somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হেনস্থা :: তানবীরা তালুকদার

১৪ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হেনস্থা

একদা সান্ধ্যকালে আমার আজাইরা গফসফে বিরক্ত হইয়া হিমু আমাকে কহিল, গালগল্প বাদ দিয়ে একটা লেখা লেখেন। আমি তখন হিমুকে তীব্র বেদনার সহিত জানাইলাম, হিমু, আমিতো রচনা লিখিতে চাই কিন্তু কি নিয়া রচনা লিখিব তাহা খুজিয়া পাইতেছিনা। হিমু ততোধিক বিরক্ত হইয়া কহিল, নৃত্যশিল্পী হিসেবে আপনার জীবনের মর্মান্তিক অভিজ্ঞতাগুলো লিখিয়া ফেলুন। কিভাবে পচা ডিম খাইয়া খাইয়া আপনি ডিমের স্যালাদ বানাইতে শিখিলেন সেইটা লিখিয়া ফেলেন। প্রথমে আমি বালক ভাবিয়া তাহার কথা আমলে নেই নাই। কিন্তু আজ প্রত্যুষে অফিসে বসিয়া পত্রিকা পাঠ করিতে করিতে, আমার মনে গভীর ভাবের উদয় হইল। ভাবিলাম বেশীর ভাগ বাঙ্গালীই বিখ্যাত হয়েছেন মরনের পরে। তো সে সময়তো আমার এখনও ফুরাইয়া যায় নাই। মরনের রিস্ক আমাকে নিতেই হবে, অন্য সকল মানব এর মতো। তখন দেখা যাইবে আমার নৃত্যদৃশ্যের ভিডিও ক্লিপ হয়তো ইউনিভার্সেল ষ্টুডিওতে রাখা আছে, আমার লেখাগুলো রবীন্দ্রনাথের অপ্রকাশিত চিঠির বইয়ের পাশেই গাদা গাদা করিয়া বিক্রিত হইয়া চলিতেছে। একবার কিছু মনে হইলে তাহা আমার মাথায় প্যারেকের মতো গাথিয়া যায়, কিছুতেই মাথা ঝাকাইয়া সেই প্যারেক আমি নাড়াইতে পারি না। জীবনে যদি তাহারে মালা নাহি দিতে পারো টাইপের আবেগে আমি কম্পিত হইয়া ঠিক করিয়া ফেলিলাম লিখিয়াই ফেলাইবো আমার মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা সমূহ। আমি তাহার সাথে আরো একটি ব্যাপার লক্ষ্য করিলাম যে বিশেষ বিশেষ ভাব আমার শুধু শুক্কুরবারেই উৎপন্ন হয়, এর কারন দুইটা হইতে পারে, শুক্কুরবারে অফিস ঠান্ডা থাকে বিধায় ভাব উদয় হওয়ার সুযোগ হয়, দ্বিতীয়তঃ হইতে পারে, পরের দুই দিন বেলা করিয়া ঘুম থেকে উঠিতে পারিব সেই আনন্দ আমাকে বিভোর করিয়া রাখে, যাহা হয়তো ভাব উৎপাদকের প্রভাবক হিসেবে কাজ করিয়া থাকে।

তো যখন আমি আমার অতীব দুঃখের সেই ইতিহাস রচনা করিতে লাগিলাম, কিভাবে পচা ডিম হইতে ডিমের স্যালাদ, সেই স্যালাদ দিয়া স্যান্ডউইচ বানাইতে শিখিলাম ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার দুই নয়ন অশ্রুজলে ভাসিয়া যাইতে লাগিল সেই সাথে ভাসিতে থাকিল আমার কাগজ - কলম সব। লিখিতে লিখিতে তখন মনে হইল কি হইবে আমার দুঃখের কথা লিখিয়া সমস্ত পাঠককে গড়াগড়ি দিয়া কাদাইয়া? কেউ আমার প্রতিভার দাম দিলো না সেই কষ্ট আমার বুকেই থাকুক। সকলের সম্মিলিত কাদাকাটিতে কাজের কাজতো কিছুই হইবে না, মাঝখান থাকিয়া বসুন্ধরা টিস্যুর অপ্রত্যাশিত ব্যবসা অন্যসকল সমস্যার উদয় করিবে। মার্কেটিং এর লোকজনকে অযথায় ঘুরিতে হইবে মার্কেট সার্ভে করিয়া উহার কারন বাহির করিবার জন্য। নতুন বিজনেস টার্গেট স্থির করিতে হইবে উহার পর আবার কেউ টিস্যু না কিনিলে টার্গেট ফেল হইলে উনাদের চাকুরী নিয়া টানাটানি লাগিবে। এছাড়াও শ্রমিকগনকে হয়তো ওভারটাইম খাটিতে হইতে পারে যাহাতে হঠাৎ করিয়া স্ত্রীর মনে সন্দেহ দানা বাধিতে পারে, স্বামী কিসের বাহানায় এতো রাত্রি করিয়া বাড়ি ফিরিতেছে? দাম্পত্য কলহ কখনও কখনো কঠিন আকার ধারন করিতে পারে, বধূ রাগ করিয়া পিত্রালয়ে আশ্রয় গ্রহন করিতে পারে।

অতোশতো ভাবিয়া ঠিক করিলাম মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা বাদ দিয়া বরং নৃত্যশিল্পী জীবনের হেনস্থা গুলিই লিখিয়া ফেলি। কাছাকাছিইতো ব্যাপারটি। যাহা ভাবিলাম তাহাই করিলাম। আমাদের ধর্মপ্রান প্রবাসী বাংলাদেশীরা বিভিন্ন কারনেই তাহাদের বাড়িতে ঘন ঘন মিলাদ মাহফিলের দাওয়াতের আয়োজন করিয়া থাকেন। ছেলে - মেয়ের জন্মদিন, নিজেদের বিবাহ বার্ষিকী, ছেলে -মেয়ের পরীক্ষায় ভালো ফলাফল, ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া ইত্যাদি উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করিয়া এগুলি আবর্তিত হইয়া থাকে। বাংলাদেশ থেকে সব হারাইয়া বিদেশে আসিয়া ধর্মটাকে তাহার অতীব কষিয়া আকড়াইয়া ধরেন, কিছুতেই যেনো ছুটিয়া যাইতে না পারে। হারাম - হালাল, শুয়োরের চর্বি, পশ্চিম দিক - পূর্ব দিক এইসব নিয়া মহা ব্যস্ততার মধ্যে তাহারা কালাতিপাত করেন। বাংলাদেশের বেশীরভাগ লোকজন ব্যবসা করেন কিংবা রেস্টুরেন্টে কাজ করেন বিধায় দাওয়াত গুলো সাধারনতঃ রবিবার দুপুরে হইয়া থাকে। আমি মিলাদ মাহফিলের দাওয়াত তেমন একটা পছন্দ করি না। সারাক্ষন সবার সামনে একখানা ভালো মানুষী মুখোভাব ধরিয়া রাখিতে হয়, এই দুনিয়া কয়দিনের, হইয়া যাইবে ফানা টাইপ। কিন্তু আসলে এতো ভালো মানুষতো আমি আর না। আর আমার নিকট দুনিয়া খুবই ইন্টারেষ্টিং একটা জায়গা, তাহা যে কয়দিনেরই হোউক না কেনো। পরেরটা পরে দেখিবো। আমার রবিবারের মধ্যানহ ভোজের নিমন্ত্রন তেমন একটা পছন্দের তালিকায় পড়ে না। লক্ষী, অন্নপূর্নারা যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠিয়া তাহাদের তিন সন্তানকে আপাদমস্তক সাজাইয়া লইয়া বেলা বারো ঘটিকার মধ্যে নিমন্ত্রন বাটিতে উপস্থিত হইতে পারেন, আমি তাহা মোটেও পারি না। আমি শনিবারে রাতে ছায়াছবি দেখিয়া কিংবা কোথাও বলো তা - রা - রা মার্কা পার্টি করিয়া কিংবা কাহারো সাথে অন্তর্জালে আলাপ - সালাপ করিয়া রাত্রি তিন ঘটিকায় শুইতে যাই। ফলে পরদিন বেলা দশটার আগে আমার তথা আমার বাড়ির কারোই নিদ্রাভংগ হয় না। এরপর উঠিয়া গড়াইয়া প্রাতঃরাশ সারিয়া আমার মেয়েকে কোন রকমে একটু - আধটু ঠিক ঠাক করিয়া লইয়া নিমন্ত্রন বাড়ি যাইতে যাইতে বেলা দ্বিপ্রহর গড়াইয়া যায়। আগে যদিও অন্যান্য ভাবী স্থানীয়রা নিজেদের পরম দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য ভাবিয়া, আমাকে সৎ পথে আনার জন্য এই সমস্ত লইয়া আমাকে বহু টিটকারী করিয়াছেন, এক কন্যায় এই অবস্থা আরো দুই চারিটি হইলে কি অবস্থা আমার হইবে তাহার বিশদ রম্য আলোচনা করিয়া ইদানীং তাহারা ক্ষান্ত হইয়াছেন। কারন কাজের কাজ কিছুই হয় নাই, মাঝ থাকিয়া আমি দুইটার বদলে আড়াইটায় পৌছানো শুরু করিয়াছি।

আমি যখন পৌছাই তখন সাধারনতঃ মিলাদ শেষ হইয়া হুজুর মোনাজাতে পৌছান। আমি ঢুকিয়া সবার সাথে কুশল আদান - প্রদান করা পর্যন্ত মোনাজাত, যাহার বাড়িতে দাওয়াত কিংবা যাহা উপলক্ষ্য বা যাহাকে উপলক্ষ্য করিয়া মিলাদ তাহার শান্তি কামনার মধ্যেই থাকে। আমি এক ধারে আসন গ্রহন করিবার কিছুক্ষন পর হইতেই মোনাজাতের / নার্গিসের মোড় ঘুরিতে থাকে। তখন উহা অযাচিত অপ্রাসংগিকভাবে নাচ - গান, বিভিন্ন বেদাতী কাজের উপর পড়িয়া যায়। হুজুর আখিরাতে তাহাদের কিরকম ভয়ানক শাস্তি হইবে উহার বিস্তারিত বিবরন দিয়া চিৎকার করিয়া কাদিতে থাকেন। হাশরের মাঠে তাহাদেরকে (আমাকে) কিভাবে কতো ডিগ্রী তাপমাত্রায় বারবিকিউ করা হইবে তাহার রোমহর্ষক বর্ননা থাকে। আশে পাশের সবাই সেই বর্ননা শুনিয়া আর কল্পনায় আমার গ্রীল্ড অবস্থা দেখিয়া শিহরিয়া শিহরিয়া উঠিতে থাকেন। আর আল্লাহর কাছে আমাদের মতো পাপী তাপীর জন্য ক্ষমা ভিক্ষা করিয়া ডুকরাইয়া ডুকরাইয়া কাদিয়া উঠেন। আমি এক পাশে নির্লিপ্ত মুখ করিয়া বসিয়া দুই হাত মোনাজাতের ভঙ্গীতে উপড়ে তুলিয়া রাখি, চোখে মুখে এমন একটা ভাব ধরিয়া রাখার চেষ্টা করি, এই পাপী আমি না আর রান্নাঘর থেকে আসা সমস্ত সুখাদ্যের ঘ্রান নিতে থাকি। আর ভাবি কখন এই নিদারুন বোরিং মোনাজাত শেষ হইবে আর আমরা ভালো মন্দ কয়টা খাইতে পারিব অন্তত আমার যে উদ্দেশ্য এখানে আসা তাহা পূরন হইবে। যদিও এর মধ্যে হুজুর আমাকে আশা প্রদান করিয়া বারংবার বলিতে থাকেন, আল্লাহ মহান, তিনি মাফ করনেওয়ালা, ভুল স্বীকার করিয়া, তওবা করিয়া, বোরখায় ঢুকিয়া গেলে পরকালে একটা হিল্লা হইলেও হইতে পারে।

এহেন নিদারুন আমার আবার মাঝে মাঝে বিভিন্ন জায়গায় নৃত্য পরিবেশন করার দাওয়াত আসে। এইখানে বসবাস করা বাংগালীদের ছেলে মেয়েরা স্কুল আর মসজিদের বাইরে গানের ক্লাশে কেউ কেউ গেলেও, নাচের ক্লাশের সহিত মোটামুটি তেমন কারোই সংযোগ নাই। তো এইবার পহেলা বৈশাখ উদযাপন কমিটি সবে ধন নীলমনি আমাকে বেলজিয়ামে নৃত্য পরিবেশন করিতে আবার আমন্ত্রন জানাইলো। আমাকে “ফরেনার ক্যাটাগরী’তে ক্যাটাগরাইজ করা হইলো । হাজার হোক নেদারল্যান্ডসের লোক ব্যাকারনগতভাবে ও রাজনৈতিকভাবে বেলজিয়ামে ফরেনারতো বটেই। আমি পৌছানোর পর আয়োজক বাহিনীর একজন আমাকে অত্যন্ত গর্বের সহিত বাংলাদেশ হইতে আসা ফরেন (বাংলাদেশী ) আর্টিস্টদের কাছে লইয়া গেলেন। লুক্কায়িত মণোভাবটা এমন কাদের কাদের এনেছি দেখো। একজন খুব বিখ্যাত !!! কারো কাছে লইয়া গিয়া খুবই গর্ব ভরিয়া আমাকে পরিচয় করাইয়া দিইয়া তারপর আমাকে কহিলেন, উনাকেতো নিশ্চয় চিনেন। আমি অত্যন্ত লজ্জায় মরমে মরিয়া গিয়া বলিলাম, জ্বী না। আয়োজক সাহবে অবাক হইয়া আকাশ হইতে ভূমিতে পতন করিয়া বলিলেন, কেনো? টিভি দেখেন না? আমি আরো কুন্ঠিতভাবে বলিলাম, আমার বাংলা টিভি নাই। তিনি হুঙ্কার দিয়া উঠিলেন, কেনো নাই? আমি মিনমিনে গলায় বলিলাম, আমরা দিন আনি, দিন খাই, মজদুর মানুষ। আমাদের টিভি দেখিবারতো সময় নাই। উনি আমার মূর্খামিতে চরম বিরক্ত হইয়া রাগান্বিত ভঙ্গীতে চলিয়া গেলেন। আমি অন্য বিখ্যাত লোকদের সাথে আরাম করিয়া বসিয়া মাগনায় পিয়াজু, চা, সিঙ্গারা খাইতে ছিলাম। আমাকে একা পাইয়া তখন বাংলাদেশ থেকে আগত একজন বিখ্যাত শিল্পী মাগনার নসিহত দিলেন। এইযে দেশ, সংস্ক্রতি ভুলিয়া পয়সার পিছনে ছুটছি, কয়েকদিন পর টের পাইবো মজা। সন্তান যখন পুরো বেলজিয়ান (আমার বেলায় ডাচ হইতো উনি উত্তেজনায় খেয়াল করেন নাই) কিংবা বিদেশী হইয়া যাইবে। আখিরাতের কথাতো ভাবি না। ঝারি খাইয়া ভাবছিলাম কহিব নাকি, ওরে অবার্চীন দেশী বানানোর এক মাত্র উপায় কি শুধু দেশী টিভি দেখা? তাহাই যদি হয় তাহলে আমার কন্যা ডাচ বা বন মানুষ হইয়া যাক। বাংলা টিভি দেখিয়া আমার সন্তান কি মানুষ হইবে তাহা আর ব্যাখা করিয়া বলার অপেক্ষা রাখে না। যা আমার অনুষ্ঠানের ছিরি। সঠিক উচ্চারনে বাংলা কহিতে পারে এমন কয় জন আসে টিভিতে? তাহারা আবার নিজেদেরকে মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে দাবী করে। কিন্তু সাহস করিয়া কহিতে পারিলাম না কিছুই, মনে মনেই কহিলাম। কে জানে আবার না উঠাইয়া দেয় ।

এরপর দেখিলাম বিখ্যাত লোকদের ঘিরিয়া ছবি তোলার হিড়িক লাগিয়া গেলো। যাহাদের অনুদানে এই অনুষ্ঠান হইতেছে তাহাদের স্ত্রী - সন্তানরা সাজঘরে আসিয়া নামী দামী শিল্পীদের সাথে ছবি তুলিতে লাগিলেন। নামী দামী শিল্পীরাও আরো ফরেন ট্যুরে আসিবার লোভে তাহাদের এক্সক্লুসিভ শাড়ির মায়া ভুলিয়া, বাচ্চাদের কোলে বসাইয়া, ভাবীদের কাধে জড়াইয়া ধরিয়া ছবি উঠাইতে লাগিল। ট্যুর থাকিলে শাড়ীও থাকিবে ইহা পাগলেও বুঝে। ইহা দেখিয়া আমিও উত্তেজিত হইয়া কাহাকে দিয়া আমার স্বামীকে ডাকাইয়া আনাইলাম। তিনি তখন বাইরে দাড়াইয়া অন্যদের সাথে বিড়ি ফুকিয়া ফুকিয়া জম্পেশ আড্ডা দিচ্ছিলেন। এই কারনে ডাকাইতে তিনি যারপর নাই বিরক্ত হইয়া, অন্যদের নজর বাচাইয়া কঠিন একখানা লুক দিলেন আমাকে। তারপর কিড় কিড় করিয়া কহিলেন, যাহাতে আমি ব্যাতীত অন্য কেউ শুনিতে না পায়, এই সমস্ত ছবি দিয়া কি হইবে? আমিও আবদার করিয়া কহিলাম, কি হইবে আর কি হইবে না তাহা আমি জানি না। সব্বাই তুলিতেছে, আমরাও তুলিব। টিভি না থাকার ভুলতো হইয়াই গেছে, ছবি না থাকার ভুল করতে আমি আর রাজী না। ছবি তোলা ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার পর যথারীতিতে যথাগতিতে অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন হইয়া গেলো।

পুনশ্চঃ জনতার মুখে খবর পাইলাম আমার বাসায় বাংলা টিভির কানেকশন নাই এই খবর পাইয়া, বাংলা টিভি, এটিএন, চ্যানেল আই ইত্যাদি যাহারা এই অনুষ্ঠান কভার করিয়া ছিল তাহারা বৈশাখী রিপোটিং এ আমার একখানা নৃত্যের ক্ষুদ্রাংশ প্রতিশোধ স্বরূপ বারং বার প্রচার করিয়াছেন। যাহারা আমার নৃত্যাংশ দেখিয়াছেন তাহারা বিমলানন্দে আমাকে দূরালাপনীতে এই খবর জানাইলেন। ভাবখানা এই রকম, হাশরের মাঠে আমার রোষ্ট হওয়াটা এইবার একদম রিকনফার্ম। আমার খুবই জিজ্ঞেস করিতে ইচ্ছে করে তাহাদেরকে, যাহারা দেখিয়াছেন, হাশরের মাঠে তাহাদের জন্য কি বিধান থাকিবে? রবি ঠাকুরের মতে অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে .........। যদিও মালাউনের কবিতা নিয়া তাহারা ব্যস্ত না। তদুপরি কথাতো একটা থাকিয়াই যায়, যাহারা সারাদিন টিভির সামনে বসিয়া নানা রকম অনুষ্ঠানাদি উপভোগ করেন আর আজান দিলে কোনরকমে যাইয়া নামাজ সারিয়া আসেন কারন মনোযোগ দিয়া নামাজ, ইবাদত সারিতে গেলে ওইদিকে আবার সিরিয়াল চলিয়া যাইবে, তাহাদের জন্য কি বিধান আছে? প্রায়ই দেখা যায়, নামাজ আদায়ের পাচ মিনিট সময়ের মধ্যেই অনেকেই ছেলে - মেয়েকে চোখ রাঙ্গাইয়া শাসন কিংবা তরকারী গরম করার মতো কথাগুলো বলিয়া ফেলেন। তাহাদের বিধান কি ???


তানবীরা তালুকদার
২৩.০৫.০৮
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×