somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

'দীন শরৎ বলে’ এবং আমার কিছু কথা

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



দীন শরৎ বলে
ধরণঃ জীবনী/গবেষণা
প্রকাশকঃ রোদেলা প্রকাশনী
স্টল নং-213,214,215

কিছু কথাঃ

ভাগ্যক্রমে ভাটি এলাকায় জন্ম হওয়ায় লোকসংস্কৃতির মিষ্টি রস গায়ে মেখেই বড় হয়েছি। হাসনরাজা, আবদুল করিম, কাশীনাথ তালুকদার সহ অন্যান্য সাধকদের গান এই এলাকার নদী-হাওর-বাতাসকে চঞ্চল করে তুলে। আর এভাবেই সাধক দীন শরতের গানের সাথে আমার পরিচয়। এক সময় তাঁর গানে আকৃষ্ট হই। ইচ্ছে হয় তাঁকে নিয়ে কাজ করার। নেমে পড়ি তথ্য সংগ্রহে। আর এভাবেই দীন শরতের জন্মস্থান নেত্রকোণায় বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করি।

এরই মাঝে পরিচয় হয় নেত্রকোণার আপেল মাহমুদ ভাই এবং সাংবাদিক সঞ্জয়দা’র সাথে। উনারা বিভিন্ন তথ্য ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দিয়ে সহায়তা না করলে এই বইটির মলাটবন্দি হওয়ার সম্ভাবনাই ছিল না। গবেষক সুমনদা তাঁর মূল্যবান সময় ব্যয় করে পান্ডুলিপি সংশোধন করে দিয়েছেন। তবে সবশেষে ড. জাফর ইকবাল স্যার ভূমিকা লিখে বইটির পরিপূর্ণ রূপদানে বিশেষ অবদান রেখেছেন। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।

বইটি প্রকাশে আরেকটা গোপন তথ্য রয়েছে। একটা দুর্ঘটনায় আমার পায়ের আঙুল ভেঙে যায়। অফিস থেকে প্রায় দুই মাসের ছুটি নিতে হয়।সিদ্ধান্ত নিলাম যেহেতু বই লিখতে পায়ের প্রয়োজন নেই তাই অযথা সময় নষ্ট করা যাবে না। তাই এই দুইমাস বিছানায় শুয়ে/বসে বইয়ের অধিকাংশ কাজ ল্যাপটপে সেড়ে নিয়েছি। (মাঝে মাঝে পা ভাঙাটাও জরুরী হয়ে পড়ে :) )

সংক্ষেপে দীন শরৎঃ

১৩১০ বঙ্গাব্দে নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার সাজিউরা গ্রামে শরৎ চন্দ্র দেবনাথ জন্মগ্রহণ করেন।তিনি যখন মাতৃগর্ভে ছিলেন তখন তাঁর পিতা মারা যান। দুর্ভাগ্যক্রমে শিশুকালেই তিনি মাতৃহারা হন। যখন তাঁর বয়স ৯ বছর তখন টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে আজীবনের জন্য অন্ধত্ব বরণ করেন। সহায়সম্বলহীন এই অন্ধসাধক এক মানবেতর জীবন পার করেছেন। তবে অন্ধ হয়েও মনের চোখ খোলা রেখে তিনি সাহিত্যসাধনা করে গেছেন। তাঁর অসংখ্য বাউলগান, দেহতত্ত্বের গান, ধামাইলগান, ইসলামীগান আজও তাই কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ।

কথা আমার একটাইঃ
এই বই পড়ে যদি একজন মানুষও নতুনভাবে দীন শরতকে জানতে পারেন তবেই আমার শ্রম স্বার্থক হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×