ধর্ম আর অধর্ম বিষয়ে অনেক ব্যাপার ঘুলাটে হয়ে যাচ্ছে।এক সময় মনে হতো এই যে বাউন্ডারি তা হচ্ছে ধর্ম আর তার ঠিক বিপরীত টা অধর্ম। ধর্মের বিপরীত কি অধর্ম নাকি বিজ্ঞান মনস্কতা। জানা নেই।জানা নেই ধার্মিকেরা কি করে সকল ব্যাপারে ধর্মের চোখ দিয়ে ঈশ্বরের হাত দেখতে পান।গত কাল যে রিস্কাটা উল্টে গেল এখানেই আল্লাহর হাত আছে। আমি যে আজ সারাদিন কোন কাজ করি নি তা আল্লহর ইচ্ছাতেই হয়েছে, তিনি চাননি যে আমি আজ কোন কাজ করি। কেন না আজ আমার জ্বর ছিল, জ্বরটা কেন হল? কাল আমি বৃষ্টিতে ভিজেছি। র্বৃষ্টিতে কেন ভিজেছি? কারন আমার ছাতা ছিলনা বলে।
এবার ব্যাপারটা খোলসা করি। আমার ছাতা না থাকা ধর্মের কাছে যে সহজ ব্যাখ্যা আছে তা নাই বল্লাম। আমি বসেছি আর একটি ধর্মের দিকে আঙ্গুল ফেরাতে ।
মার্কসবাদ বলে মনে হয় একটি ধর্ম আছে?? তারা ঈশ্বর বিশ্বাস করেন না বটে কিন্তু মেনে চলেন।
এবার আসি জ্বরের ব্যাপারে আমার ছাতা নাই এটা অর্থনৈতিক ব্যাপার আর এর পেছনে আছে পুঁজিবাদী অর্থনিতি। গতকাল ইডেনে যে মেয়েটি খুন হল তা পুজিবাদের কুফল। আজ যে বৃষ্টি হল তা কি এরকম কিছু হতে পারে? হয়তো পারে নয়তো নয়।
এই রকম ব্যাপারে সকল সময়ে সকল ব্যাপারেই তারা পুজিবাদের অদৃশ্য হাত দেখতে পান।দেখতে পান সম্রাজ্যবাদের থাবা। আকাশের পানে তাকালে যে মঘে চাদের লুকোচুরি কি ব্যাখ্যা দেবেন?
আমার ছোট বুদ্ধিতে অনেক বার তাদের সাথে তর্ক হয়েছে। মানুষের মনোষত্ব বলে একটি কথা আছে যা বিকাশ লাভ করে শিক্ষার মাধ্যমে। সমাজের সকল ব্যাপারে রাজনীতিক ব্যাখ্যা আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়না।একটি সাম্যবাদি সমাজে যদি এক দুটি দুর্ঘটনা ঘটে তবে কি তা সাম্যবাদের কল্যানে হয়েছে বলে মনে করতে হবে? খুব অল্প হলেও অপরাধ করার জন্য অর্থতিক প্রভাবে পাশা পাশি আছে ভৌগলিক ও জিনগত কিছু ব্যাপার।
আমার নিজেরও সাম্যবাদের দিকে অঢের আস্থা আছে। আমি এখনো স্বপ্ন দেখি সাম্যবাদের। এক ডিক্টেটরহীন সাম্যবাদের।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



