somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আওয়ামী লীগের ভারতীয় দালালি: মোদীর বন্দনা করে দেশদ্রোহিতার চূড়ান্ত নজির

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫—এই দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। এদিন মার্কিন সরকার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ওয়াশিংটন ডিসিতে আমন্ত্রণ জানায়, যেখানে আওয়ামী লীগের নেতারা মোদীর বন্দনায় আত্মহারা হয়ে উঠেছিল। ওয়াশিংটন ডিসির রাজপথে আওয়ামী লীগের নেতারা “মোদীজি, মোদীজি” বলে চিৎকার করছিল, যা তাদের প্রকৃত পরিচয় দেশবাসীর সামনে সম্পূর্ণ উন্মোচিত করে দিয়েছে



এটাই প্রমাণ করে যে, আওয়ামী লীগ আর বাংলাদেশি কোনো রাজনৈতিক দল নয়—তারা ভারতীয় স্বার্থ রক্ষাকারী একটি দালাল গোষ্ঠী, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকারকে তুচ্ছজ্ঞান করে শুধুমাত্র দিল্লির মন রক্ষা করতে চায়।

মোদী বন্দনার অর্থ কী?

আমরা যদি গভীরভাবে চিন্তা করি, তাহলে দেখতে পাবো যে, আওয়ামী লীগের মোদী বন্দনা নিছক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ নয়—এটি তাদের ভারতীয় মনিবদের প্রতি গোলামির প্রকাশ।

১. ভোট চুরির বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা
• আওয়ামী লীগ জানে, বাংলাদেশের জনগণ তাদের চায় না। তাই তারা ভারতের সহায়তায় একের পর এক প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে আছে।
• ৭ জানুয়ারি ২০২৪-এর ভুয়া নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার সরকার আন্তর্জাতিক বৈধতা পাচ্ছে না। তাই মোদীর মাধ্যমে আমেরিকার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়।

2. ভারতের নীতি বাস্তবায়নে সহযোগিতা
• বাংলাদেশকে পরাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করার ভারতীয় নীলনকশার প্রধান কারিগর শেখ হাসিনা।
• ট্রানজিট, বন্দর, পানি চুক্তি—সবকিছুতেই ভারত সুবিধা নিচ্ছে, আর বাংলাদেশ তার অধিকার হারাচ্ছে।
• বাংলাদেশ আজ ভারতীয় নিরাপত্তা নীতির পরীক্ষাগার হয়ে গেছে, যেখানে আওয়ামী লীগ কেবলমাত্র তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
3. বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের ষড়যন্ত্র আড়াল করা
• ভারত দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে আসছে।
• ২০২৪ সালের নির্বাচনসহ একাধিক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মূল কারিগর দিল্লির লবিস্টরা, যারা শেখ হাসিনাকে সামনে রেখে বাংলাদেশকে ভারতের প্রদেশ বানানোর চেষ্টা করছে।
• ভারতের গুপ্তচর সংস্থা RAW (Research and Analysis Wing) আওয়ামী লীগের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভেতরেই তাদের আধিপত্য বিস্তার করেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীরব বার্তা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে আমন্ত্রণ জানালেও, তাদের বক্তব্যের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট বার্তা ছিল—তারা বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে অবগত এবং ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের হস্তক্ষেপ ভালো চোখে দেখছে না।

ট্রাম্পের বক্তব্য:

“আমি ১০০ বছর ধরে জানি, ভারত সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। আমি মোদী সরকারের উপর সব ছেড়ে দিলাম।”

এর ব্যাখ্যা খুব স্পষ্ট—আমেরিকা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এবং তারা দেখছে, ভারত কীভাবে বাংলাদেশকে তাদের প্রভাব বলয়ে রাখার চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশের জনগণের জন্য করণীয়

১. আওয়ামী লীগের ভারতীয় দালালি ফাঁস করতে হবে
• প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের দায়িত্ব হলো আওয়ামী লীগের ভারতীয় দালালিত্বের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।
• সোশ্যাল মিডিয়ায় আওয়ামী লীগের এই বিশ্বাসঘাতকতাকে তুলে ধরতে হবে, যাতে সাধারণ জনগণ বুঝতে পারে তারা আসলে কত বড় দেশদ্রোহী।

2. আন্তর্জাতিক মহলে আওয়ামী লীগের আসল চেহারা তুলে ধরা
• বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ও গণমাধ্যমের সামনে আওয়ামী লীগের ভারতনির্ভরতা ও দালালগিরি প্রকাশ করতে হবে।
• তাদের প্রমাণ করতে হবে, আওয়ামী লীগ এখন একটি রাজনৈতিক দল নয়—তারা ভারতের প্রভাবিত একটি পেটোয়া সংগঠন।
3. রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার দাবি তুলতে হবে
• যারা ওয়াশিংটনে গিয়ে “মোদীজি, মোদীজি” বলে চিৎকার করেছে, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে হবে।
• আওয়ামী লীগের নেতারা যেভাবে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবী।

শেষ কথা: বাংলাদেশকে বাঁচাতে হবে

আজ সময় এসেছে দেশপ্রেমিক জনগণের জাগ্রত হওয়ার। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। তারা দেশের সার্বভৌমত্ব ভারতকে বিকিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ কোনোদিন ভারতের করদ রাজ্য ছিল না, হবেও না।

এখনো সময় আছে—আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করুন, তাদের ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করুন এবং বাংলাদেশকে রক্ষা করুন। এ লড়াই সার্বভৌমত্ব রক্ষার, এ লড়াই দেশপ্রেমিকদের বাঁচার লড়াই!
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:৫২
১৩টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার একটা ব্যক্তিগত সমুদ্র থাকলে ভালো হতো

লিখেছেন সামিয়া, ২১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:২৭


আমি এসে বসছি
নরম বালুর উপর,
সামনে বিশাল সমুদ্র,
ঢেউগুলা আমারে কিছু একটা বলতে চাইতেছে,
কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না।

আমার মাথার উপর বিশাল আকাশ,
আকাশের নিচে শুধু পানি আর পানি,
আমি একলা,
আমার সামনে সমুদ্রের একলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নভোচারীদের বহনকারী ক্যাপসুল

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৫০





ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামসকে নিয়ে নাসা ও স্পেসএক্স-এর স্পেসক্রাফ্ট ড্রাগন ক্যাপসুল পৃথিবীতে পৌঁছে গেছে। ক্যাপসুলের রং পুরোপুরি বদলে গেছে-এটি একেবারে কালো হয়ে গেছে।

এই ক্যাপসুলের অবস্থা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি)

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৪৭



জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি)। রাজনীতি করা ভালো। বোকা, সহজ সরল লোকদের রাজনীতি করা ঠিক না।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্তের এই মাতাল সমীরণে... সাজাই এ ঘর ফুলে ফুলে ...

লিখেছেন শায়মা, ২১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৫৮


ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল লাগলো যে দোল
স্থলে জলে বনতলে লাগল যে দোল দ্বার খোল, দ্বার খোল....
বসন্তের আগমনে প্রকৃতিতে লাগে দোল। সাথে সাথে দোলা লাগে বুঝি আমাদের অন্তরেও।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজড ! নতুন করে ওপেন করার সুযোগ নেই......

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:৪৫


..বলে মনে করেন জামায়াতের আমীর শফিকুর রহমান। বাংলাদেশের রাজনীতি আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। প্রধান উপদেষ্টা সাম্প্রতিক সময়ে একটি স্বনামধন্য থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রধানের সাথে বৈঠকের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×