জাপানের টেলিভিশন চ্যানেল টিভি আশাহির কাছে প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে অনুরোধ যাচ্ছে। অসংখ্য মানুষ অনুরোধ করছে তাদের কাছে। তারা হিন্দি ভাষার কার্টুন ‘ডোরেমন’ বাংলায় রূপান্তরিত করার অনুরোধ করছেন। শিশুদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করা এই কার্টুনটি ভাষার প্রতি হুমকি- এমন আশঙ্কায় সরকার এর সমপ্রচার বন্ধ করে দেয়। কিন্তু অনেক শিশু এতে এত আসক্ত হয়ে পড়েছে যে, তারা রীতিমতো কান্নাকাটি শুরু করেছে। তারা অভিভাবকদের কাছে অনুনয় করছে ডোরেমন দেখার। কিন্তু এর সমপ্রচার বন্ধ হওয়ায় অভিভাবকরা পড়েছেন বিপাকে। ফলে তাদের অনেকেই ওই টেলিভিশন চ্যানেলের কাছে অনুরোধ পাঠাচ্ছেন যেন
ডোরেমন বাংলায় রূপান্তর করা হয়।
এ কার্টুনটি শিশুদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠার প্রেক্ষিতে আশঙ্কা করা হয় এতে শিশুদের নিজস্ব বাংলা ভাষা শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাবে। জাপানের অনলাইন আশাহি’তে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে ওই কার্টুনটির সমপ্রচার বন্ধ রয়েছে ফেব্রুয়ারি থেকে। টিভি আশাহি করপোরেশন এই কার্টুন নির্মাতা ও পরিবেশক। তারা জাপানে টাইম-ট্রাভেলিং রোবট ডোরেমনকে নিয়ে নির্মাণ করে এই কার্টুন। ২০০৫ সালে ভারতের একটি স্যাটেলাইট টেলিভিশন হিন্দি ভাষায় রূপান্তর করে সমপ্রচার করা শুরু করে ডোরেমন। তা পরে বাংলাদেশের একটি টেলিভিশন স্টেশন লুফে নেয়। তারা বাংলায় রূপান্তর না করেই তা সমপ্রচার করা শুরু করে। নিজের ভাষায় রূপান্তরিত না হওয়া সত্ত্বেও এটি সারা দেশে শিশুদের কাছে রাতারাতি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠে। জনগণের প্রতিবাদের পরে এ বিষয়টিতে শাসক দলের এমপিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, এই কার্টুন সমপ্রচার অব্যাহত থাকলে নিজস্ব ভাষা বিপন্ন হতে পারে। এ অবস্থায় সরকার সব টেলিভিশন স্টেশনকে নোটিশ করে, ভারতের অননুমোদিত টেলিভিশন প্রোগ্রাম যেন কোন স্যাটেলাইট চ্যানেল প্রচার না করে। টিভি আশাহি বলেছে, এর পরে তারা বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য অনুরোধ পেয়েছেন। তাতে ডোরেমনকে বাংলা ভাষায় রূপান্তর করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সূত্র : মানবজমিন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



