বর্তমানে এ রাজনৈতিক সংকট সমাধানে অনেক মুখোশধারী ভালমানুষরা দু'দলকেই সমান ভাবে দোষী সাব্যস্ত করে গালাগাল অথবা গাদা গাদা উপদেশ দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এদের কেউই সংকটটি কোথা থেকে সৃষ্টি এবং এর জন্য দায়ী কে, সেসব নিয়ে কিছু বলছেন না। বরং ঢালাওভাবে বলে যাচ্ছেন - দু'পক্ষকেই ছাড় দিতে হবে, তাহলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এতে করে সমস্যা তৈরী করে যারা বা যে পক্ষ সুবিধা নিতে চাইছে - তাদেরকেই সহায়তা করা বা সমর্থন করা হয়ে যাচ্ছে না?
এখন দেখা যাক সমস্যাটা কাদের সৃষ্ট। আমরা সাধারণত কোন রোগের ঔষধ কিনতে গেলে বা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে গেলে ঐ ফার্মাসিষ্ট বা ডাক্তার প্রথমেই জিজ্ঞেস করেন - কি ভাবে কি ভাবে রোগটা বাধালেন? সামান্য সর্দিজ্বর এর কথাই ধরা যাক। প্রথমেই ডাক্তার জিজ্ঞেস করেন - বৃষ্টিতে ভিজেছেন কি না? সরাসরি ফ্যানের নীচে ঘুমিয়েছিলেন কি না? অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয় গ্রহন করেছিলেন কি না - ইত্যাদি। এবার ডাক্তার রোগের ইতিহাস জানার পর কি পরিবারের অন্যান্য সদস্য যারা তাকে আগে থেকে বারণ করেছিল - সরাসরি ফ্যানের নীচে ঘুমাসনা, বৃষ্টিতে ভিজিসনা - তাদেরকেসহ দোষী প্রমাণ করে সবাইকে একসাথে ঔষধ খেতে বলবেন?
আমাদের সাবেক বিচারপতি কেএম হাসান সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম অতটুকু পর্যন্ত কোন প্রশ্ন বা তর্ক উঠাবো না। কিন্তু যখন দেখা যায় বিচার বিভাগে নিয়োজিত সকল বিচারপতি ও বিচারকদের চাকরীর বয়সসীমা বাড়ানোর প্রায় তিন বছর আগের একটি প্রস্তাবকে উপক্ষো করে কেএম হাসান অবসরে যাওয়ার পর শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টের বিপারপতিদের বয়সসীমা বাড়ানো হল তখনইতো থলের বিড়াল বেড়িয়ে পড়লো - যার মানে দাড়ায় - পাকের ঘরে কে রে, আমি কলা খাইনা'র মত অবস্থা।
তাছাড়া যে মুহূর্ত থেকে বিএনপি কেএম হাসান কে বিশেষভাবে চাইছে আমার মতে সে মুহূর্ত থেকেইতো তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়েছেন।
এমতাবস্থায় সংকট যেহেতু বিএনপি'র সৃষ্ট সুতরাং এর সমাধানে তাদেরকেই কেএম হাসানের দাবী থেকে সরে আসতে হবে। নইলেতো দায়ী হবে তারাই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



