স্বাস্থ্যগত ঝুকিঁর কারণে গোলাম আযমকে তার ডাক্তার অতিশীঘ্র ৩৫ কিলো ওজন কমানোর
পরামর্শ দিলেন।
গোলাম আযম অনেক ঘেটেও কোনো সমাধান পেলেন না ওজন কমানোর ব্যাপারে।
তখন হঠাৎ তিনি দৈনিক সংগ্রামে একটা এ্যাড দেখতে পেলেন।
"গ্যারান্টী সহকারে ওজন কমানো হয়।"
"গ্যারান্টী!এই তো আমার চাই!",গোলাম আযম স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন।
বিজ্ঞাপন অনুযায়ী যোগাযোগ করলেন কর্তৃপক্ষের সাথে। তাদের প্রথম প্যাকেজ-'৩ দিনে ৫ কিলো
কমান' টাই বেছে নিলেন পরীক্ষার জন্য।
পরদিন ভোরবেলা গোলাম আযম সবে উঠেছেন,এই সময় দরজায় নক।
গোলাম আযম তাড়াতাড়ি দরজা খুললেন,কিন্তু একি!অতি সুন্দরী,আকর্ষনীয়া ১৯ বছরের
বেহেশতের হুরীসম এক তরুণী দরজায় দাড়িয়ে। সে নিজেকে ওজন কমাবার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী
হিসেবে পরিচিত করলো ও তার বুকের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে বললো। তার টি শার্টের বুকে লেখা ছিলো
"যদি পার ধরতে আমায়
সব কিছু দেবো তোমায়।"
গো-আযমের সারা শরীরে বিদ্যুত খেলে গেল। সাথে সাথে তিনি তরুণীকে ধাওয়া শুরু করলেন
কার্ল লুইসের গতিতে।
তরুণী হালকা পাতলা,তার ওপর দৌড়ানোর অভ্যাস আছে। ফলে প্রায় ঘন্টাখানেক দৌড়ানোর
পরে গো-আযম তাকে ধরতে সক্ষম হলেন। তারপর চুক্তি অনুযায়ী তার পাওনা সুদে আসলে
উসুল করে নিলেন।তরুণী সেদিনের মতো চলে গেল।
এই ঘটনা পরপর তিনদিন ঘটলো। চতুর্থদিন তরূণী আর এলো না। গো-আযম আশাহত হলেন।
কিন্তু তার মনে পড়লো,"আরে,আজ তো ডেট শেষ হয়ে গেছে!দেখি তো,ওজন কমলো কিনা।"
ওজন মেপে দেখা গেল সত্যিই ৫ কিলো কমছে।
"সোবহানাল্লা!এরা তো দেখি যাদু জানে!" গো-আযম তাড়াতাড়ি আবার ফোন করলন
কোম্পানির কাছে অন্য কোন প্যাকেজ আছে কিনা জানতে।
"আছে স্যার,৫ দিনে ১০ কেজি ওজন কমনোর প্যাকেজ দিতে পারি।",সেলসম্যান জানালো।
গোলাম আযম তক্ষুণি প্যাকেজটা বুক করলেন।
পরদিন ভোরে আবার দরজায় নক।
দরজা খুলেই গো-আযম পড়ে যান আর কি!!!"এর কাছে তো বেহেশতের হুরীও বাঁদী",মনে মনে
ভাবলেন তিনি। মেয়েটি ১৬ বর্ষীয়া উদ্ভিন্নযৌবণা নগ্ন তরুণী শুধু রানিং
শু পরে দাড়িয়ে। তার বুকেও একই কথা লেখা,
"যদি পার ধরতে আমায়
সব কিছু দেবো তোমায়।"
গোলাম আযম আসাফা পাওয়েলের গতিতে ছুটলেন মেয়েটির পেছনে। কিন্তু মেয়েটিও ছুটলো মারিয়ন
জোন্সের স্পিডে। ফলে এবারের ধাওয়া প্রায় ঘন্টা দুই স্থায়ী হল। তারপর সেই পরিপূর্ন শান্তি।
গোলাম আযম খুবই সন্তুষ্ট হলেন। তার সারা জীবনে তিনি ছহবত করে এমন সুখ পাননি।
পাঁচদিন এই ঘটনা ঘটে চললো। গো-আযম সুখের সাগরে ভাসতে লাগলেন। ষষ্ঠ দিনের দিন
তরুণী আর আসলো না।গো আযম ওজন মেপে দেখলেন,এবার ১০ কিলো কমেছে।
"শোকরআলহামদুলিল্লাহ",গোলাম আযম সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন। কিন্তু তার মন ভরেনি।
এই বেহেশতী মেওয়া ছাড়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে তার পক্ষে। তাই তিনি আবার কোম্পানির দারস্থ
হলেন।
"স্যার,শেষ যে প্যাকেজটা আমরা দিই,এইটা ৭ দিনে ২৫ কিলো কমাবে"-সেলসম্যান বললো।
"ওইটাই আমার চাই"-গো আযমের দেরী সহ্য হয় না।
"কিন্তু স্যার,এটা কিন্তু আমাদের সর্বাপেক্ষা শ্রমসাধ্য প্রগ্রাম"-সেলসম্যান সতর্ক করল তাকে।
"আরে ধুরো,এই এক সপ্তাহের মতো ভাল আমি সারা বছরে থাকি নাই,তুমি ওই প্যাকেজই দাও।"
গো-আযম মরিয়া।
"ঠিক আছে স্যার",সেলসম্যান প্রগ্রাম ফাইনাল করলো।
রাতে গো-আযমের ঠিক ঠাক ঘুম হলো না পরদিন কে আসবে সেই চিন্তায়।
পরদিন ভোরবেলা। দরজায় ঠক,ঠক আওয়াজ। দুরুদুরু বুকে আশান্বিত চোখে গো-আযম দরজা
খুললেন।কিন্তু একি!!!আঁতকে উঠলেন তিনি।
দরজায় একজন "দ্য রক" টাইপের সুগঠিত পেশীর ব্যায়ামবীর দাড়িয়ে শুধুমাত্র
একজোড়া জুতা পায়ে নগ্ন গায়ে। তার বুকে লেখা,
"যদি ধরতে পারি তোমায়,
যেভাবে পারি,কাটাব আমার সময়।"
গো-আযম এবার দৌড়ালেন উসাইন বোল্টের গতিতে,আর তার পেছনে নগ্ন ব্যায়ামবীর তার
উদ্ধত পুরুষত্ব নিয়ে..............

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




