somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইস্পানিয়ায়_বৈধ_হবার_বৈধ_উপায়_জানুন। না জানলেও ক্ষতি নাই।

২৫ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এই লেখাটা পড়লে বৈধ উপায়ে স্পেনে বৈধ হবার বিষয়ে সবকিছু পরিস্কার হয়ে যাবে।
(কিছু অবৈধ, দুষ্টু টাইপ উপায়ও আছে তার জন্য আগে বি:দ্র: 3 পড়ুন)

ধরে নেন আপনাকে আসমান থেকে টুপ করে মাদ্রিদ শহরে ফেলে দেয়া হয়েছে। (কথার কথা) ।
(কেউ কেউ ইউরোপের অন্য যেকোন দেশ থেকে #ভাগাতালি দিয়ে স্পেনে প্রবেশ করতে পারেন বা লাইফ রিক্স নিয়ে মরোক্ক দিয়ে #সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ভাসতে ভাসতে প্রবেশ করতে পারেন, বা লিংকআপ করে কোনো না কোনোভাবে টুরিস্ট #ভিসা নিয়ে প্রবেশ করতে পারেন)।

যাই হোক,

তখন কি খাবেন? কি পরিধান করবেন? কোথায় থাকবেন? কিভাবে বৈধ হবেন !!

ভাই,
বিশ্বাস করেন শহরের রাস্তাগুলোতে হাটলে দেখা যায় রাস্তার দু পাশে খানিক পরে পরে ময়লা ফেলার রঙ-বেরঙের বড় বড় বাক্সের পাশে খাবার পাওয়া যায় (যেমন ধরেন কলা/রুটি/বিস্কিট/কেক/মদ/জুস/সস ইত্যাদি) । যে পরিবারের ভালো খাবার গুলো বেচে যায় তারা সুন্দর করে প্যাক করে ঐ রঙিন বাক্সগুলোর পাশে রেখে দেয় । (যার খাবার দরকার সে যেনো খেতে পায় ) ।
ঠিক একই ভাবে যাদের প্রতি নিয়ত কাপড় বদলানোর বদঅভ্যাস আছে (মানে স্টাইল মারায়) তারা নতুন কাপড় কেনা শেষ হলে তার পুরাতন (নতুনই বলা চলে) কাপড়গুলো সুন্দর করে ইস্ত্রি করে ভাজ করে রাস্তার পাশে সেই বড় বড় রঙিন বাক্সগুলোর পাশে রেখে দেন। (জামা,জুতা,প্যান্ট, হাপেন্ট, গেন্জি, জ্যাকেট সহ আরো কত কি রে ভাই) । উফফফ....

ভাইরে,
বিশ্বাস করেন এরা ঘরের যে জিনিসগুলো কয়েকদিন পর পর রাস্তার পাশে রেখে আসে সেই জিনিসগুলো যদি কোন না কোনভাবে আমার দেশে পাঠানো যেতো তবে তা বিক্রি করে লালে-লাল, না বুঝলে বয়ে আকার ল।
রাস্তায় ফুল বিক্রি, পানীয় বিক্রি (ইয়ে মানে.. লাল পানি), খেলনা বিক্রি, টিস্যু বিক্রি সহ বিভিন্ন ধরনের ছোট খাটো জিনিস বিক্রি করে মাসে কেউ কেউ কম বেশি 2000 ইউরো মানে বিডিটি 2 লাখ কামাচ্ছে। (বি:দ্র: 02 দেখুন)
তাতে কোন লাভ নাই। এগুলো অবৈধ। এর কোন ভবিষ্যৎ নাই। টাকা থাকলেও সুখ নাই। মানুষ ভালো চোখে দেখে না। আরোও কিছু বিষয় আছে.... (কমেন্টে জানতে চাইলে বলবো) ।
প্রশ্ন: তাহলে কি করতে হবে?
উত্তরঃ বৈধ হতে হবে।
প্রশ্ন: বৈধ হবার উপায় কি?
উত্তর:
চুরি-চামারি (লুকিয়ে-লুকিয়ে) ফুল-ফল, আম-জাম, কাঠাল-বেগুন (বি:দ্র: 4), লেবু-কড়লা, ডেঙ্গা, লাল-নীল-কালা পানি বিক্রয় করে যেহেতু কিছু টাকা আপনি কামাচেছন সেহেতু ঐ টাকা দিয়ে আপনার বৈধ পাসপোর্ট টি দিয়ে দুই/একজন চেনা জানা দেশি ভালো লোক ধরে একটি বাসা বা রুম ভাড়া করবেন ও মাসে মাসে ভালো ভাড়াটিয়ার মত ভাড়া পরিশোধ করতে থাকবেন। এবং সেই বাসাটি ভাড়া কনটাক্ট করার পর স্প্যানিশ নির্ধারিত একটি অফিসে গিয়ে আপনার নাম রেজিস্টি করবেন যাকে বলে #এমপাদ্রেনামিয়েন্ত । এটি করার ফলে স্প্যানের সরকারের খাতায় আপনার অবস্থান/ উপস্থিতির জন্য একটি দলিল সৃষ্টি হলো।
বিশ্বাস করেন, আপনি যদি কোন অন্যায় বা কোন অপরাধ না করেন তবে পুলিশ আপনাকে হয়রানি করা তো দূরের কথা আপনাকে দেখলে কানাওয়ালার মত না দেখার ভান করে চলে যাবে।
(বিশ্বাস হইছে?, না হলে কচু দিয়া মুড়ি খান)

এল্লা সুখে শান্তিতে, চুপি চুপি আবার ছাতি, ফুল-ফল, কলা, টিস্যু হাবিজাবি বিক্রয় করতে থাকুন, কিছু কিছু করে টাকা জমাতে থাকুন আর জীবন যাপন করতে থাকুন। (বি:দ্র: 02 দেখুন)
মিয়া ভাই, খালি কি এইত্তা বেইচ্চা টেহা কামাইলে চলবো ! না।
এর ফাকে ফাকে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের (ফলের দোকান/ফোন ফ্যাক্স/ হোটেল/ বার/মোবাইল এক্সেসরিস) সাথে নিজের যোগ্যতা, সততা ও ভালব্যবহার এর মাধ্যমে ভালো ধরনের সুসম্পর্ক তৈরী করুন। (নিচে লেখা পড়লে বুঝতে পারবেন, কেন)
এভাবে চলতে থাকবে তিনটি বছর। হ্যা ভাই তিন বছর।
মাঝে মধ্যে এমপাদ্রেনামিয়েন্ত অফিসে গিয়ে নিজের বাসার কন্টাক ঠিক আছে কিনা সেটি চেক করতে থাকবেন । তা না হইলে কিন্তু ধরা খাবেন। (স্প্যানিশে বাখা হবে) ।

এবার আসলো আপনার সেই ভাল ব্যবহার ও সুসম্পর্কের পরিক্ষা নেবার পালা।
3 বছর যখন হবে হবে ভাব তখন আপনি সেই সব ব্যবসায়ীদের কাছে যান এবং কাকুতি মিনতি করে বলুন জনাব আপনার দোকানে কি আমাকে একটা কাজের কন্টাক দিবেন? হুজুর, আমি বড্ড অসহায়।।
কেউ কেউ বলবে অবশ্যই বাছা আমার বুকে আয়। আমাকে তো আল্লাহ্ অনেক দিয়েছে তুই এতদিন ধরে আমার এখানে আনাগোনা করছিস, তোকে আমি একটা কন্টাক দিবোই বাছা।
আহ্ সুখ।
আপনি বেচে গেলেন।
(তবে মাংনা কিন্চিত মানুষ পাওয়া যায়)

আবার,
কেউ কেউ বলবে। ভাই একটা কন্টাকের অনেক দাম। তুমি আমাকে বেশি না ইয়ে মানে (ডট.ডট. ডট. হাজার ইউরো দেও আমি তোমাকে আমার প্রতিষ্ঠানের একটা কাজের কন্টাক দিচ্ছি। (লা হাওয়া, ওয়ালা...........) ।
তখন আপনি যদি মালদার হন বা ঐখানে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন তবে রাজী হয়ে যাবেন।

আপনি তখন একজন ভালো উকিল (ফইতা বটতলার উকিল ধরছেন তো মরছেন) নিয়োগ করে সব কাগজপত্র প্রস্তুত করে রেসিডেন্স পারমিট অফিসে একটি এপয়েন্টমেন্ট নিবেন ও ঐ দিন হাজির হয়ে কন্টাকপেপারসহ সব কাগজপত্র (পাসপোর্ট, এমপাদ্রেনামিয়েন্ত, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, বার্থ সাটিফিকেট ইত্যাদি ) নিয়ে জমা প্রদান করুন।

যদি,
যদি আপনার কন্টাকদাতার সরকারের কাছে কোন দেনা-পাওনা না থাকে, যদি মালিক ব্যবসায়ে লাভ দেখায়, যদি দোকানের আয়তন ও প্রসার অনুযায়ী জনবল নিয়োগের অনুমতি থাকে, যদি তার কোন মামলা মোকদ্দমা না থাকে, যদি তার যাবতীয় ভ্যাট,ট্যাক্স পরিশোধ করা থাকে এবং আল্লাহ্ সহায় থাকেন তবে আপনার রেসিডেন্স পারমিট ঠেকায় কোন হুমুন্দি (বৌয়ের বড় ভাই)।

5/6 মাস লাভাপিয়েস (বাঙ্গালী এলাকা) মসজিদে নামাজ পড়তে পড়তে আল্লাহ্ এর রহমতে দেখবেন আপনার সেই এমপাদ্রেনামিয়েন্ত করা বাসায় চিঠি আসবে। ইয়াহুহুহুহু......
চিঠিতে লেখা থাকবে বাপধন তুমি আজ থেকে বৈধ, সামনের শুক্কুরবার জুম্মার নামাজের পরে আইসা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়া তোমার রেসিডেন্স কার্ডটা লয়া যাইয়ো তো বাপু।
আহ্ সুখ.......
(এইটা একটু রস করে কইসি, চিঠির ভাষা হবে নরমাল ও ফরমাল। সো, ডোন্ট মাইন্ড) ।


বি:দ্র: (2) যার বাপের টেকা আছে সে এসব করতে যাবে কেনো! সে পায়ের উপর পা তুলে দেশ থেকে টাকা আনবে আর কাবাব-বিরিয়ানী খাবে। যারা গরীব বা দেশ থেকে টাকা আনার মত আর কোন রাস্তা অবশিষ্ট নাই তাদের কথা বলছি। পরিস্কার, না পরিস্কার না? (বাগী সাবের ডায়লগ) ।

বি:দ্র: (3) বৈধ হবার জন্য আরোও কিছু সর্টকাট তবে আত্মঘাতি, মরনঘানি, কুখ্যাতি, গুখ্যাতি, লাইফ ত্যানা ত্যানা টাইপের অফশন আছে । যেগুলোর পরামর্শ দেবারমত লোক অনেক আপনার সামনে হাজির হবে। চটকদার বিজ্ঞাপন দেবার মত করে বলবে।আপনি তো খুশিতে বাকবাকুম পায়রার মত লাফ দিয়ে উঠবেন। কিন্তু মনে রাখবেন আমি বৈধ হবার যে পন্থাটির কথাটি উপরে বলেছি, সেটিই অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ হবার একমাত্র বিশুদ্ধ ও সহিহ রাস্তা। অন্য যে পথেই যান না কেনো সেটি আপনাকে জীবনাস্মৃত (জীবিত থেকেও যে মৃত) করে রাখবে আজীবন (মানে কেয়ামত পর্যন্ত) ।।

বি:দ্র: (4) কাঠালের কথা হুদাই তামশা করে কইছি। এ দেশে কাঠাল পাওয়া দুস্কর । হি হি হি।

#ভীলহপা_হশা_জারে । — in Madrid, Spain.
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×