somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন জাফর ইকবালঃ একটি অপপ্রচার

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


জাফর ইকবালঃ তিনি একজন সাদামাটা মানুষ, খুব প্রাণোচ্ছল এবং ব্যাক্তি জীবনে সুখী একজন মানুষ

-১-
ছোটবেলায় আমাদের বুয়েটের শিক্ষক পাড়ায় আমার বন্ধু বলতে ছিল অদিত। সময়টা সম্ভবত ৯২-৯৩ এর দিকে। অদিতের বাবা ডঃ কায়কোবাদ চাচা'র এক বন্ধু আমেরিকা থেকে গোটা পরিবার নিয়ে চলে এসেছেন দেশে পড়াবেন বলে। চশমা পড়া সেই লোকটাকে আমিও মনে মনে খুব পছন্দ করতাম তার লেখার ধরন-ধারনের কারনে। স্যাটায়ার ম্যাগাজিন উন্মাদে তার ছোটভাই আকাআকি করতেন, সে সুবাদে তিনিও সেখানে লেখা দিতেন মাঝেসাঝে। লেখার একটা চরিত্র'র নাম ছিল "বৈজ্ঞানিক সফদার আলি'র মহা মহা আবিষ্কার"। নিন্দুকেরা বলে থাকে আমার লেখা সগির আলী নাকি সফদার আলীর অনুপ্রেরণায় এসেছে। হতে পারে।

সেই চশমা পড়া ব্যাক্তিটা সে সময়ে বুয়েটে না ঢুকে সিলেটের সদ্য জন্ম লাভ করা ভার্সিটিতে চলে গেলেন। সে সময়ের হাফ প্যান্ট পড়া আমি কিভাবে জানি জিন্স প্যান্ট পড়ে সেই একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। অবাক ব্যাপার হচ্ছে, আমি কোনদিন উনার সাথে যেচে কথা বলতে যাইনি-ঐ লোকটাকে প্রচণ্ড অপছন্দ করতো তারাও ওনাকে সামনে পেলে যেচে অটোগ্রাফ নিতো। মনের মাঝে অটোগ্রাফ যে অন্য জিনিষ সেটি আমি বিশ্বাস করতাম। হয়তো সে কারনেই কোনদিন যেচে গিয়ে কথা বলিনি। আমার বৈজ্ঞানিক কাজ এবং আন্দোলনের সুবাদে উনার সাথে আমার পরিচয়, সেই পরিচয় পর্বটা করিয়ে দেন উনারই সহধর্মিণী। ভাবতে পারিনি কোনদিন উনার সামনে আমি খুব সাদামাটা কথা বলতে থাকবো আর উনি বেশ মনযোগের সাথে আমার কথা শুনবেন। তিনি বরাবরই সব ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে তরুণদের কথা খুব মন দিয়ে শোনেন। সেখানে কোন ভণিতা নেই-অগ্রাহ্য করার ব্যাপার নেই। আছে শুধু চোখ দিয়ে আমাদের সাহস দেয়ার ব্যাপার। উনার লেখা এবং সেই চোখ দিয়ে দেয়া সাহসেই আমরা তরুণেরা উদ্দিপ্ত হই প্রতিনিয়ত।

-২-
সেদিন ভার্সিটি জীবনের এক সহপাঠী বলল, 'জাফর ইকবাল স্যারের মাইক্রবাস একবার ছাত্রলিগের ছেলেরা ভুল করে হরতালে ভেঙ্গেছে এবং স্যার-ম্যাডাম নাকি সেই দায় শিবিরের নামে দিয়েছে'। আমি তার কাছ থেকে এবিষয়ে কোন রেফারেন্স নেইনি, নেয়া উচিৎ ছিল। এমনতর অপপ্রচার কি উনার বিরুদ্ধে করলে আমাদের মান- সন্মান বাড়ে?

-৩-
আমার বাবা ৯২-৯৩ এর দিকে নাক সিটকে বলেছিল, উনি যদি এত বড় বিজ্ঞানিই হয়ে থাকেন তাহলে কেন বুয়েটে না ঢুকে অখ্যাত সিলেটের বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি জয়েন করতে যাচ্ছেন? এর উত্তর আজ শাবিপ্রবিতে উনি দিয়েছেন উনার মেধা-শ্রম দিয়ে। লেখক-শিক্ষক-বৈজ্ঞানিকের থেকেও উনার সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি একজন সাদামাটা মানুষ, খুব প্রাণোচ্ছল এবং ব্যাক্তি জীবনে সুখী একজন মানুষ। আমরা এমন অপপ্রচার কিংবা কারো সামর্থ নিয়ে কথা না বলে নিজেরা সুখী থাকি।

হে করুণাময়, জগতের সকল প্রাণীকে সুখী রাখো। আমিন

ছবিঘরে আমার এক বন্ধুর প্রশ্নঃ "Why did not he agree to become a witness for his father's death? I respect him so much, though curious to know this. Because the guilty person is War criminal Syedy?"
উত্তরঃ অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে সাঈদী মামলায় জাফর ইকবাল স্যার কিংবা হুমায়ূন আহমেদ আহমেদ স্যার সাক্ষ্য দেন নি কেন। তাই আজকে স্যারকে আমরা সরাসরি এই প্রশ্নটি করি এবং জাফর স্যার উত্তরে বলেন যে, আসল ঘটনা খুব সহজ। পুলিশ বাসায় এসে স্যারসহ উনার পরিবারের সবার কাছ থেকে ১৯৭১ সালে উনার বাবার হত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট সব ঘটনা জানতে চায়। যেহেতু উনার বাবা যেখানে শহীদ হন, উনারা ওই এলাকার লোকাল মানুষ না, সংশ্লিষ্ট সবাইকে চেনার সুযোগ ছিল না। তারপরেও উনাদের কাছে যা ডিটেইলস ছিল উনারা সব বলেছেন, পুলিশ সবকিছু লিখে নেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত আদালত মনে করেনি যে এই কেসের জন্য উনাদেরকে ডাকা যায়, এবং ডাকেনি। সবার মত স্যারের পরিবারও অপেক্ষা করে আছে আদালত সব সাক্ষ্য প্রমাণ থেকে উনার বাবার হত্যাকারীসহ সব যুদ্ধপরাধীদের বিচার করবে। ( I also asked personaly to my MSc Supervisor madam(Wife of Zafor Iqbal sir) recently why Zafar sir and his family did not went for witness. She said, they wanted to but police also assured them that they have many more evidences against Saidi and they cannot go directly unless Tribunal call them. However the written statement is already in the file from them to the Tribunal. So there should not be any confusion)
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×