somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্মরণিকা

১২ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিঃদ্রঃ উচ্চ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরাও এই রস গ্রহণ করিতে পারিবে।। ২০১৬ সালের, আগষ্ট মাসের ১৭ তারিখ রোজ বুধবার রাত ৮.৫০ মিনিট, মগবাজার ফ্লাইওভারের নিচ থেকে বলছি।

আমার খুব ভালোবাসার #Rajib ভাই ফ্লাইওভারের নিচ পর্যন্ত বাইকে লিফট দিয়ে চলে যাবার পর,
-রিকশা চালক মামা হাকডাক করিতেছে "ওই বাংলা মোটর ১ জন, ১ জন, ১ জন, ১০ টাকা ১০ টাকা ১০ টাকা"।।
কৌতুহলবশত একটি রিকশায় চাপিয়া বসিলাম।
ভাবলাম একজন করে নিয়া যাবে ১০ টাকা, বেশ ভালোই তো।।
নবাবের ন্যায় পায়ের উপর পা চাপিয়া বসিয়া রহিয়াছি কিন্তু গাড়ি তো ছাড়ে না।
-কি ভাই যাও না কেন?
-মামা খারান আরেকজন লইয়া লই।।
তখন বুঝিলাম এইখানে ভাগে যোগে যাত্রী সেবা প্রদান করা হয়।। এই জন্যই মাত্র ১০ টাকা।

নবাব হতে মিসকিনের ন্যায় পা’দুখানা চিমায়া আরেক জনের জন্য জায়গা রাখিয়া গুটসুটি মেরে একপাশে চাপিয়া বসিলাম।



০২ মিনিট বসিয়া থাকার পর.....

আমি ইহাকে পাইলাম টাইপের এক অপূর্ব সুন্দরী ললনা ধপাস করিয়া পাশে বসিয়া পরিলো।।
৩ সেকেন্ডের ঝটকা দৃষ্টিতে বুঝিলাম তাহার বড় বড় চোখ, সরু ভ্রূ, গোলগাল চেহারা, স্লিম দেহ, কপালে টিপ, ঠোটে হালকা লিপস্টিক । এবং পারফিউমের কি সুভাস ! আহা !
যেকোন অবিবাহিত পুরুষ তাহার প্রেমে পরে যাবে,
আর যেকোন ৪র্থ বিবাহ করা পুরুষও ৫মবার বিবাহ করিবার স্বাদ মনে জাগিবে।। (জাস্ট কিডিং)
(বাসায় বৌ জানিলে সামনের কোরবানির ঈদে আর গরু কিনিবে না)।।

কিছু বলিবার সাহস হইলো না। তব্দা মেরে বসে রয়েছি।
কিছুদূর যাইয়া বাম পাশে তাহার দিকে এক নজর তাকাইলাম।। রোবটও এত সোজা হইয়া, লম্বা হইয়া, ঠান্ডা হইয়া বসে না।। যেনো কাপড়ের দোকানের ডামী পুতলা পাশে বসে আছে।
শুধু একবার এপাশ ফিরিয়া নিজের দন্ত স্মেল ঠিকঠাক আছে কিনা পরোখ করিলাম।

বুঝিলাম সে আমার মতই সহজ ও সরল ।। (হি হি)

কিছুদূর যাইয়া বেসরকারি সিগনালে জনাব ট্রাফিক জ্যামের কাছে আমার ভাবনার রোলস্ রয়েলস্ খানা আটকাইলো।।
মনে হইতেছিল কোথাও কেউ নাই।। পৃথিবীতে কোন সাড়াশব্দ নাই।। পিন পয়েন্ট নিরবতা।।
রসে টইটম্বুর পরিবেশ সৃষ্টি হইয়াছে।। আহা কি সুখ।
(পাঠক চোখ বন্ধ করিয়া সিচুয়েশনটি একবার কল্পনা করুন।।)

আকাশে বাতাসে যখন ভাবনায় লাল চিনি দিয়ে জিলাপী বানাচ্ছিলাম, যখন দিল্লিকা লাড্ডু ঠাস ঠাস করিয়া ফোটতেছিলো। তখন,

আচমকা মধ্যবয়সী গোফওয়ালা এক আগন্তুক আমাদের সামনে উপস্থিত।।
-স্মরনিকা ?
-জ্বী বাবা, বলিয়া ভয়ে মেয়েটি আমার হাত আকড়ে ধরেও আবার ছেরে দিলো।
(গরম পাতিল ধরে ছ্যাকা খেলে যেমনটি হয়)
আবার,
বাংলা সিনেমায় নাইকা দড়িকে সাপ ভেবে ভয় পেয়ে যেমন জড়িয়ে ধরে তেমন ও বলা চলে।

“বোধকরি, রিকশায় পাশাপাশি না বসিয়া মুখোমুখি বসার সিস্টেম থাকলে তাই হইতো।”

ভদ্রলোক কামানের গোলার মত শব্দ করে ধমক দিয়ে প্রশ্ন করলেন, এই ছেলে তুমি কে? তোমার বাড়ি কোথায়? কি করো?
বেক্কল গোফওয়ালা বাবা ভাবিয়াছেন আমি তার মেয়ের প্রেমিক পুরুষ (!) হবো হয়তো।

-আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে আমতা আমতা করে শুধু বল্লাম, জ্বী আংকেল ময়মনসিংহ।

রাগে ফুসফাস করতে করতে ভদ্রলোক স্মরনিকাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে চলে যাচ্ছেন।
আমি পেছন ফিরে তাকিয়ে রইলাম। স্মরনিকা শুধু স্লো মোশনে একবার শুধু পিছে ফিরে আমার দিকে ফিরলো ।

পাঠক, তাহার ঐ অল্প চাহনিতে আমার মনে হইয়াছিলো জেনো যোজন যোজন এভাবেই পিছে ফিরিয়াই থাকি ।

রিকশা ওয়ালা মামার ১০ টাকা লস হইলো ভাবীয়া বাকীপথ আফসোসের সীমা রইলো না।
আমি নেমে রিকশাওয়ালা মামাকে নিরাশ করি নাই। দুইজনের ২০ টাকাই তাকে দিয়াছি।

এরপর বহুদিন উক্ত পথ উক্ত পন্থায় মাড়িয়াছি ।
হ্যা, দুই সীট ভাড়া করে একপাশে চ্যাপ্টা হয়ে বসে বসে।
শুধু স্মরনিকার কাছে আমার পাওনা রিকশাওয়ালা মামার ঐদিনের ১০ টাকা ফেরত পাবার আশায়।
বিশ্বাস করেন, আমার মনে অন্যকোন পাপ কিন্তু নাই। (হি হি)

বিঃদ্রঃ (1) ঘটনা কারো সাথে মিলে গিয়ে ১০ টাকা ফেরত দিতে আসলে না করবো না
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:১৭
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×