১৯৭১ সাল। বছরের শুরু থেকেই দেশের রাজনীতিসচেতন মানুষ অনুমান করছিল, কোনো অবস্থাতেই পাকিস্তানি শাসকরা নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে তারা প্রয়োজনে যুদ্ধ করবে। হত্যা করবে লাখ লাখ বাঙালিকে। ফলে বঙ্গবন্ধু সাতই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার প্রস্তুতি নিতে বাংলার মানুষকে ডাক দেন। তার ডাকে সাড়া দেয় আপামর জনতা। ২৫ মার্চ মধ্যরাতে গ্রেফতারের আগেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার। এ সরকার বের করে বাংলাদেশের নামাঙ্কিত প্রথম ডাকটিকিট। ২৯ জুুলাই প্রথম ডাকটিকিটটি ছাপা হয়। পরপর ছাপা হয় আরও আটটি ডাকটিকিট। ডাকটিকিটগুলোর নকশা করেছিলেন বিমান মলি্লক নামে এক শিল্পী। লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস থেকে ডাকটিকিটগুলো ছাপানো হয়েছিল। এক সহৃদয় ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ এবং এমপি জন স্টোনহাউজ ডাকটিকিটগুলো ছাপানো এবং বিক্রির কাজে বিশেষভাবে সহায়তা করেছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই ডাকটিকিটগুলো সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বে জনমত গঠনে এগুলো বিশেষ ভূমিকা পালন করে। মুক্তিযুদ্ধে বিপন্ন মানুষের সহায়তার জন্য হাসিমুখে এ ডাকটিকিট সংগ্রহ করে বিশ্ববাসী বাড়িয়ে দিয়েছে সহায়তার হাত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ ডাকটিকিটগুলো আবার ছাপানো হয়। এগুলোই পরে হয়ে ওঠে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিট। উল্লসিত মানুষ প্রিয়জনের কাছে চিঠি পাঠাতে ব্যবহার করেছে নিজের দেশের ডাকটিকিট। যুদ্ধ শুরুর পর বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ডাক ব্যবস্থা। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এ ডাক যোগাযোগ ব্যবস্থা আবার চাঙ্গা করা হয়। ডাক যোগাযোগ সৃষ্টি করা হয় বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গেও। প্রথম ডাকটিকিটে ছাপা হয়েছিল বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ মানচিত্র। বেগুনি রঙের ওপর বাংলাদেশের মানচিত্র ছাপা হয়েছিল লাল রঙে। হায়েনার আক্রমণে যুদ্ধে বাংলাদেশ রক্তে রঞ্জিত, মানচিত্রের লাল রঙ ছিল তারই প্রতীক। পাশাপাশি লাল রঙ ছিল পরাধীনতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। ডাকটিকিটের ওপর বাংলায় এবং ইংরেজিতে লেখা ছিল বাংলাদেশ। মানচিত্রের মাঝখানেও লেখা ছিল বাংলাদেশ। ডাকটিকিটটির মূল্য ছিল মাত্র দশ পয়সা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে অস্থায়ী সরকার যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ডাকটিকিট প্রকাশ করেছিলেন, তাদের সে উদ্দেশ্য সার্থক হয়েছিল।
সংগৃহীত
আলোচিত ব্লগ
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ
গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।
... ...বাকিটুকু পড়ুন
৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…
১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট
মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'
নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ
আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন