somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

পদাতিক চৌধুরি
আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

উজান হাওয়া

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


রহিমাচাচিমাকে মুকুল ঝর্নাকে ভালো লাগে জানাতে , পরেরদিন সকালে প্রথমে মুকুলের আব্বার সঙ্গে কথা বললো । তৌফিকসাহেবের এই সম্বন্ধে কোনও আপত্তি ছিলনা । আর থাকবেই বা কেন , ঝর্না অত্যন্ত ভদ্রমেয়ে। পরহেজগার, সুর করে কোরান পড়তে পারে । তৌফিকসাহেবের সম্মতি পেয়ে রহিমাচাচিমা যখন ঝর্নাদের বাড়িতে গেল , তখন হাবিবুরচাচা বাড়িতে ছিলেননা। ঝর্নার মা সবশুনে বললেন ,
- মুকুল ভালো ছেলে । তবে একটা জায়গায় কথা দেওয়া হয়েছে । আর তাছাড়া মুকুলের আব্বামাও ভালোবেসে বিয়ে করেছিল । সেজন্য ওর মা সারাজীবন বাপেরবাড়ি যেতে পারেনি । তবুও তুমি বলছো যখন আমাদের লোক বাড়ি আসুক , বলে দেখি ।

এসব সময় এরকম মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত বাঙালী মুসলিমদের মধ্যে পাত্রীর মতামত নেওয়াটা অভিভাবকরা ধর্তব্যের মধ্যে আনতেন না । তাছারা তের চৌদ্দ বছরের কোনও মেয়ের বিয়েতে নাকগলানো পুরুষ শাসিত সমাজের চোখে অত্যন্ত বেয়াদবি বা বেয়ারা বলে মনে করা হত । স্বভাবতই ঝর্নার মতামতের কারো প্রয়োজন পড়লো না ।

সেদিন বিকালে হাবিবুরচাচা ঝর্নার মেজোবোন অর্নাকে দিয়ে রহিমাচাচিমাকে ডাকালেন । চাচিমা সম্পর্কে হাবিবুরচাচার ভ্রাতৃবধু হওয়ায়, বৌমা বলে ডাকতেন । চাচিমা হাবিবুরচাচাকে আবার ঘটনাটা বললো । দরজার আড়ালে চাচিমার সঙ্গে ঝর্নার একবার চোখাচুখি হওয়ায় লজ্জা পেয়ে ভিতরে ঢুকে গেল । সবশোনার পর চাচা একবার চারপাশটা দেখে নিয়ে বললেন ,
- দেখো বৌমা, কথাটা যেন পাঁচকান না হয় । এমনিতে আমাদের সঙ্গে তৌফিকভায়ের কোনও শত্রুতা নেই । তারপরে মুকুল আমার ভালো ছেলে । ওদের জমিজায়গাও যথেষ্ট । বাড়ির পাশে মেয়ে দিলে রাতদিন দেখতেও পেতাম । তবে তৌফিকভাই ভাবিকে যেভাবে বিয়ে করেছিল , তাতে ঐ বংশে মেয়ে দিতে আমার আপত্তি আছে । আর আমার ঝর্নামায়ের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে । ছেলে শিক্ষিত , মাওলানা পাশ । পাশের গ্রাম ঘোষালাটি মসজিদে ইমামতি করে । দেবহাটে ওদের বাড়ি । ওখানে ওদের অনেক জমি বাড়ি ও পুকুর আছে । বনেদী পরিবার । ওরা এসেছিল , আমরাও গিয়েছিলাম । পাকাদেখা হয়ে গেছে । তুমি তৌফিকভাইকে বরং বোঝাবে পারলে আমাকে যেন ক্ষমা করে দেন ।

সেদিন সন্ধ্যাবেলায় মুকুল রহিমাচাচিমার বাড়িতে গিয়ে সব জানতে পারলো । তার হাতপা যেন অবশ হয়ে গেল । গলা শুকিয়ে এল । এক অসহ্য যন্ত্রনায় সে মুখে বিকট শব্দ করে উঠলো । চাচিমা তার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে কত কথা বোঝাতে লাগলো । সে বেশ কয়েকবার বাড়ি আসার কথা বললেও চাচিমা তাকে আটকে রেখে সান্ত্বনা দিতে লাগলো । এটা ওটা খাওয়ার কথা বললে, কোনও কিছু খেতে মুকুল অস্বীকার করলো ।

এদিকে ঝর্নার বিয়ের দিন ক্রমশ এগিয়ে আসতে লাগলো । আশেপাশে অন্যান্য বাড়িগুলির মত মুকুলেরাও এই বিয়েতে আমন্ত্রিত । তবে ওরা যাবে কিনা ঠিক নেই । গোয়ালহাটিতে তার মামার বাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক না থাকার কারনটি সেদিন রহিমাচাচির মুখে প্রথম শুনেছে । বারে বারে তার মনে প্রশ্ন জাগছে, আব্বা যদি মাকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করে তাহলে সে দায় তাকে কেন নিতে হবে? তাহলে আগামীতেও এরকম খবরে সব সম্বন্ধ ভেঙে যাবে ? নানান প্রশ্ন তার মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগলো । সে মানসিকভাবে একেবারে ভেঙে পড়েছে । নাওয়া খাওয়া বাড়ির কাজ সব একপ্রকার বন্ধ করে দিয়েছে ।

ওদিকে তৌফিকসাহেব ছেলের মনের অবস্থা বুঝে তাকে বেশি করে সময় দিচ্ছেন । মাঠের কাজকর্ম আপাতত বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন । সারাক্ষণ বাড়ি রান্নাবাড়া গোয়ালঘর নিয়ে ব্যস্ত থাকেন । মুকুলও সারাক্ষণ বাড়িতে বসে- শুয়ে থাকে । রহিমাচাচিমার সঙ্গে তাদের সখ্যতা এসময়টা অত্যন্ত বেড়ে গেছে । প্রত্যেকদিন দুপুরে এসে রান্নাকরে দেওয়া, সময় পেলে যখন তখন এসে খোঁজখবর নেবার ফলে রহিমাচাচিমা এলে তৌফিকসাহেব অনেকটা নিরাপত্তাবোধ করেন । মনেমনে ঠিক করেও নিয়েছেন, ঝর্নার বিয়েটা হয়ে গেলে মুকুলের জন্য পাত্রী খোঁজ করবেন ।

এদিকে একটি মারাত্মক ঘটনা ঘটে গেল । বিয়ের দিন পাঁচেক আগের বিকালে ঝর্নার বিয়ের দরকারে ওর আব্বামা বাইরে ছিলেন । দাদীমা বৃদ্ধ মানুষ ,এক হিসাবে শয্যাশায়ী । দুইবোন অর্না ও ময়না মুকুলদের বাড়ির পাশে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতে ব্যস্ত । এরকম একটি সময়ে ঝর্না সরাসরি মুকুলদের বাড়িতে হাজির । ঝর্নাকে দেখে মুকুল যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিল না । এমন সময় ঝর্না,
- মুকুলভাই কথা আছে ।
ঝর্নার কথা শুনে মুকুল যেন সম্বিত ফিরে পেল । ঝর্নাকে মুকুল দাওয়াই বসতে বললো । ঝর্না মাথা নেড়ে আপত্তি জানিয়ে বললো,
- ভিতরে বসবো, কেউ না কেউ হয়তো দেখে ফেলবে।
বাধ্যছেলের মত মুকুল ঝর্নাকে ঘরের ভিতরে নিয়ে গেল । অত্যন্ত ভয়ে শঙ্কিত হয়ে কাঁপা গলায় ঝর্না বললো,
- মুকুলভাই আমাকে বাঁচাও ! রহিমাচাচিমা যখন আব্বার সঙ্গে কথা বলছিল তখন আমি দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে সব শুনেছি । আমিও তোমাকে খুব - ই ভালোবাসি । কোই তুমিতো কোনও দিন আমাকে কিছু বলোনি । তুমি সারাদিন কী পরিশ্রমই করতে । আমি আমাদের বাড়ির গাছের ফাঁক দিয়ে সারাক্ষণ তোমাকে লক্ষ্য করতাম । সব সময় যে দেখতে পেতামনা ঠিকই, তবে আমি এদিকেই চেয়ে থাকতাম । তোমার এত কষ্ট দেখে আমার ভিতরটা যেন ফেঁটে যেত । বাড়িতে কিছু ভালো রান্না হলে আমার মুখে উঠতোনা । মাকে দেখিয়ে একটু খেয়ে মাছ মাংস পছন্দ করিনা বলে উঠে যেতাম । চাচিমার কাছ থেকে শুনেছি , তৌফিকচাচা একদিন ভাত পুঁড়িয়ে ফেললে তোমরা বাবাছেলে সে রাতে কীভাবে সেই ভাত খেতে বাধ্য হয়েছিলে । একদিন রাতে কুকুর ঢুকে তোমাদের খাবার নষ্ট করায় সারারাত পানি খেয়ে কাটিয়েছিলে । চাচা রান্না না জানায় কীভাবে দিনের পর দিন তোমরা ডাল আলু সিদ্ধ খেয়ে কাটিয়েছ । তাও আবার এক খাবার খেতে তিনবেলা । এসব দেখেশুনেই রহিমাচাচিমা তোমাদের বাড়িতে একবেলা রান্না করে দেয় । চাচিমার রান্না করার খবরে আমার আনন্দে চোখে পানি এসেছিল।

কথা বলতে বলতে ঝর্না একটু থেমে গেল। দুজনেই কিছুক্ষণ নিরব থাকলো । ঝর্না আবার বলতে লাগলো ,
- আমি প্রায়ই চাচিমার কাছে খবর নিতাম তোমাদের কি কি রান্না হয়েছে বা কত বেগুন এবং অন্যান্য সব্জি উঠেছে ইত্যাদি। চাচিমা একদিন আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল যে আমি তোমাকে ভালবাসি কিনা । আমি না বলতেই, ও বুঝেছি বলে মুচকি হেসে চলে গিয়েছিল । বাড়িতে মাকেও টুকটাক তোমাদের কথা জিজ্ঞাসা করতাম । একদিন কী একটা প্রসঙ্গে তোমাদের কথা বলতেই, মা আমাকে পাল্টা জিজ্ঞেস করেছিল যে তোমার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক আছে কিনা । লআমার মনে হয়েছিল, মা ভালোমুখে জিজ্ঞেস করায় তোমাকে ভালো লাগে - একথা আর এমন দোষের কী । তবুও আমি প্রথমে অস্বীকার করি । মা খুশি হয়নি । মায়ের কথায়,
- মা ঝর্না, তোমাকে যদি মুকুল ভালোবাসে তাহলে নির্ভয়ে আমাদের বলতে পারো । তোমার ভালো মন্দ আমরা ছাড়া কে বুঝবে মা ।
- মায়ের এই মধুর বাক্যে আমি গলে যাই । তোমাকে ভালো লাগে একথা বলতে ; মুহূর্তের মধ্যে মা সে এক ভয়ানক অগ্নিমূর্তি ধারন করে । রাগে ফোস ফোস করে বলতে থাকে ,
- তোর আব্বাকে বলে তোকে আজ কেটে ফেলবো । মনে মনে তুই এই তৈরী হয়েছিস ?
- আমি প্রচন্ড ভয়ে কাঁদতে থাকি । এরপর থেকে আমাকে মক্তবে পাঠানো বন্ধ হল । আব্বা আমাদের বাড়ির চারপাশে উঁচু করে পাঁচিল তুলে দিল, যাতে আর তোমাদের বাড়ির দিকে কিছু দেখা না যায় । এখন মুকুলভাই তুমি আমার বাঁচাও । দেবহাটির ছেলের মুখভর্ত্তি দাড়ি, মাথায় সারাক্ষণ টুপি পরে থাকে এবং বেশ নাটা ।

ঝর্নার মুখ থেকে একনাগাড়ে কথাগুলি শুনে মুকুল এবার একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঝর্নার থুতনিতে হাত দিতেই, এক হাত পিঁছিয়ে গিয়ে,
- ছি! ছি! মুকুলভাই, বিয়ের আগে গায়ে হাত দেওয়া পাপ ।
এবার মুকুল কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে ঝর্নাকে বোঝায় ,
- দেখ ঝর্না, তুই আমি পরস্পরকে ভালো বাসি ঠিকই । কিন্তু তোর বাড়ির লোক যখন আমাদের সম্পর্ক মানতে চাইছে না , তাহলে আমরা আর কী করে আগাই বল । আব্বা সুদূর গোয়ালহাটির মেয়ে বিয়ে করে দূরে থাকায় তবুও বাঁচতে পেরেছে । আর আমি তোকে বিয়ে করলে এত কাছাকাছি যে তোর আব্বার মত রাগি লোক আমাদের মেরেই ফেলবে । কী আর করবো বল। আজ তোকে পেয়েও আমি নিতে পারলাম না । তবে তোর আব্বা তোর ভালোর জন্যই এ সম্বন্ধ করেছেন । তুই মেনে নে । ওনারা খুশি হবেন ।
মুকুলের কথা তখনও শেষ হয়নি ,ঝর্না দৌড়ে একছুটে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেল ।

( উজান হাওয়ার পরবর্তী পর্ব শীঘ্রই প্রকাশিত হবে । পাঠকবন্ধুদেরকে একটু সময় দিতে অনুরোধ করছি ।)

বিঃদ্র - পোস্টটি আমার অত্যন্ত কাছের বন্ধু, ব্লগের অলিখিত হিরো মো নিজামউদ্দিন মন্ডলভাইকে উৎসর্গ করলাম । ব্লগের এমন হিরোকে কিছু দিতে পেরে আমি আনন্দিত ।

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১১
৩২টি মন্তব্য ৩২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×