somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধন্যবাদ কয়েল মালা

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তাই তো বলি এদের ডেংগি হয় না কেনো। (!)

মেট্রোতে দেখলাম এক বেডি গলায় গোল প্যাচানী কয়েল পিন্দা ঘুরতেছে।

কান্ধে বেনিটি ব্যাগে একটি কুত্তা ।
কুত্তায় ব্যাগের পেছন দিকে থেকে মাথা বের করে আছে। (নজর আমার দিকে) ।

মাসুদ রানার অডিশন দেখতে দেখতে নিজের মধ্যে মাসুদ রানার একটা ভাব চলে আসছে। (ডিচকাউ)

গলাত কয়েল ঝুলায়া এই বেডি কই যায় তা আমাকে দেখতেই হবে।

আমার অনুসন্ধানী চোখ।
বিসমিল্লাহ বলে নিলাম বেডির পিছ....
(আল্লাহ ভরসা)।

বেনিটি ব্যাগ থেকে কুত্তায় আমার নজরদারীর বিষয়টা বুঝতে পেরে একটু পর পর ঘেউ করে উঠে।

ঘেউ...ঘেউ....।

আমি মনে মনে কই, “চুপ কর শ্যালক” ।

শ্যালক কত সুন্দর একটা শব্দ।

অথচ দেখেন,
আমরা বাং(গালী)রা একে গালীতে ব্যবহার করি।

শুনলাম ভ্যারত নাকি চাদঁ দেখতে রকেট পাঠাচ্ছে। শালারা বেয়াক্কল। কোন দরকার আছে এত রুপি নষ্ট করার। আজাইরা।

আমরাই রকস্,
আমাদের আছে মজবুত ও ইউনিক চাঁদ দেখা কমিটি।
পৃথিবীর আর কোথাও তা নাই।

সেগুন গাছের তেলতেলা তক্তা দিয়া একটা গোল টেবিল বানায়া, তার উপর একটি পর্দা (কমদামী) বিছিয়ে সেখানে বসে বসে বাইনুকুলার দিয়ে চাঁদ দেখলেই তো এতগুলা রুপী বেচে যায়।
(মুখে পান, মাথায় থাকবে টুপি)।

গোল টেবিলের মাঝখানে থাকবে গেন্দা ফুলের ঝার । বড় টিপ পরা কমিটির নারী মেম্বাররা একটি করে গেন্দা ফুল খোপায় গুজে বসে থাকবে। পুরুষরা রাখবে বুক পকেটে ।
(মুখে হাসি, হাতে বাইনোকুলার)

সেই বেচেঁ যাওয়া রুপী দিয়ে ভ্যারত ৭৩ কোটি ২০ লাখ রাস্তায় হাগা লুকের জন্য টয়লেট বানাতে পারবে। (বুঝপাতা,তেজপাতা)।

ছোট বেলায় বলতাম,
“দেইক্ষা দেইক্ষা মুসলমান,
কানে ধইরা টাইন্না আন” ।

আমাদের দেখা দেখি জামাই বাবুরা এসব কি করছে বলুন দেখিনি??

ভ্যারত এই সেপ্টেম্বর থেকে আমাদের জাতীয় সম্পদ (!) বিটিভি তাদের ঐখানে প্রচার শুরু করছে । (হাত্তালি ) ।

আমি এর কারন সন্দেহ করছি,
ওরা হয়তো জানে না সিরিয়াস মোমেন্টে কিভাবে বাতাবী লেবু চাষ শুরু করতে হয়। হয়তো উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের (!) সঠিক প্রচারও ওরা করতে জানে না।
এতা শিখে ইন ফিউচারে এপ্লাই করবে।
মেবি হয়তো ইতোমধ্যে কাশ্মিরে এই থিউরি প্রোয়োগ শুরু হো গেয়া মামু।

কত্তবড় হারামি চিন্তা করেন,
আমাদের স্যাটেলাইট মহাকাশ গিয়ে কি করছে তার উপর নজরদারী করার জন্য তারা চাদেঁ টিকটিকি পাঠাচ্ছে । (আই মিন স্পাই)

চাদেঁ বসে একজন বাইনোকুলার নিয়ে আমগো স্যাটেলাইটের দিকে নজর রাখবে আর ভ্যাড়াতে কুইক খবর পাছ করবে।

-হ্যালো আমি চাদঁ থেকে কানাই বোষ বলছি।
-কি খবর মি. বোষ, বলো।
- স্যার এই মাত্র চাদের ডাইন কুনা থেকে বাংলাদেশের স্যাটেলাইটটি থেকে মূলার ছবি দেখা যাচ্ছে ।
- কি করে বুঝলে বোষ?
- স্যার সেখান থেকে বিশ্রী একটি চেনা চেনা গন্ধ আমি চাঁদে বসেও পাচ্ছি । মনে হচ্ছে ওরা মংগলে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মূলার চাষ করছে।।
-গুড বোষ, ভেরী গুড। এই তো চাই। গভীর ষড়যন্ত্র হচ্চে । আমাদের বাদ দিয়ে মংগলে মূলা চাষ। তাইতো বলি দিল্লীর আকাশ এত ঘণ কালো মেঘে ছেয়ে আছে কেনো!

(আসলে মূলা বোষ নিজেই খাইছে, সে জন্য এত গন্ধ। শালায় বেয়াক্কল)

কুত্তা ওয়ালি মাটির নিচে মেট্রো থেকে বের হয়ে উপরে উঠলো।

আমি সবুজ পিছ ছারি নাই ইনশাআল্লাহ ।

হঠাৎ কুত্তার ঘেউ ঘেউ বেড়ে গেলো।

ঘেউ...ঘেউ...ঘেউ....।

আমার মন ডরে ভরে গেলো।
(কথায় আছে না চুরের মন ক্ষিরা ক্ষেতে !)

নিজেকে নিজে শান্তনা দিলাম-
শান্ত থাক সবুজ পাগলা,
“লাল গেন্জি দেখলে ষাড়ঁ তারা করে, কিন্তু কুত্তায় না।”। সো ডোন্ট ওরী।

মহিলা বেনিটি ব্যাগ থেকে ডগ ভাইকে নিচে নামিয়ে শক্ত করে কি কি যেনো বল্লেন। যেমন: Eso no esta bien, Mui Mal. (বেশ ধমকালেন)

ডাইনে বামে তাকিয়ে তিনি কি যেনো খুজতে লাগলেন।

-ওমা একি!
ময়লা ফেলার একটি বাক্সের একসাইড হতে টেনে টেনে কালা পলিথিন বের করছে!!

০২ বছর ০৮ মাস ০৮ দিন পর আইজ জানতে পারলাম রাস্তায় ময়লা ফেলানোর বাক্সের সাইডে কুত্তার গু ফেলার জন্য সরকার পলিথিন ব্যাগ রাখে। (আফসোস)।

আর আমি কিনা এতদিন টুকটাক দরকারে এই পলিথিন ০৩ সেন্ট (বিডিটি ০৩ টাকা ) দিয়া কিনছি !!

নিজিকে অসহায় লাগলো।
ঘেউ...ঘেউ....
(শুনেছি কুত্তারা মানুষের মনের কষ্ট উপলব্দি করে । ভিন্ন ঘেউ শব্দে ডগি দা তা বুঝিয়ে দিলো) ।

যাদের কুত্তা রাস্তায় পটি করবে তারা সেখান থেকে পলিথিন নিয়ে গু পরিস্কার করে তা ময়লাম বাক্সে ফেলবে।
(রাস্তায় কোন “গু” স্প্যানিশ সরকার দেখতে চায় না) ।
নো, নেভার।

গলায় কয়েল রহস্য উগঘাটন করতে গিয়া নতুন জিনিস আবিষ্কার পাইলাম ।

এতক্ষনে বুঝতে পারলাম মহিলা কেনো কুকুর টিকে শক্ত শক্ত বকা দিচ্ছিলো।

-হমম, ও আইচ্চা । ব্যাগে হেগে দিছো বাপু।

বলে রাখা ভালো ইউরোপের কুত্তারা ডাইল হাগা হাগে না। এদের টয়লেট হয় শক্ত। দলা দলা।
ডাইল হাগা করলেই এদের অসুস্থ্য বিবেচনা করে উন্নতমানের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
(শক্ত পায়খানা না হওয়া অবধি হাসপাতালের নার্স রা কুত্তাদের সেবা করতেই থাকে) । উফফ্ ভাবা যায়।

কত সুন্দর পলিথিন বের করে বেনেটি ব্যাগ থেকে পটি পরিস্কার করে টিস্যু দিয়ে মুছে ঝকঝকে তকতকে করে আবার ডগি ভাইকে তুলে রাখলো । (স্বস্থানে)।

ভাগ্যিস কুত্তাটি অসুস্থ্য ছিলো না।

এই ঘটনার পর ধরে নিলাম,
মহিলা ব্যাপক স্টাইলিস্ট । তাই হয়তো কয়েলের মত প্যাচানী বড় মালা গলায় ঝুলায়া ঘুরতেছে।।
হয়তো সে জানেই না যে এই জিনিস আমগো কত কামে লাগে।

আমাগো মশা তাড়ানির কয়েল এরা গলাত ঝুলায়া ঘোরে। অদভোদ জাতি এরা।

আমি ভাবছিলাম এরা হয়তো অনেক সচেতন। গলায় কয়েল জ্বলায় ঘুরে, ফলে এদের মশায় কাম দেয় না। তাই এদের ডেংগি ও হয় না। কিন্তু না......

গলায় কয়েল প্রযুক্তি যখন স্বদেশে চালু করবো করবো ভাবছি তখন ; রাস্তায় এই সরকারি পলিথিন ব্যাগ ঝুলিয়ে রাখাটা আমার ভাবনাকে অন্যদিকে মুড় ঘুরিয়ে দিলো।

এডিস মশা কইথ্থে আসবে এখানে!!!

পাঠক,
কুত্তাওয়ালি নিয়ে আরোও অনেক ঘটনা মাথায় আছে। লেখার জন্য সময় বের হলেই লিখবো।

#আমিকিকাউকেগালিদিয়েছি
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০৮
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদী নামের এই ছেলেটিকে কি আমরা সহযোগীতা করতে পারি?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪


আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×