !
আমাদের বাইক দুটো এখান থেকে আরো ১০০ গজ দুরে একটা ডাস্টবীনের আড়ালে লুকানো ! কোন রকম বিপদ দেখলেই আমরা চোখ কান বুঝে সেদিনে দৌড় দিব !
তানিয়া হঠাৎ বলল
-আর কতক্ষন ?
-ঠিক নাই ! ওরা কখন বের হয় ! সাধারনত দুইটার আশে পাশে ওরা বের হয় !
আমি ফারহানকে বললাম
-একটা ব্যাপার কি লক্ষ্য করেছিস ?
-কি ?
-আশে পাশে কিন্তু কোন সিকিউরিটি নাই ! আমি এর আগেও বেশ কয়েকবার এই এলাকায় এসেছি ! রাতের বেলাও রীতিম মত খোলা বন্দুক নিয়ে টহল দিত দেখেছি ! আর এখন একটা কাক পক্ষীও নাই !
-হুম ! এইটা আমি প্রথম দিন থেকেই দেখেছি ! প্রথম যেদিন এলাম ! আরো সামনে ছিলাম ! ঐ যে বড় গাছ টা দেখছি না ঐ খানে !
আমি আর তানিয়া দুজনেই বড় বট গাছটার দিকে তাকিয়ে দেখলাম ! ফারহান বলে চলল
-আমি ওখানেই ছিলাম ! সেদিন একটু সকাল সকালই চলে আসি ! তখনও কয়েকজন গার্ড ছিল ! একটার দিকে দেখি সব গুলো গার্ড ভিতরে চলে গেল ! একটু অবাক লেগেছিল ! তারপরই মনে কর ওরা বের হয়ে আসে !
ফরহান ওরা শব্দটাতে একটু বেশিই জোর দিল !
আমি আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলাম তখনই তানিয়া তাবাসসুম আমাকে একটা খোচা মারলো !
-চুপ !
তারপর হাতে ইশারায় উত্তর দিকের গেটের দিকে ইশারা করলো ! আমরা দুজনেই সেদিকে তাকালাম । একটু নড়াচড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে ! দুই মিনিট কোন কথা বের হল না কারো মুখ থেকে । আমরা তিন জনই নিঃশ্বাস বন্ধ করে অপেক্ষা করতে লাগলাম !
একটু পরেই একজজন কে দেখতে পেলাম আমরা ! আমাদের কাছে নাইট ভিশন দুরবিন ছিল ! তানিয়া আগে থেকেই সেটা দখল করে নিয়েছে ! চোখ লাগিয়ে দেখতে লাগলো ! আমি খালি চোখে দেখতে লাগলাম ! কুকুর যেমন রেগে গেলে একটু ঘড় ঘড় আওয়াজ করে তেমন একটা আওয়াজ ভেসে আসছে ! মনে হচ্ছে ঐ প্রানী গুলোই আওয়াজ গুলো করছে !
আস্তে আস্তে আরো এগারোটা জম্বীক বের হল ! সব গুলোই কেমন উভ্রান্তের মত এদিক ওদিক হাটা হাটি করছে ! আমি তানিয়ার কাছ থেকে দুরবিনটা নিয়ে নিলাম ! চোখ লাগিয়ে যা দেখলাম তার জন্য মোটেই প্রস্তত ছিলাম না ! খালি চোখে খুব এটা পরিস্কার বোঝাও যাচ্ছিল না !
দুরবিন লাগিয়ে পরিস্কার দেখা যাচ্ছিল !
প্রত্যেকটা জম্বীর চোখ গুলো স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুন বড় ! এবং সেখান থেকে লাল রক্ত জাতীয় কিছু পড়ছে । মুখ আর নাক কোন টাই ঠিক মত নাই ! সারা মুখমন্ডল বেয়ে কেবল কেমন একটা বিজবিজে রক্ত কিংবা তরল জাতীয় কিছু বেড়িয়ে আসছে ! আমি আর দেখতে পারলাম না !
বমি বমি আসতে লাগলো ! আমি দুরবিন নামিয়ে রাখতেই দেখি তানিয়া আবাসসুম হাত দিয়ে নিজের মুখ আটকে রেখেছে বমি আটকানোর চেষ্টা করছে !
কিন্তু শেষ রক্ষা হল না ! হরবর করে বমি করে দিল !
বমি করে দিক সমস্যা নাই ! কিন্তু আওয়াজ যাতে না হয় সেটা চাচ্ছিলাম । কিন্তু যা হওয়ার হয়ে গেছে ।
ওয়াক ওয়াক আওয়াজ শুনে ফেলেছে ওরা ! কয়েক মূহুর্ত কেউ কোন কথা বলল না ! তারপরই ফারহান চিৎকার করে উঠল !
-শান্ত ভাগ ! ! জলদি দৌড়া !
আমি তানিয়া আবাসসুমের হাত ধরে হেচকা টান দিলাম ! তারপর আর কিছু দেখা দেখি নাই ! দুজনেই দৌড়াতে শুরু করলাম বাইকের দিকে !
পিছনে একবার তাকিয়ে দেখি সব গুলো জাম্বী অদ্ভুদ গতিতে এগিয়ে আসছে !
কুকুর যেমন খোড়া পায়ে দৌড়ায় ! ঠিক তেমননি ভাবে !
লাফাতে লাফাতে আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে ! আমি আর পেছনে তাকানোর সুযোগ পেলাম না ! বললে ভাল হয় আর সাহস পেলাম না !
কিন্তু আমাদের বাইক কই ?
আরে ফারহান কই ?
আমি তাকিয়ে দেখি আমাদের পাশে ফারহান নাই !
আর আমাদের বাইক কই ? যেভাবে আমরা দৌড়েছি তাতে তো এতোক্ষনে বাইকের কাছে পৌছে যাবার কথা !
তাহলে কি পথ ভুল করলমা !
আমি আর কিছু ভাবতে পারছি না ! তাতা এরই ভিতর হাপিয়ে গেছে !! ওকে নিয়ে জোরে দৌড়াতে পারছে না ! আর পিছনের জম্বীক আর আমাদের দুরত্ব ক্রমেই কমে আসছে !
এ কি তাহলে শেষ ?
একটু আগে হাসের রান খেয়েছিলাম এখন জম্বীক গুলো কি আমাদের রান খাবে !
এই সবই ভাবছি হঠাৎ হোচট খেলাম ! বেশ ভাল ভাবেই ! তাতাকে দেখলাম আরো তিন হাত দুরে গিয়ে পড়তে ! আমি আর বল পেলাম না ! কারন আর মাত্র কয়েক গজের ভিতরেই একটা জাম্বী পৌছে গেছে !
মৃত নিশ্চিত ! আমার তখনই মনে হল আমি মরি অন্তত তাতাকে পালিয়ে যাবার সুযগ দিতে হবে ! যতটুকু পরি জাম্বীদের কে আটকে রাখতে হবে ! আমি মনে মনে প্রস্তুতি নিয়ে নিলাম !
চিৎকার করে তানিয়া তাবাসসুমের উদ্দেশ্যে বললাম
-আপনি থামবেন না ! দৌড় দেন ! একটুও থামবেন না !
আমি আর একবার তাতার দিকে তাকালাম ! নিয়ন আলোতে তাতার মুখে ফুটে উঠেছে একরাশ বিশ্ময় !
-যান ! দৌড়ান !
আর মাত্র কয়েক গজ । কয়েক সেকেন্ড ! সাত ! ছয় ! পাঁচ ! চার !
ঠিক তখনই একটা অবাক করা ঘটনা ঘটলো ! দেখলাম চারিদিকে ফকফকে আলো হয়ে গেল ! যেন আলোর বন্যা বয়ে চলেছে ! এতো আলো দেখে জম্বী গুলো মুহুর্তের ভিতর কেমন একটু ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল !
কি করবে যেন ঠিক মত বুঝতে না !
আমার জন্য ঠিক এই সুযোগ টি দরকার ছিল ! আমি আবার পিছন ফিরে দৌড় দিলাম তানিয়া দিকে ! আমরা দুজন আর একটু এগিয়েছি দেখি দুটি ছায়া মুর্তি আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে !
আমরা অন্যদিকে যাবো কিনা ভাবছি ঠিক তখনই ছায়া মুর্তি দুটো আমাদের কাছে পরিস্কার হয়ে উঠল !
প্রোফেসর আশরাফি !
জীবনে প্রোফেসর কে দেখে এতো খুশি আর কোন দিন নি ! প্রোফেসর খানিকটা গম্ভীর মুখে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন !
প্রোফেসরের পাশেই ব্রিগেডিয়ার এমদাদ !
প্রোফেসর আমাদের দিকে তাকিয়ে বলল
-তোমাদের এরকম মূর্খমীকে কে করতে বলেছে ! এট লিষ্ট আমাকে জানিয়ে আসবে তো !
প্রোফেসর আরো কিছু বলতে যাচ্ছিল কিন্তু তানিয়া তাবাসসুম দেখলাম এগিয়ে গেল !
-স্যার ওদের কোন দোষ নাই ! আমিই ইনসিষ্ট করেছিলাম !
প্রোফেসর বলল
-তা তো আমি জানি ! যদি শান্তর মা নাসিরউল্লাহকে ফোন না করতো তাহলে আমি তো জানতেই পারতাম না ! তাহলে আজকে গেছিলা !
ব্রিগেডিয়ার এমদাদ বলল
-প্রোসফেসর ওগুলো কি করবেন ?
আমরা সবাই আবার ঘুরে তাকালমা ! প্রচন্ড আলোর মাঝে এগারোটা জম্বীক ইতস্তঃ ঘোরাঘুরি করছে !
প্রফেসর বলল
-এদের কে খোলা রাখা বিপদজনক ! আমি কাজ করছি ! কালকের ভিতর কিছু একটা হয়ে যাবে ! আপাতত এদের প্রিজন ভ্যানে আটকে রাখেন ! আর আলোর ব্যাবস্থা করে রাইখেন ! এরা আলো দেখলেই একেবারে শান্ত হয়ে যায় !
এরই ভিতর ফারহান এসে হাজির ! দেখলাম কিছু আর্মীর লোক জম্বী গুলো ঠেলে একটা প্রিজন ভ্যানে তুলল ! আমাদের আরো একটু থাকা ইচ্ছা ছিল ! কিন্তু প্রোফেসর আমাদের নিয়ে এলেন বাইকের কাছে ! বাইক নিয়েই রওনা দিলাম ! তাতার মুখটা তখনও এই টুকু হয়ে আছে !

একসপ্তাহ পরে ! বিকেল বেলা ! আমরা সবাই স্পেস গার্ডেনের ছাদের ! বাইরে প্রচন্ড গরম থাকলেও এখাকার তাপমাত্রা একেবারে স্বাভাবিক ! নাসিরউল্লাহ তার বিখ্যাত পাকুড়া বানিয়ে আমাদের সামনে রেখে গেছে ! এই কয়দিন সাহস করে এদিকে আসিই নাই ! । কি জানি প্রোফেসর আবার কি বকা দেয় !
আজকে প্রোফেসর নিজেই যখন আসতে বলল তখন আর সময় নষ্ট না করেই চলে এসেছি !
সেদিনের কথাই হচ্ছিল !
হঠাৎ ফারহান বলল
-আমি দৌড়াচ্ছিলাম আমাদের রাখা বাইকের দিকে কিন্তু দেখলাম তানিয়া আর শান্তা বা দিকে দৌড়াচ্ছে ! কয়েকবার ডাক দিলাম কিন্তু শুনলো না !
তাতা বলল
-আসলে ঐ গুলো আসতে দেখে এমন ভয় পেয়ে গেছিলাম যে কোন দিকে যাচ্ছি হুস ছিল না !
-হুম !
-তবে শান্ত না থাকলে আজকে তো গেছিলাম !
প্রোফেসর চুপই ছিল ! আমি প্রোফেসর কে জিজ্ঞেস করলাম
-কিছু জানতে পারলেন নাকি ?
কিছুক্ষন চোখ বন্ধ করে রেখে প্রোফেসর বলল
-হুম ! অনেক কিছু !
-কি ?
-একটু টপ সিক্রেট ! দেশের নিরপত্তার বিষয় !
-আহা বলেন না একটু ! আমরা সবাই আবদার করে বসলাম !
-আচ্ছা শোন তাহলে ! আসলে ঐ জম্বীস গুলো আসল জাম্বী ছিল না ! কেবল কৃত্রিম ভাবে বানানো হয়েছিল ! একটা বিশেষ উদ্দেশ্যের জন্য !
-কি উদ্দেশ্য !
-তোমরা তো সবাই জানো একটা চুক্তি হতে যাচ্ছে আমাদের সাথে আমেরিকার ! আমাদের দেশর ভিতরেই অনেকে এরই চুক্তিটার বিরোধিতা করছে । যারা বিরোধীতা করছে তাদের কে সরিয়ে দেওয়ার জন্যই এই জম্বীকদের মাঠে নামানো !
-মানে কি ?
আমরা কিছুক্ষন কোন কথা বলতে পারলাম না !
প্রোফেসর আবার বলল
-প্রতিদিন রাতে জাম্বী গুলো ছেড়ে দেওয়া হত । এগুলো ছিল ওদের ট্রেনিং পিরিয়ড ! দেখছিল যে ওরা ঠিক ঠাক মত কাজ করে নাকি ! কয়েকদিনের ভিতরেই ওরা একশানে যেত !
-হুম ! এতো কিছু ! কেবল একটা চুক্তির জন্য !
-এখন ?
-ওদের কি কোন বিচার হবে না !
প্রোফেসর একটু বিমর্শ হয়ে গেলেন !
-নাহ ! কোন পরিমান নাই যে এগুলো ওরাই ছেড়েছে । লোক গুলো সব বাংলাদেশী ! আর দিনের বেলা ওরা একেবারে স্বাভাবিক হয়ে যায় ! অবশ্য লোক গুলো সব মানষিক ভাবে বিকার গ্রস্ত ! এই জন্য কোন একশান নেওয়া যাই নি ! অবশ্য একটা প্রতিশোধক তৈরি করেছি ! দেখা যাক কি হয় ! তবে ওদের কে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে আর এম্বাসীর উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে !
তানিয়া তাবাসসুম বলল
-যাক ভাল ! আমি আর ওদের দেখতে চাই না ! ইয়াক !
আমি হাসতে হাসতে বললাম
-এখন ইয়াক ! তখন তো খুব দেখতে চেয়েছিলেন !
-আর জীবনেও দেখতে চাইবো না !
ফারহান বলল
-তা আর চাইবেন কেন ? যদি আপনার রান চিবিয়ে খেতে আসে তখন কি ভাল লাগবে !!

আমি আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলাম এরই ভিতর নসিরউল্লাহ আরও এক বাটি পাকুড়া নিয়া হাজির হল !
আমরা কথা বাদ দিয়ে পাকুড়ার উপরে ঝাপিয়ে পড়লাম !




আমার কথাঃ
প্রোফেসর আশরাফি !! এই চরিত্রটা ইমন ভাইয়ের একটা অনবদ্য সৃষ্টি ! প্রোফেসর আশরাফির নাম আসলেই সেখানে ইমন জুবায়ের নাম আসবে ! মানুষ তাকে মনে করবে ! এই জন্য আমার আজকের এই লেখা !
দয়া করে ইমন ভাইয়ের লেখার সাথে এই টাকে তুলনা করবেন না কারন তার মত করে লেখা সম্ভব না কিছুতেই ! সেই ক্ষমতা আমার নাই !
আমি কেবল এইটা লেখার চেষ্টা করেছি, এই কথা মনে করে যে এই লেখাটা পড়বে একবার হলেও তার মনে হবে যে আমাদের ব্লগে ইমন জুবায়ের নামে একজন গুনি মানুষ ছিল ! ছিল বলছি কেন আছে ! থাকবে !!
সময়ের সাথে সাথে হয়তো ইমন ভাইকে সবাই ভুলে যাবে ! ভুলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক ! আগে যারা প্রতিদিন একবার করে হলেও ইমন ভাইয়ের ব্লগে যেতেন এখন কি যান ? জানি না যান কিনা ? যতই দিন যাবে ততই যাওয়াই কমে যাবে ! কিন্তু আমি যতদিন আছি ততদিন তো ভুলে যেতে দিবো না । অন্তত যারা আমার লেখা পড়ে তারা তো জানবে !


প্রোফেসর আশরাফি সিরিজের আমার লেখা আর একটি গল্প

সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৬
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×