somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ স্ট্যাটাস

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সরু খালের পাড় দু’টা এক রুগ্ন চিকন বাঁশ দিয়ে জোঁড়া লাগানো। গ্রামের এ বাড়ী, ঐ বাড়ীতে বড় বড় বাঁশের ঝাড় থাকলেও সরু এই খালটির জন্য কেন শুধু রুগ্ন এই বাঁশটি ব্যবহার করা হয়েছে তা কারোরই জানা নেই। হয়তো বা সরু খালটির প্রতি সবার অবজ্ঞা অথবা গ্রামের যৌথ কাজের একটু খেসারত। একটু আগেই চিকনাপুর গ্রামের উপর দিয়ে মুষলধারে একপশলা বৃষ্টি বয়ে গেছে। তাই রুগ্ন বাঁশের সাঁকোর অবস্থা অনেকটা পাটিগনিতের তৈলাক্ত বাঁশের আকার ধারণ করেছে। তবে তৈলাক্ত বাঁশের উপরের দিকে উঠতে বানরটির যতটুকু না ঘাম ঝরাতে হয়, তার চেয়ে বেশি কষ্ট করতে হচ্ছে মজিদ মিয়ার। নিচের পিচ্ছিল বাঁশের সাথে যুদ্ধে পরাজিত হয়েই গাছের পাকা আমের মত ঠুস করে খালের মধ্যে পড়ে যায় সে।

আকাশ ভাঙ্গা হাসির শব্দ শুনে খালের নিচ থেকে কাদা মাখা চোখে উপরের দিকে মজিদ মিয়া অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখে মালিহা খিলখিলিয়ে দেহ দুলিয়ে হাসছে। মালিহার এমন বিদ্রোপ মাখা হাসি দেখে মজিদের মনে হলো এ বুঝি যাত্রা পালার কোন অপ্সরা তার অভিনয়ের তালিম নিচ্ছে।
খালের পাড়ে এসে মালিহা মজিদের দিকে একটি হাত এগিয়ে দিয়ে বলল, অনেক তো কাদা খেলেছ, এবার উঠো।
- হাত বাড়াতে হবে না, আমি একাই উঠতে পারবো।
মজিদের এমন কর্কশ সুর শুনে হাত সরিয়ে নেয় মালিহা। একটু যেন অপমানিত বোধ করলো সে। একটু যেন পরাজিত। একটু যেন লজ্জিত।

সারা গায়ে কাদা নিয়ে পাড়ে উঠল মজিদ মিয়া। কদিন হলো দুবাই থেকে গ্রামে ফিরল সে। হাতে গোল্ডেন কালারের ঘড়ি, পায়ে চামড়ার জুতা, সাদা শার্ট এবং চকচকে নীলাভ লুঙ্গি। অপ্রত্যাশিত এ ঘটনায় মজিদ মিয়ার মনের মাঝে এক ধরনের লাজুকতা ভর করেছে। খালের দু’পাড় থেকে কয়েক জোড়া আগ্রহী চোখ মজিদ মিয়া আর মালিহার এমন কান্ডকীর্তির নীরব সাক্ষী হয়ে যাচ্ছে। মালিহার সে দিকে একটুও খেয়াল নেই। তাঁর মনের মধ্যে মজিদ মিয়ার প্রতি একটু মায়া কাজ করছে যেন।

মালিহা ঘাড় ঘুরিয়ে মজিদের দিকে তাকিয়ে বলল- শুনলাম,তুমি নাকি বিয়ে করতাছো ?
- শুনবাইতো। আমি কী লুকিয়ে বিয়ে করতেছি নাকি।
- তোমার হবু বউ নাকি নজরপুরের চেয়ারম্যানের ছোট মেয়ে ?
- হো, সবইতো জানো দেখছি। তাহলে এত প্রশ্ন করতাছ কিসের লাগি। জানা কথা জানতে খুব ভাল লাগে বুঝি ।
মালিহার গলাটা একটু নিচু হয়ে আসে। বৃষ্টি ভেজা দিনটাতে কেমন জানি গলাটা শুকিয়ে যাচ্ছে তার। শুকনো গলায় আস্তে করে বলে- হো, সবই জানি। যার সব খবর রাখতে ভাল লাগে, শুনতে ভাল লাগে, তার সব খবরইতো সবার আগেই আমার কানে পৌছে যায়।
তারপর কিছুটা লজ্জা ভেঙ্গেই বলে- গ্রামের সবাই জানে তুমি বিদেশ থাইকা আইসা আমারে বিয়া করবা ; আর এখন শুনতাছি.....
- দেখ মালিহা, বিদেশ যাওয়ার আগে তোমারে বলছিলাম, তা ঠিক। আমি স্বীকার করছি। তবে বিদেশ থাইকা আইসা আমার মতের পরিবর্তন হইছে।
- তো, কিসের জন্য এই পরিবর্তন শুনি।
- তুমি বুঝবা না। তবে শুন মালিহা, চেয়ারম্যানের মেয়ের চেয়ে তুমি কোন অংশেই কম না বরং এগিয়েই আছ। তুমি যেমন সবুজ লতার মতন, সে ঠিক তার বিপরীত, শুকনো পাতার মত। তবে তোমার যেটা নেই, সেটাই তার আছে।
- তাহলে শুনি কী আছে তার মাঝে।
- স্ট্যাটাস।
- স্ট্যাটাস !
- হো, স্ট্যাটাস। মালিহা, তুমি হয়তো জানো আমাদের এই একটারই অভাব। আর সেটা হচ্ছে এই বায়বীয় বস্তুু স্ট্যাটাসটাই। যেটা দেখা যায়না তবে লাগলে অনুভব করা যায়। তুমি যেহেতু বুদ্ধিমতি মেয়ে তাই এইটাও বুঝতেছ আমি যদি চেয়ারম্যানের মেয়েকে বিয়ে করি তবে আমার স্ট্যটাস ঘুড়ির মত তড়তড় কইরা উঠতে থাকবে। সবাই তখন রঙ্গিন ঐ ঘুড়ির দিকে তাকাই থাকবে। আর রঙ্গিন ঘুড়ির চোখ দুটি তোমারে দেখবে অসীম এই আকাশ থাইকা। হা, হা.. হা....

মজিদ মিয়ার এমন বিদ্রুপ ছোয়া হাসি যেন কাটা তীরের মত আঘাত করলো মালিহার নরম হৃদয়ে। এ কী সেই মজিদ, যে তাঁর জন্য এই খালের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকতো সময়ে অসময়ে। একসময় যখন মালিহা মজিদ মিয়ার প্রেমের আকুতি ফিরিয়ে দিয়েছিল তখন মজিদের চোখের জল কত গড়িয়ে পড়েছে এই সরু খালের জলে। আর এখন মজিদ এসব কী বলছে!
- শুন মজিদ মিয়া, তুমি যেমন তোমার স্ট্যটাসকে ঘুড়ির মত উড়াইবার চাইতাছো, একদিন দেখবা সুতা কাটা ঘুড়ির মত তোমার স্ট্যটাস এই খালের মধ্যে পইরা গড়াগড়ি খাইতাছে। তখন তোমারে কেই তুলতে আইবো না। তুমি তখন বাঁচাও বাঁচাও কইতে থাকবা।
- দেখবানে, দেখবানে। ক’দিন পরই আমি হব চেয়ারম্যানের মেয়ের জামাই। আমার কত্ত পাওয়ার থাকবো। কত্ত শক্তি থাকবো আমার।
এসব বলতে বলতে মজিদ মিয়া তাঁর বাড়ির দিকে রওয়ানা হয়। পেছনে তাকানোর সময় নেই তাঁর। সে ভাবতেই পারেনি, তার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে মালিহার টলটল চোখ জোড়া। অপলক এই দৃষ্টি কখন ফিরিয়ে নিবে মালিহা তা জানা নেই তাঁর।

আজ মজিদের বিয়ে। বাড়ীতে লোক সমাগমের কমতি নেই। মজিদ মিয়ার হবু শশুর তাকে বলে দিয়েছেন বিয়ের দিন নতুন শেরওয়ানী-পাঞ্জাবী পড়তেই হবে। ভাড়াটি পোষাক চলবে না। তাছাড়া বড় যাত্রার সব গাড়ীগুলো নামীদামী ব্রান্ডের চাই ই চাই তার। আর বরযাত্রীরা হবে সব সু-পোশাকী। সব কিছুতেই এক আভিজাত্যিক ছোয়া থাকতে হবে।

সবই ঠিক আছে। কিন্তুু সমস্যা ঐ বরযাত্রীর পোশাক নিয়ে। মজিদ মিয়া তাঁর গ্রামের মধ্যে এত সু-পোশাকী মানুষ পাবে কোথায়। গ্রামের ষাটর্ধো হিরণ মিয়ার বরযাত্রী হওয়ার খুবই শখ। বরের পক্ষ হয়ে পাত্রীর বাড়ীতে রসের কথা বলা- একমাত্র হিরণ মিয়াকেই মানায়। বিশেষ করে গেইটের মধ্যে পাত্রী পক্ষকে ঘায়েল করতে হিরণ মিয়ার বিকল্প নাই। তবে এই হিরণ মিয়া কিন্তু সবসমই লুঙ্গি-পাঞ্জাবীতেই অভ্যস্ত। সদাহাস্য এই হিরণ মিয়া যখন এই গ্রামীন পোষাকে বরযাত্রীদের গাড়ীতে উঠতে চাইলেন তখন মজিদ মিয়া বিষয়টি খেয়াল করলো।
- চাচা, আপনি কি এই পোষাকে আমার সাথে যাত্রী হইবেন ?
- হো বাবা।
- আরে চাচা, কি কন আপনি। চেয়ারম্যানের মেয়ের বিয়েতে আপনি লুঙ্গি পইড়া যাইবেন ? আমার একটা মান সম্মান আছে না । স্ট্যটাস আছে না !
হিরণ মিয়া গাড়ীতে উঠতে গিয়েও আর উঠেননি । পিছ পা নেন তিনি। তাঁর চোখের সামনে দিয়ে চকচক করা দামী ব্রান্ডের গাড়ীগুলো ধুলি উড়িয়ে নিমিষেই চলে গেল। হিরণ মিয়া হাতের মুষ্টি দিয়ে লুঙ্গির এক পাশ ধরে তাঁর মুখে লাগা ধুলি আর চোখের কোনে জমে থাকা পানির বিন্দু এক টানে মুছে নিলেন। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলেন চলন্ত গাড়ী গুলোর দিকে। যতটুকু চোখের সীমা, ততটুকুই।

বিয়ের পর মজিদ মিয়ার নাম-ডাক একটু বেড়েই গিয়েছে। এলাকার আবাল-বৃদ্ধ সবাই যখন তাকে চেয়ারম্যানের জামাই বলে সম্বোধন করে তখন তার বুক অজানা এক কারনে প্রসারিত হয়ে যায়। সামাজিক অথবা রাজনৈতিক সব অনুষ্ঠানেই মজিদ মিয়ার জন্য একটা চেয়ার বরাদ্দ- যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে।

তবে তাঁর আসল যে ঠিকানা, সেখানে শান্তি পায়না মজিদ মিয়া। বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই কোথায় যেন অমিল,অসমতা ধরা পরেছে সব কিছুতেই। কি যেন নাই তাঁর। সব কিছুই যেন একটু ফাঁকা ফাঁকা। মনের অগোচরে অথবা গোচরে তাঁর বউ এর সাথে মালিহার ফারাক খুজে বেড়ায় মজিদ। একটা অদৃশ্য ছায়া তার বউয়ের মাঝে আবিস্কার করে সে। এ ছায়াতে যেন মালিহারই রূপ। মালিহারই স্পন্দন।

মজিদ মিয়ার যখন সব কিছুতেই অসন্তুষ্টি তখন একদিন তার মাকে বলল- মা, আমি আর পারছিনা। এ আর সম্ভব নয় মা।
তাঁর মা একটু উদ্ধিগ্ন হয়ে, কপাল ভাজ করে বললেন-
- কি হইছে মজিদ। তোর আবার কি হইছে?
- মা, আমি আর এই মেয়ের সাথে সংসার করতে পারুম না। আর সম্ভব নয় মা। জীবন এভাবে চলতে পারে না। এ জীবন নয়। এ যেন জীবনের জন্য সময় কাটানোর অভিনয়। পুরোটাই অভিনয়।
- কি কইতাছস বাবা, এইডা কী হুনাইলে! তোর মাথা কি ঠিক আছে বাবা।
- হো মা, আমার মাথা ঠিকই আছে। আর যা কইতাছি সব ঠিকই কইতাছি মা।
- না, তোর কথা ঠিক না বাবা। তুই তো জানস বাবা, তোর বউ চেয়ারম্যানের মাইয়া। তাদের কত শক্তি তুই তো ভাল কইরাই জানস। কিছু একটা হয়ে গেলে তরে কী চেয়ারম্যান এমনিতেই ছাইরা দিব। আমারই বা কী হইবো তখন।
মায়ের কথা শুনে মজিদ মিয়ার বুকে কাপন ধরে। এবার সে বুঝতে পারে, যে শক্তি প্রদর্শনের জন্য চেয়ারম্যানের মেয়ে বিয়ে করেছিল, সেই শক্তির নিচে সে নিজেই চাপা পড়েছে। এ যেন পাথর চাপার চেয়েও কঠিন।কষ্টের।

কয়েক মাস পর মজিদ মিয়া সব কিছু থেকেই নিজেকে গুটিয়ে নেয়। শামুক যেভাবে কারো স্পর্শ অনুভব করলেই তার খোলস আটকে দেয়, সেভাবে মজিদ তাঁর মনের দরজার কপট আটকে দিয়েছে। তাঁর মনে এখন একটাই প্রশ্ন, এটা কি জীবন ? যে জীবনের রং নেই, রিমঝিম ছন্দ নেই, স্বপ্ন নেই, সে জীবন চলমান হতে পারে না। এটা তখন বদ্ধ পুকুরের মত। যেন চুপচাপ। নীরব। নিথর।

মজিদ মিয়া এখন খালটার পাড়ে হাতে লম্বা একখান দা নিয়ে বসে থাকে। সে বিড়বিড়িয়ে বলতে থাকে, হায়রে আমার স্ট্যাটাস। দা দিয়ে পানিতে কোপ দেয় মজিদ। যেন একেকটা স্ট্যাটাসকে টুকরো টুকরো করছে সে। যে স্ট্যাটাস এর মাংস নেই, রক্ত নেই, তাকে কুপিয়ে যেন শান্তি পাচ্ছেনা মজিদ।

দূরে দাড়িয়ে থাকা মালিহার মজিদ মিয়ার এমন কান্ড-কীর্তি দেখে চোখের জল টলটল করে পড়তে থাকে। কিছু উৎসুক বাচ্চারা বলতে থাকে- ঐ পাগলা মজিদ। মজিদ মিয়া দা নিয়ে দৌড়ায় দুরন্তপনা ঐ বাচ্চাদের পিছনে। এই দৌড় কবে থামবে সে জানেনা, কেউ জানেনা।






৭টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×