কদমফুল আমার খুব পছন্দ। অনেক বেশি রকম ভালোলাগে কদম ফুল ।
একদিন সকালে লক্ষ্য করলাম টিউরওয়েল পাড়ে একটা ছোট কদম গাছ হয়েছে, এক ফুট হবে লম্বায় গাছটি।দেখে ভাবলাম গাছটি কে অন্য কোথাও রোপন করবো। গাছটিকে আপাতত ঐভাবেই রেখে কলেজে চলে গেলাম।বিকালে কলেজ থেকে ফিরে, আমার মামাতো ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে গাছটি টিউবওয়েল পাড় থেকে তুললাম। কিন্তু কোথায় পুন:রুপন করবো ভাবতে ভাবতে বাড়ির বাহিরে দুইজনে ঘুড়াঘুড়ি করলাম কিছুক্ষন। তখনই নজরে এলো পুকুর পাড়টি।দুটি পুকুর পাশাপাশি মাঝখানে একটি পাড়। অনেক ঘাস আর ছোট ছোট গাছে ভরা পাড়টি। ছোটবেলায় পড়েছিলাম গাছের শেকড় মাটিকে ধরে রাখে, পাড় ভাঙ্গা রোধ করে। সেটা মাথায় রেখেই পুকুর পাড়ের একবারে মাঝ বরাবর গাছটি রোপন করলাম। আশেপাশের আগাছা পরিষ্কার করলাম দুইজন মিলে। গাছ বড় হতে লাগলো। সকালে একবার পানি দিতাম গাছে, কলেজ থেকে ফিরে আবার দিতাম।গাছের পাশে অনেকক্ষন বসে থাকতাম, দেখতাম কোন পাতা আবার পোকা খেয়ে ফেলছে নাতো!কদম গাছের পাতা খুব সুন্দর, বড় বড়।
গাছটা তারাতারিই বেড়ে উঠেছিল।গাছটি আমার থেকে অনেক উচু হয়ে গিয়েছিল। এর মাঝেই কলেজ শেষ করে অনার্সের কোচিং করতে ঢাকায় চলে এলাম। ঢাকায় আসার পর প্রথম বর্ষাতেই নাকি গাছে ফুল ধরেছিল।কি আফসোস যে লেগেছিল! দেখতে পারলাম নাহ। পরীক্ষা ছিল ঐসময় ।
এখন আর গাছটি নেই। কেউ একজন কেটে চুলার জ্বালানী বানিয়েছিল আমার কদম গাছ দিয়ে। অনেক অনেক কষ্ট লেগেছে। ঐ কদম গাছের ২টা বেবী গাছ আছে এখনো। কি্ন্তু আমার নিজের হাতে লাগানো গাছের ফুল দেখতে পারলাম নাহ!
রাস্তায় কদম ফুল দেখলে মন টা কেমন যেনো করে!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




